অন্ধরাই জানেন আলোর মূল্য কতটা। কিন্তু চোখ থাকতে যদি আমরা চোখের মর্ম না, বুঝি তাহলে আলোর জন্য হাহাকারও করা করা লাগতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। চোখের যত্ন যদি না নিই, ছোটখাটো লক্ষণগুলো যদি পাত্তা না দিই, অচিরেই অন্ধত্ব এসে গ্রাস করতে পারে। তাই আগেভাগে অন্ধত্বের লক্ষণগুলো জানা জরুরি।
ঝাপসা বা অস্পষ্ট দেখা
অন্ধত্বের শুরুর দিকের অনেক লক্ষণগুলোর একটা হলো ঝাপসা বা অস্পষ্ট দেখা। চোখের সামনে সব কিছু আবছা দেখতে শুরু করলে ধরে নেবেন আপনি একটু একটু করে অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় দ্রুত চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রঙ চিনতে না পারা
হঠাৎ করে অনেকের রঙ চিনতে সমস্যা হতে পারে। অর্থাৎ কাছাকাছি রঙগুলোর পার্থক্য যদি না বোঝেন, তাহলে এটা নিয়ে হেলাফেলা করা ঠিক হবে না। ডায়াবেটিস বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। এটা পরবর্তীতে দৃষ্টিহীনতায় রূপ নিতে পারে।
মৃদু বা তীক্ষ্ণ আলোর প্রতিক্রিয়া
চোখের আলোর প্রতিক্রিয়ায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। যেমন তীক্ষ্ণ আলোতে চোখ জ্বালা বা হালকা আলোতেও ঝাপসা দেখা—এটা অন্ধত্বের অন্যতম লক্ষণ।
চোখের সামনের দিকে কালো বা রঙিন ছোপ দেখাদিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। রেটিনার সমস্যার কারণে এটা হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা চিকিৎসা না নিলে অন্ধত্ব এসে জেঁকে বসতে পারে।
চোখব্যথা
আকস্মিক চোখে ব্যথা বা চাপ অনুভব করলে, সেটাকে অবহেলা করা ঠিক হবে না। এটা গ্লুকোমার লক্ষণ হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা না করলে সেটা দৃষ্টিহীনতায় রূপ নিতে পারে, এমনকী চোখের স্নায়ু পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বারবার মাথা ব্যথা এবং চোখজ্বলা
অনেক সময় চোখের চাপের জন্য মাথা ব্যথা ও চোখে জ্বালুনি হতে পারে। যদি নিয়মিত মাথা ব্যথা হয়, তবে তা চোখের চোখের চিকৎসকের কাছে যান। নইলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
অন্ধত্বের এই সাতটি লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে এই লক্ষণগুলি বুঝে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই, নিয়মিত চোখ পরীক্ষা ও সঠিক জীবনযাত্রা মেনে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা উচিত।
সূত্র: ল্যানসেট