সঠিক সময়ে রোগ ধরা পড়া জরুরি, এড়িয়ে যাবেন না যেসব উপসর্গ

0
351
doctor explaining diagnosis to her female patient
Spread the love

শরীর থেকে যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখার দায়ভার থাকে কোলনের উপর। কোলন যদি ঠিক মত কাজ না করে তাহলে কিন্তু ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলিও বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

আমাদের শরীর থেকে নিয়মিত বর্জ্য পদার্থ, ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যাওয়া জরুরি। কোনও কারণে যদি মলত্যাগে বাধার সৃষ্টি হয় তাহলে কিন্তু শরীর খারাপ হতে বাধ্য। আর কোলন সুস্থ রাখতেই ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া জরুরি।

এক্ষেত্রে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানিও খেতে হবে। অন্ত্র কিন্তু খুবই সংবেদনশীল। যদি দীর্ঘদিন ধরে পেট পরিষ্কার না হয়, অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, মলত্যাগে বাধা আসে তখনই কিন্তু সেখানে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এক্ষেত্রে কোলনে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি ঘটে। আর এই অস্বাভাবিক কোশ বা পলিপই কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ।

অনেকেরই অর্শের সমস্যা থাকে। দীর্ঘদিন ধরে অর্শের সমস্যায় ভুগলে সেখান থেকেও কিন্তু কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা থেকে যায়। অনেকের ক্ষেত্রেই আবার এই অর্শের সমস্যা হল জিনগত। অর্শের জন্য কিন্তু কোলনে জটিলতা তৈরি হয়। সেই সঙ্গে সামগ্রিক অন্ত্রের উপরেও কিন্তু চাপ পড়ে। এতে মলদ্বারের উপরের ও নীচের অংশ ফুলে যায়। তবে এই অর্শ রোগ কিন্তু তিন ধরণের হয়।

তবে এই কোলন ক্যান্সারে আজকাল প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। ছেলেদের মধ্যে এই ধরনের ক্যান্সার রয়েছে তৃতীয় স্থানে। আর মেয়েরা যে সব ক্যানসারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কোলনের ক্যান্সার।

এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হল-

যাদের অর্শ রয়েছে, তাদের কিন্তু কোলন ক্যান্সারে ভোগার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই অর্শের সমস্যায় প্রথম থেকেই ঠিক করে চিকিৎসা করান। মল দ্বার থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত কিন্তু কাম্য নয়। যদি দেখেন যে গাঢ় রক্তপাত হচ্ছে তাহলে কিন্তু ধরে নেবেন তা অভ্যন্তরীণ ক্ষরণ। যা আদতে ক্যান্সারের ইঙ্গিত। সেই সঙ্গে মলত্যাগেও কিন্তু অসুবিধা হয়।

শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে ব্যাঘাত ঘটলে কিন্তু শরীরে একরকম অস্বস্তি লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে মলত্যাগেও কষ্ট হয়। পেট পরিষ্কার হতে চায় না কিছুতেই। গ্যাসের সমস্যা, পেট ব্যথা লেগেই থাকে। আর মলও খুব শক্ত হয়ে যায়। কখনও কখনও রক্তপাতের জন্য একদমই মল পরিষ্কার হয় না। এটিও কিন্তু কোলন ক্যান্সারেরই লক্ষণ।

আবার অন্ত্রে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া এবং হঠাৎ করে যদি মলের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে, বার বার মলত্যাগ হয় কিংবা অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু তা অবহেলা নয়। কারণ এটি অবশ্যই তা ক্যানসারের লক্ষণ।

পেটে ব্যথা, ক্লান্তি এবং মলদ্বার থেকে রক্তপাত উপেক্ষা নয়। যত দ্রুত সম্ভব কোলনোস্কোপি করান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে