যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা নিয়মিত ডায়াবেটিসের ওষুধ খান। তাদের অনেকের রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেক সময় কমে যায়। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া যেমন সমস্যা তেমনি কমে যাওয়াও সমস্যা। ক্রমেই পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। পরে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা কমে গেলে তাকে চিকিৎসার পরিভাষায় ‘হাইপোগ্লাইসেমিয়া’ বলা হয়। এই সমস্যায় কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, নাহলে বড় ধরণের বিপদ হতে পারে। এতে হৃদ্রোগ থেকে শুরু করে, আরও নানা সমস্যা হতে পারে। এমনকি কেউ কোমাতেও চলে যেতে পারেন। তাই নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রার দিকে খেয়াল রাখা দরকার। এখন কথা হলো রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেছে কি না তা কীভাবে বুঝবেন। এর কয়েকটি উপায় রয়েছে। প্রাথমিক কয়েকটি লক্ষণ দেখেই তা বোঝা সম্ভব।
১। হাত-পা কাঁপা
২। হঠাৎ খুব ঠান্ডা লাগা
৩। হৃদ্যন্ত্রের গতি বেড়ে যাওয়া
৪। খিদে পাওয়া
৫। বমি পাওয়া এবং তার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হওয়া
৬। দুঃস্বপ্ন দেখা
৭। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে কী করবেন?
এ বিষয়ে ‘আমেরিকান ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশন’ একটি নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
যদি রক্তে শর্করার মাত্রা ৭০ এককের নিচে নেমে যায়, তা হলে ১৫ গ্রাম মিষ্টি কিছু খেতে হবে। ঘরে মধু বা লজেন্স জাতীয় খাবার থাকলে খেতে পারেন। এমন কিছু খেতে হবে যেগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেবে। এর পরে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তার পরে আবার মাপতে হবে রক্তে শর্করার মাত্রা। তাতে যদি সংখ্যাটি ৭০ এককের উপরে ওঠে, তা হলে ভাল। যদি তা না হয়, তা হলে আবার ১৫ গ্রাম মিষ্টি খেয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
তবে সব সময় যে এই পদ্ধতিতে কাজ হবে বিষয়টান এমন না। তখন দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।