দেশে করোনা টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে শেষের পথে বরাদ্দ টিকা। টিকা নিতে মানুষের আগ্রহের কারণেই এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে বলছেন কেন্দ্রের পরিচালকরা। সেই সঙ্গে বাড়ছে অনলাইনে নিবন্ধন সংখ্যাও। নিজের ও দেশের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই টিকা গ্রহণের সিদ্ধান্ত বলছেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকা নেন তিনি। বার্ধক্যজনিত জটিলতাকে পাশ কাটিয়ে সব ভয়কে দূরে ঠেলে সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
আতিয়ারা বেগমের মতো টিকা নেওয়ার সব ভয়কে জয় করে রাজধানী জুড়ে বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে মানুষের ভিড়। টিকা নিতে আগ্রহের অন্যতম উদাহরণ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। নির্ধারিত ১০ হাজার ডোজ টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ায় নতুন করে এই কেন্দ্রে কাউকে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক।
টিকা নিতে আগতদের ভিড় সামলাতে একরকম হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কেও। দুই এক দিনের মধ্যে এই কেন্দ্রেও শেষ হবে বরাদ্দ নিবন্ধন।
বুধবারও বিভিন্ন হাসাপাতালে টিকা নেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। দেশের সুরক্ষা বিবেচনা করে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। বয়স সর্বনিন্ম ৪০ বছর হলেই সুরক্ষা ওয়েব পোর্টালে গিয়ে, জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। ১৮ বছরের উপরে যে কেউ যদি সম্মুখ যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য হন, তবে থাকবেন নিবন্ধনের আওতায়।