স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার বা কারসিনোমা হল স্কোয়ামাস সেল নামক এপিথেলিয়াল কোষের ক্যান্সার। আনুমানিক শতকরা ৯০ ভাগ মুখের ক্যান্সারই হল স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠোঁট ও মুখগহ্বরে স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার আরম্ভ হয়ে থাকে। ক্যান্সার সেল বা কোষ আরও গভীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে যখন ক্যান্সার বিস্তৃতি লাভ করে।
মুখের ক্যান্সার তখনই হয়ে থাকে যখন কোষের ডিএনএ-এর মধ্যে ঠোঁটের অথবা মুখের কোষের পরিবর্তন বা মিউটেশন হয়ে থাকে। এ পরিবর্তন বা মিউটেশন ক্যান্সার কোষ জন্মাতে এবং বিভাজিত হতে সাহায্য করে থাকে যখন স্বাস্থ্যবান কোষগুলো মারা যায়। ক্যান্সার কোষগুলো জমা হয়ে একটি টিউমার গঠন করতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সার সেল বা কোষ মুখের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া মাথা ও ঘাড় ছাড়াও অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে চিকিৎসা গ্রহণ না করলে।
ঠোঁট ও মুখগহ্বরের স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সারের কারণ :
ক) তামাক জাতীয় পদার্থ সেবন
খ) মাত্রাতিরিক্ত এলকোহল সেবন
গ) দীর্ঘসময় যদি সূর্যালোকে থাকা হয়
ঘ) হিউম্যান প্যাপিওলোমা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হলে
ঙ) মহিলাদের চেয়ে পুুরুষদের ঝুঁকি বেশি থাকে।
মুখের স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সারের স্থান :
ক) চিবুকের অভ্যন্তরে বাক্কাল মিউকোসার ক্যান্সার।
খ) মুখের ফ্লোরের ক্যান্সার
গ) মাড়ির ক্যান্সার
ঘ) ঠোঁটের ক্যান্সার
ঙ) হার্ড প্যালেট ক্যান্সার
চ) লালাগ্রন্থির ক্যান্সার
ছ) জিহ্বার ক্যান্সার।
মুখের স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার বেশি দেখা যায় ঠোঁট ও জিহ্বার পাশে। সাধারণত ফোলাভাব অথবা আলসার হিসেবে দেখা যায় যা দেখতে সাদা, লাল, মিশ্র সাদা বা লাল। তিন সপ্তাহের বেশি এ ধরনের অবস্থা বিরাজ করলে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনতে হবে। স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সারের রোগ নির্ণয় করা হয় বায়োপসির মাধ্যমে। স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার বা কারসিনোমার চিকিৎসা সার্জারি, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপির মাধ্যমে করা হয়। কখন কোনটি করা হবে তা নির্ভর করে রোগীর অবস্থা এবং টিউমারের অবস্থান ও গতি প্রকৃতির ওপর।