মাত্র ২১ ভাগ নমুনা পরীক্ষা ঢাকার বাইরে

0
993
coronavirus

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৩০৮, মৃত্যু ২৩

করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তে ঢাকার বাইরে নমুনা পরীক্ষা ক্রমেই কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ১০৩টি। এর মধ্যে ঢাকার ভিতরে হয়েছে ৮ হাজার ৭৫৫টি পরীক্ষা যা মোট নমুনার ৭৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ঢাকার বাইরে সারা দেশে হয়েছে ২ হাজার ৩৪৮টি পরীক্ষা যা মোট নমুনার মাত্র ২১ দশমিক ১৫ শতাংশ। সংক্রমণের শুরুতে ঢাকায় ল্যাব বেশি থাকায় ঢাকাকেন্দ্রিক নমুনা পরীক্ষা বেশি হলেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বাইরেও ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হয়। তবে বাড়েনি নমুনা পরীক্ষা। শুরু থেকেই ঢাকার বাইরে নমুনা পরীক্ষার হার ৫০ শতাংশের নিচে থেকেছে। এখন সেটা কমতে কমতে ২১ শতাংশে নেমেছে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সংক্রমণে ঢাকা বিভাগে মৃত্যুর হার আরও বাড়ছে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা বিভাগ থেকে আগে দৈনিক ৫-৭ জনের মৃত্যুর খবর এলেও বর্তমানে ১-২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে অধিকাংশ দিনই কোনো মৃত্যুর খবর আসছে না।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষা কম হওয়ায় ঢাকার বাইরে রোগী শনাক্ত কম হচ্ছে। তাই অনেক মৃত্যু হয়তো হিসাবের বাইরে থেকে যাচ্ছে। আগে যেমন উপসর্গে কেউ মারা গেলে তার নমুনা পরীক্ষা হতো। এলাকার মানুষের মধ্যে আলোড়ন তৈরি হতো। এখন সেটাও সেভাবে হচ্ছে না। হঠাৎ করে ঢাকার বাইরে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে যাওয়ার কারণ নেই। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন ঢাকা এবং একজন করে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জন ছিলেন পুরুষ ও চারজন নারী। সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, তিনজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, তিনজন চল্লিশোর্ধ্ব ও একজনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণে মোট প্রাণ হারালেন ৫ হাজার ৮০৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৩০৮ জনের। মোট রোগী শনাক্ত হলো ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৫। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনা সংক্রমণের সবশেষ তথ্য তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ মানুষের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৫৪৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

দেশের কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর ১১ হাজার ৭৩০টি সাধারণ শয্যার মধ্যে গতকাল খালি ছিল ৯ হাজার ৩০১টি। ৫৬৪টি আইসিইউর মধ্যে খালি ছিল ৩০৮টি। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে