ডায়াবেটিক রোগীর জন্য ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য হাঁটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটা বা ব্যায়াম আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে, উচ্চ রক্তচাপ কমাবে, খারাপ কোলেস্টেরল কমাবে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়াবে, দুশ্চিন্তা কমাবে, মাসল ও হাড়ের শক্তি বাড়াবে এবং সর্বোপরি আপনার শারীরিক অবস্থার উন্নতি করবে।

ব্যায়াম দুই প্রকারের হতে পারে, অ্যারোবিক ও রেজিস্ট্যান্ট। অ্যারোবিক ও রেজিস্ট্যান্ট ব্যায়াম উভয়ই আপনার শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াবে এবং বিগত তিন মাসের ডায়াবেটিসের গড় কমাবে।

অ্যারোবিক ব্যায়ামগুলো হচ্ছে জোরে জোরে হাঁটা, সাইক্লিং, জগিং, সাঁতার কাটা। রেজিস্ট্যান্ট ব্যায়ামগুলো হচ্ছে ওজন ওঠানো, দেয়াল বা কোনো শক্ত কাঠামোর বিপরীতে হাত বা পা দিয়ে চাপ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখা।

কিভাবে ব্যায়াম করবেন

♦ অনেকক্ষণ একটানা বসে থাকা যাবে না, বিশেষ করে আমরা যারা ডেস্কে কাজ করি। প্রতি ৩০ মিনিট পর ডেস্ক থেকে উঠে হাঁটা বা হালকা কাজ করতে হবে।

♦ অনেকক্ষণ ধরে বসে টিভি দেখা বা বসার কাজ পরিহার করে মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে পায়চারি করতে হবে।

♦ প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরনের শরীরচর্চা, যেমন—জগিং, হাঁটা, সাঁতার কাটা এগুলো করতে হবে। টানা দুই দিন বিরতি দেওয়া যাবে না।

উপকারিতা

♦ শরীরচর্চা ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে কম ওষুধ বা ইনসুলিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।

♦ ওজন কমাতে সহায়তা করে।

♦ উচ্চ রক্তচাপ কমায়, খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।

♦ হৃদরোগ, স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

♦ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

♦ হাড় ও হৃিপণ্ডকে শক্তিশালী করে।

♦ ব্যায়াম ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও সহায়তা করে। যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস আছে, তারা ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস হওয়ায় আশঙ্কা কমে যায় বা ডায়াবেটিস হওয়া বিলম্বিত হয়।

সতর্কতা

♦ অসুস্থ অবস্থায়, যেমন—জ্বর বা ডায়রিয়া নিয়ে ব্যায়াম না করাই ভালো।

♦ ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা দিলে যেমন—শরীর কাঁপা, বুক ধড়ফড় করা, চোখে ঝাপসা দেখা—তাহলে ব্যায়াম বন্ধ করে কিছু খেয়ে নিতে হবে।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ

ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *