হৃদযন্ত্র ও হাড়ের সুস্থতার জন্য শরীরে ‘‘ভিটামিন কে’’ প্রয়োজন।
‘ভিটামিন কে’য়ের অভাব হলে নানান স্বাস্থ্যঝুঁকি, হাড়ের দুর্বলতা, হাড়ে খনিজের স্বল্পতা, হৃদরোগ, অস্টিয়োপোরোসিস, দাঁতের ক্ষয়, রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়।
তাই খাবারের মাধ্যমে ‘ভিটামিন কে’ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে খাবারে ‘ভিটামিন কে’ যোগ করার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
ব্রকলি: আধা কাপ ব্রকলিতে ৮৫ মাইক্রোগ্রাম ‘ভিটামিন কে’ থাকে। এটা রান্না করার নানান উপায় আছে। তবে ক্যানোলা বা জলপাইয়ের তেল দিয়ে রান্না করা ভালো। এতে খাবারে ‘ভিটামিন কে’ যোগ হওয়ার পাশাপাশি বাড়তি স্বাদও যোগ হয়।
কপি: কপিকে ‘ভিটামিন কে’য়ের রাজা বলা হয়। এটাকে ‘সুপার ফুড’ বলা যায় কারণ এটা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফোলাট সমৃদ্ধ। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ। ডায়াবেটিস ও স্থূলতার সমস্যা আছে এমন রোগীদের জন্য উপকারী।
পালংশাক: কাঁচার চাইতে আধা কাপ রান্না করা পালংশাক থেকে তিনগুণ বেশি ‘ভিটামিন কে’ পাওয়া যায়। এছাড়াও পালংশাক নানা রকমের পুষ্টি উপাদান যেমন- ভিটামিন-এ, বি, ই, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলায়েট এবং লৌহ সমৃদ্ধ।
লেটুস: লেটুসের এক পাতায় ৩.৬২ এমসিজি ‘ভিটামিন কে’ থাকে। এছাড়াও, এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যা মূলত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সকল উপাদান শরীরকে রোগমুক্ত ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
সয়াবিন: দুই ধরনের ‘ভিটামিন কে’ রয়েছে যথা- ‘ভিটামিন কে-১’ ও ‘কে-২’। ‘ভিটামিন কে-১’ উদ্ভিদ থেকে আসে এবং ‘ভিটামিন কে-২’ সামান্য পরিমাণে প্রাণিজ উৎস এবং গাঁজানো খাবার যেমন- পনির থেকে আসে।
তবে সয়াবিন ও সয়াবিন তেল থেকে ‘ভিটামিন কে-২’ পাওয়া যায়।