তাপমাত্রা নয়, সামাজিক মেলামেশা ঝুঁকি

0
775
crowd

ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেইফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজের (এফডিএসআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেছেন, বাহ্যিক তাপমাত্রার সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়া বা কমার কোনো সম্পর্ক নেই। করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয় মানুষ থেকে মানুষে। শীতকালে দেশে বিয়েসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। তাপমাত্রা নয়, সামাজিক মেলামেশা করোনা ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

গতকাল তিনি বলেছেন, ঠা-ায় যদি প্রয়োজনীয় হওয়া সত্ত্বেও বারবার হাত ধোয়ার প্রবণতা কমে যায়, তা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াবে। দেশে এখন করোনা টেস্ট তুলনামূলকভাবে কম হয়। মৃদু উপসর্গ থাকলে অনেকেই আজকাল টেস্ট করাচ্ছেন না। তাই সংক্রমণের হার আগের থেকে কম। তাছাড়া করোনা নিয়ে মানুষের প্রাথমিক ভীতি কমেছে। কভিড রোগীর চিকিৎসায় ডাক্তারদের অভিজ্ঞতাও বেড়েছে। নতুন বেশ কিছু ওষুধও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে একটি কথা স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশে কভিড রোগে মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম।

এই মৃত্যুহার কম হওয়ার পেছনে সম্ভাব্য কিছু কারণ আছে। যেমন- দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা আনুপাতিক হারে কম। বস্তিবাসী কিংবা গার্মেন্ট-কলকারখানার শ্রমিকদের মধ্যে কভিড রোগের সংক্রমণ বা মৃত্যুহার খুবই কম। আমাদের উচিত হবে, করোনাজনিত মৃত্যুহার কেন কম, তার কারণগুলো গবেষণার মাধ্যমে খুঁজে বের করা।

অধ্যাপক আবুল হাসনাৎ মিল্টন আরও বলেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই করোনার পুনসংক্রমণ ঘটেছে। আমাদেরও তাই সাবধানে থাকতে হবে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। বর্তমানের বাস্তবতায় ভ্যাকসিন পেতে কমপক্ষে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। তাই করোনার সংক্রমণ প্রতিকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই আমাদের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সাবান-পানি বা হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া, দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তাহলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে