হ্যান্ড স্যানিটাইজারের রাসায়নিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি

0
850

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু স্যানিটাইজারে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ দুর্বল করছে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে। তৈরি হচ্ছে লিভার, চর্ম, থাইরয়েড, মাংসপেশিতে বিভিন্ন সমস্যা। দাহ্য পদার্থ হওয়ায় রয়েছে প্রাণহানির শঙ্কাও। তাই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের চেয়ে হাত ধোয়ায় উৎসাহিত করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে মেখে খাবার খেলে অ্যালকোহল, টক্সিন, ট্রাইক্লোসেনসহ  বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান শরীরে প্রবেশ করে। এ ধরনের উপাদান শিশুদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়। বয়স্ক ব্যক্তি ও ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল তরুণদেরও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। এতে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো শক্তি শরীর হারিয়ে ফেলে। হ্যান্ডস্যানিটাইজারে মেডিকেল ঝুঁকি না থাকলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। স্যানিটাইজারে উচ্চমাত্রায় অ্যালকোহল থাকায় এটা ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থ। স্যানিটাইজার হাতে মেখে রান্নাঘরে কোনোভাবে আগুনের সংস্পর্শে এলে হাত পুড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গাড়িতে হ্যান্ডস্যানিটাইজারের বড় বোতল থেকে অসতর্কতায় স্যানিটাইজার বের হয়ে গাড়িকে গ্যাসচেম্বারে পরিণত করতে পারে। কোনোভাবে আগুনের সংস্পর্শে এলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। অনেকে মাস্কে স্যানিটাইজার স্প্রে করে ব্যবহার করেন। এটা কখনোই করা যাবে না। স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল না থেকে অনেক সময় টক্সিন থাকে। এটা কীটনাশকে ব্যবহার হয়। যা মানুষের শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। তাই করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে। হ্যান্ডস্যানিটাইজার শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। নিশ্ছি দ্র বোতলে স্যানিটাইজার রাখতে হবে যেন অসতর্কতায় পড়ে না যায়। শুষ্ক, ঠান্ডা জায়গায় রান্নাঘর থেকে দূরে রাখতে হবে। সাবান দিয়ে নিয়মিত মাস্ক ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এই মুহূর্তে হ্যান্ডস্যানিটাইজার প্রয়োজনীয় সামগ্রী। কিন্তু প্রথমে চেষ্টা করতে হবে হাত ধুয়ে নিরাপদ থাকার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে