ডালিমের পুষ্টিগুণ

ডালিম মজাদার ও পুষ্টিকর এক ফল যা বছরের প্রায় সব সময়ই পাওয়া যায়। ডালিমে রয়েছে প্রচুর ফসফরাস যা কমলা, আপেল ও আমের চেয়ে চার গুণ বেশি। আতা ও আঙুরের চেয়ে দ্বিগুণ, কুল ও আনারসের চেয়ে সাত গুণ বেশি। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম আহার-উপযোগী ডালিমে রয়েছে শর্করা ১৪.৫ গ্রাম, প্রোটিন ১.৬ গ্রাম, ফ্যাট ০.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০ মি.গ্রা, ফসফরাস ৭০ মি.গ্রা, আয়রন ০.৩ মি.গ্রা, ভিটামিন সি ১৪ মি.গ্রা, খাদ্যশক্তি ৬৫ কিলোক্যালরি। তবে ডালিমের উল্লিখিত পুষ্টিমান উৎপাদনের স্থান, জাত ও মানের ওপর হেরফের হতে পারে। ডালিমে রয়েছে উপকারী উপাদান ফাইটোকেমিক্যাল যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আজকাল বিজ্ঞানীরা ডালিমের পুষ্টিগুণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, ডালিম রক্তের এলডিএল কলেস্টেরলের মাত্রা কমায় যা রক্তনালিতে জমা হয়ে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ডালিমের পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ভেষজগুণও রয়েছে। ডালিমের খোসায় রয়েছে অ্যাসর্ট্রিনজেন্ট নামের এক ধরনের ফাইটোকেমিক্যালস। এর খোসা পানিতে সেদ্ধ করে সে পানি সর্দি, গলার খুশখুশে কাশি, গলা ব্যথায় পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয় ও পেটের সমস্যায় ডালিমের রস উপকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *