গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ১৯৪ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৩১ হাজার ৬১৪ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ১ হাজার ৯২০ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৬৭ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৬ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৬১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৪৫ জন এবং মারা গেছেন ৫০৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৪২১ জন এবং মারা গেছেন ৩৮২ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়; করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে একজন মারা গেছেন। আর এ সময়কালে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৮ জন। আগের দিন ৫ হাজার ৫৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৫০ জন। দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৪৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৪৪০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ১৫ জন। শনাক্তের হার দশমিক ৪৮ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল দশমিক ৬৪ শতাংশ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৪৬ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৭৪ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।