তীব্র গরমে ডায়রিয়ার ঝুঁকি, প্রতিরোধে যা করণীয়

0
61
দূষিত খাবার বা পানি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। সংক্রমণ, খাদ্য অসহিষ্ণুতা, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণে ডায়রিয়া হয়। আমাদের দেশের গরম আবহাওয়াও ডায়রিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে অবদান রাখে।

গরম আবহাওয়া দায়ী কেন?

ডিহাইড্রেশন : গরম আবহাওয়ায় মানুষ বেশি ঘামে। পর্যাপ্তভাবে তরল গ্রহণ না করলে  ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ডিহাইড্রেশন অন্ত্রের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং সেখান থেকে ডায়রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। শরীর যখন অতিরিক্ত তরল হারায়, তখন এটি কোলন থেকে পানি টেনে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে। এর ফলে মল আলগা হয়, দানাদার হয় না।

বাসি খাবার : উষ্ণ তাপমাত্রা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে। সালমোনেলা ও ই. কোলাই নামের দুটি ব্যাকটেরিয়া অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়।

অতিরিক্ত ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া : খাবার বা পানীয় যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হয়, তবে সেখানে  ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। এসব ব্যাকটেরিয়া সংখ্যায় বেড়ে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ ও ডায়রিয়া সৃষ্টি করে।

পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস : ক্ষুধা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর গরম আবহাওয়া প্রভাব ফেলে। এ সময় হালকা খাবার বেছে নিতে হয়। যেমন—ফল, শাক-সবজি ও সালাদ। স্বাস্থ্যকর হলেও ঠিকভাবে না ধুয়ে নিলে বা প্রস্তুত না করলে খাবারগুলো ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে। এতে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বাইরের খাবার : অপরিচিত মানুষের দেওয়া খাবার খাওয়া, দূষিত পানির উৎসর সংস্পর্শে আসা কিংবা হাত ধোয়ার জন্য পরিষ্কার পানির অভাবও ডায়রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয় :

– প্রচুর পরিমাণে তরল, বিশেষ করে পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকুন।

– সঠিক তাপমাত্রায় খাবার সংরক্ষণ ও রান্না করা নিশ্চিত করু ন। খাবার খাওয়ার আগে হাত ধোয়াও জরুরি।

– পচনশীল খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। খুব বেশি সময় ধরে বাইরে ফেলে রাখা খাবার এড়িয়ে চলুন।

– ভ্রমণের সময় খাবার ও পানি খাওয়ার আগে এর উৎস সম্পর্কে সচেতন হোন।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মুহিত মুকতাদির

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে