জনবল ও যন্ত্রপাতি না থাকায় পটুয়াখালীতে শুরু হয়নি পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম

0
832

অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং জনবল না থাকায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে অরটিপিসিআর ল্যাব দুই মাসেও চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে করোনার এই মহা মারিতেও করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে সাধারণ মানুষকে তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এ কারণে দ্রুত পিসিআর ল্যাব চালু করার দাবি জেলাবাসীর।

গত বছরের শুরুর দিকে করোনার প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকেই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি তোলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরের শুরুতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের তত্বাবধানে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হয়। গণপূর্ত বিভাগ প্রয়োজনীয় চাহিদা অনুযায়ী ৩২ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ এপ্রিল মাসে শেষ করে।

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য বেশ কযেকটি সুরক্ষিত রুম তৈরি, টাইস লাগানো সহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক এসি স্থাপন এবং যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়েছে। পরবর্তী কাজ গুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করবে।

এদিকে আরটিপিসিআর ল্যাব পরিচালনার জন্য ৮ জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, ৪ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ৪ জন অফিস সহায়ক এবং ৪ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর চাহিদা কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ একাকিবার অবহিত করলেও প্রয়োজনীয় জনবল এখনও পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও স্থাপন করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জনবলের চাহিদার বিষযে গত ৩০ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। এর পর গত ১৯ জুন পরিচালক স্বাস্থ্য (বরিশাল বিভাগ) বরাবর পুনরায় চিঠি দেয়া হয় এবং সর্বশেষ গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি দিয়ে তাকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তবে এসব চিঠির কোন জবাব পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে পটুয়াখালীতে আরটিপিসিআর ল্যাব চালু না করায় এখনও করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে তিন থেকে পাঁচ দিন অপেক্ষা করতে হয়। তবে এর পরও এন্টিজেন টেস্ট এবং জিনএস্কপার্ট মেশিন এর মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করে বিদ্যমান পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেস্টা চলছে বলে জানান সিভিল সার্জন জাহংগীর আলম।

সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশের সাথে পটুয়াখালীতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। আর করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে ৫৯ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে