যেসব কারণে বর্ষার সময় রোগ-বালা হয়

0
210
Spread the love

খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিজ জাতীয় কিছু ছত্রাক অসুখ এ সময়ে হয়ে থাকে। ভিজে শরীর ভালোভাবে না মুছে, ভিজে কাপড় ভালোভাবে না শুকিয়ে গায়ে দেওয়া, রোদ না থাকায় স্যাঁতসেঁতে ইত্যাদি কারণে বর্ষাকালে ত্বকের বেশকিছু অসুখ হয়। তাই, বর্ষার এ অসুখ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হলে সব সময় তোয়ালে, ব্রাশ, চিরুনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শুকনো রাখতে হবে।

বৃষ্টির পানি শরীর এবং মাথা থেকে ভালোভাবে মুছতে হবে, বিশেষ করে হাত ও পায়ের আঙুল ভালোভাবে ধুয়ে মুছতে হবে। রাস্তার নোংরা ও বন্যার পানি এড়িয়ে চলতে হবে। একান্তই যদি চলাচল করতে হয়, তবে বাড়িতে ফিরে অবশ্যই ডেটল ও সাবান দিয়ে পা ও স্যান্ডেল ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপরও যদি এ রোগগুলো দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বাড়ির জলাবদ্ধ জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে বৃষ্টির পানি জমতে না পারে।

* টাইফয়েড জ্বর

পানিবাহিত রোগের মধ্যে একটি হলো টাইফয়েড। ব্যাকটেরিয়া যুক্ত পানি বা খাবার এ রোগের জন্য দায়ী। হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণ করতে হবে। যথাসম্ভব রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

* ভাইরাস জ্বর

সারা বছর লেগে থাকলেও বর্ষায় এ জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় এ জ্বর, সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি, হাত-পা ম্যাজ-ম্যাজ করা, দুর্বলতা, খাবারে অরুচি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।

* জণ্ডিস

এ রোগের প্রধান উৎস দূষিত পানি। হেপাটাইটিস বা জণ্ডিসের ফলে রোগীর প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়। রোগী দুর্বল, বমি ভাব, খাবারের প্রতি অনীহা বোধ করে। লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্রম কমতে থাকে।

* ছত্রাক সংক্রমণ

ঘাম বা পানিতে বেশিক্ষণ ভেজা থাকলে পায়ের আঙুলের ফাঁকে, কুঁচকিতে, মাথায় ও চুলে ছত্রাক সংক্রমিত হয়। ছত্রাক সংক্রমণে ছত্রাকনাশক ক্রিম এবং চুলে বিশেষ শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।

* কৃমি সংক্রমণ

বর্ষাকালেই কৃমির প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। এ সময় পানি আর কাদামাটিতে মিশে থাকে এ পরজীবী জীবাণু। তাই অন্য যে কোনো ঋতুর তুলনায় বর্ষায় খুব সহজেই কৃমির সংক্রমণ ঘটে। এ সময়ে সবার কৃমির ওষুধ সেবন করা উচিত।

লেখক :  ডা. স্বপন কুমার মন্ডল 

সহকারী অধ্যাপক, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে