যেসব খাবার শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকাশে অবদান রাখে

0
175
Spread the love

সন্তানের বেড়ে ওঠা নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ নেই। বিশেষ করে সন্তানের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বুদ্ধিমত্তা বিকাশের ব্যাপারে অধিকাংশ মা বাবা সচেতন থাকেন।  গবেষকদের মতে, এক থেকে দুই বছরের মধ্যে শিশুদের মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশ ঘটে। এ কারণে এই সময় অবশ্যই তাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করতে পারে।

১. ডিম
মস্তিষ্ক গঠনের পাশাপাশি মেধা বিকাশে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম এমন খাবারের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ডিমের নাম। ডিমে থাকা আয়রন রক্তের সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। এর ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে।

যা ধীরে ধীরে শিশুর চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা বাড়িয়ে তোলে।

২. সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, লইট্যা, রূপচাঁদা, বাটার ফিশ ইত্যাদি মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলিতে পাওয়া যায় প্রোটিন, জিঙ্ক, আয়রন, আয়োডিন এবং ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি অ্যাসিড।

৩. রঙিন সবজি
এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা মস্তিষ্কের কোষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

তাই আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ বাড়াতে টমেটো, মিষ্টি আলু, কুমড়া, গাজর বা পালং শাকজাতীয় সবজি খাওয়াতে পারেন।

৪. কমলা
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলটি স্বাস্থ্যকর মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের বুদ্ধিভিত্তিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে কমলা।

৫. দই
মিষ্টি ছাড়া দই মস্তিষ্কের বৃদ্ধিতে সহায়ক। এতে প্রোটিন, জিঙ্ক ও আয়োডিনের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

শিশুদের থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে আয়োডিন প্রয়োজন। গবেষকদের মতে, হালকা আয়োডিনের ঘাটতিও শিশুর যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে।

৬. বাদাম
নানা ধরনের বাদাম এবং বাদামের মাখনের মতো খাবার সুস্থ মস্তিষ্কের বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির বিকাশে অবদান রাখে। শিশু বয়সে যখন মস্তিষ্ক দ্রুত বৃদ্ধি পায় তখন জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিঙ্কের অপর্যাপ্ত পরিমাণ আপনার সন্তানের স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষমতাকে নষ্ট করতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে