গ্রীষ্মে রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে যে ফল

গরমকালে বাজারে পাওয়া যায় মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল আতা। শুধু স্বাদেই নয়, এই ফলে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর উপাদান, বিশেষ করে নারীদের জন্য এটি হতে পারে অত্যন্ত উপকারী। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থগুলোতেও আতা ফলের ওষধি গুণের উল্লেখ পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। যা নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। চলুন, জেনে নিই আতা ফল কী কী সমস্যায় উপকারে আসে।

রক্তাল্পতা কমায়
আয়রনসমৃদ্ধ আতাফল রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।

ভারসাম্যহীনতা ও গাঁটে ব্যথা দূর করে
আতাফলে থাকা ভিটামিন বি-৬ স্নায়ু ও পেশির স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।যা ভারসাম্য রক্ষা এবং গাঁটের ব্যথা কমাতে কার্যকর।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ভিটামিন বি-৬ হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি রক্তে হোমোসিস্টেইনের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
আতাফলে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

হাড় মজবুত করে
এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন মজবুত করে, বিশেষ করে নারীদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব হাড়জনিত সমস্যা দেখা দেয়, তা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

রক্তাল্পতা কমায়
আয়রনসমৃদ্ধ আতাফল রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।

মাসিকের সময়ে উপশম
পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাব হলে আতাফলের উপকারিতা পাওয়া যায়। অনেকেই গাছের মূলের গুঁড়ো ব্যবহার করে থাকেন এই সময়।

ত্বকের যত্নে
আতাফলে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ব্রণ, দাগ ও সংক্রমণ দূর করে।এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকে ব্রণ ছড়াতে দেয় না।

উকুন দূর করতে
আতাফলের বীজ গুঁড়ো করে মাথায় লাগালে উকুন দূর হয়। এটি বহুদিন ধরেই একটি ঘরোয়া উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

গর্ভবতী নারীদের জন্যও উপকারী
আতা ফল গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। এটি শরীরে শক্তি জোগায়, হজমে সহায়তা করে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *