থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা

0
852

ডাক্তার মোঃ মাহতাব হোসেন মাজেদঃ থ্যালাসেমিয়া মারাত্মক রোগ হলেও সহজেই তা প্রতিরোধ করা যায়। এটি বংশগত রোগ। বাবা-মা এ রোগের বাহক হলে সন্তানও আক্রান্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, সাধারণত চাচাতো ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে হলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আক্রান্তদের রক্তের লাল কণিকা(RBC) তাড়াতাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। বাড়ে আয়রনের পরিমাণ। এ কারণে আক্রান্ত কে ২০-৩০ দিন পর পর রক্ত দিতে হয় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত আয়রন বের করতে ওষুধ সেবন করতে হয়। খুব ছোট শিশুদের মধ্যে রক্তশূন্যতা, শারীরিক বৃদ্ধি না হওয়া, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখে চিকিৎসক সন্দেহ করে থাকেন এবং রক্তের বিশেষ মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হন।

থ্যালাসেমিয়া দু’ধরনের হতে পারে- ১. আলফা থালাসেমিয়া ও ২. বেটা থালাসেমিয়া। আলফা থ্যালাসেমিয়া, বেটা থ্যালাসেমিয়া থেকে কম তীব্র হয়। আলফা থ্যালাসেমিয়ায় সাধারণত উপসর্গগুলো থাকে মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির। তবে বেটা থ্যালাসেমিয়ার থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। ১-২ বছরের শিশুর ক্ষেত্রে সময়মতো যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ না করলে শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

এ রোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক খুবই কার্যকর পদ্ধতি। এ জন্য অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তিনি যথাযথ চিকিৎসা করবেন। রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে সিয়ানোথাস, এসিড সালফ, ফেরাম মেট, আর্সেনিক এল, এন্ড্রাগ্রাফিস, চায়না, কার্ডুয়াস মেরি, ক্যালকেরিয়া ফ্লোর, ইউক্যালিপটাস, মেডোরিনামসহ আরো অনেক ওষুধ লক্ষণ এর উপর আসতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে