বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে সোয়া ২০ লাখ।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৫০ লাখ ৩ হাজার ৫৩৩ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ লাখ ২৯ হাজার ৯৩৮ জনের। আর এ পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ৫ কোটি ২২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৪৪ জন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ২৮ হাজার ৬৪৩ জন। আর এই মহামারিতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩২ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ৮৪৭ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৫ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ২৭৪ জনের।
মৃত্যু বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো চতুর্থ স্থানে থাকলেও আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ১৩ নম্বরে। মেক্সিকোতে সোমবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ২৪১ জনের।
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় দিক থেকে রয়েছে পঞ্চম স্থানে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লাখ ৫ হাজার ৭৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৯ হাজার ৪২৯ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৯১টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫৬৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে আরও ২৩ জনের। সবমিলিয়ে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে ৫ লাখ ১৬ হাজার ১৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৯০৬ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন।