নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার

0
856

এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজির নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন-সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা ৬.১ ও ৬.২ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূরণ হবে। মন্ত্রী গতকাল মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতর থেকে এশীয় ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন। সবার জন্য স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে সরকারি উদ্যোগ আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এ ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ৬.১ ও ৬.২ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেশে ৯.৩৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্রয়োজন। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ১৫০ মিলিয়ন ডলার এবং বেসরকারি খাত থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তার বিষয়ে অঙ্গীকার পাওয়া গেছে। ওয়াটার, স্যানিটেশন খাতে সরকারের বার্ষিক বরাদ্দ প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধিপূর্বক এ সেক্টরে বর্তমান বাজেটের গ্যাপ অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। মানুষের কাছে সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে প্রতিটি জেলায় টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে অনেক মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। সরকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূ-উপরস্থিত পানি বা সারফেস ওয়াটারের ব্যবহার প্রাধান্য দিচ্ছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে আর্সেনিক দূষণ আক্রান্ত এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষকে আর্সেনিকদূষণমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে বেসিক স্যানিটেশন কভারেজ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে ৭৫ শতাংশ মানুষকে।

সভায় আফগানিস্তান, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, লাওস, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মিনারমার, পাকিস্তান, ভুটানসহ এশীয় অঞ্চল বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং উন্নয়ন সহযোগীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, সবার জন্য স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে এশীয় ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে দুই বছর পর পর বিশ্বব্যাংকের সদর দফতর ওয়াশিংটন ডিসিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু কভিড-১৯-এর কারণে এ বছর স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অলের আয়োজনে ভার্চুয়ালি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে