দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে বেড়েছে আর্থিক ঝুঁকি

0
777

. হোসেন জিল্লুর রহমান

সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্র্যাক চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের মাঝেই দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় সারা বিশ্বে আবারও স্থবিরতা নেমে এসেছে। ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশে আবারও লকডাউন চলছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য অনেক দেশেও বেশ কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমাদের দেশেও এর বড় প্রভাব পড়ছে।

প্রতিদিনই সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে স্বাস্থ্যের মতোই অর্থনীতির ঝুঁকিটাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে। কেননা করোনায় স্বাস্থ্য পরিচর্যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মোটামুটি একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। ফলে মার্চ-এপ্রিলে সংক্রমণ ঠেকাতে বা এর ভয়াবহতা মোকাবিলায় মানুষ যে হতবিহ্বল ছিল এখন সে অবস্থা নেই। যদিও স্বাস্থ্য খাতের খুব একটা উন্নতি হয়নি। এখনো হাসপাতালগুলোয় কাক্সিক্ষত সেবা নেই। তবু মানুষ বাঁচার জন্য নিজে থেকে চেষ্টা চালিয়ে গেছে। ফলে মানুষের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু মার্চ-এপ্রিলে যখন সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে দেওয়া হয় তখনকার মতো পরিস্থিতি হয়তো আর কখনই হবে না। তার পরও অর্থনীতির বিষয়টাকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে; যার একটা বড় প্রভাব আমাদের রপ্তানি খাতে পড়বে। ব্যবসা-বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও পড়বে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই নতুন করে অচলাবস্থা শুরু হলে পরিস্থিতি নেতিবাচকই হবে। তবে এটা থেকে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সচল রাখতে হবে। আরেকটা হলো কৃষি খাত। এ খাতকে চাঙ্গা রাখতে হবে যে কোনো উপায়ে। বাম্পার উৎপাদনের ফলেই কিন্তু আমরা খাদ্য সংকটের মতো পরিস্থিতিতে পড়িনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে