উজ্জ্বল ত্বক কিংবা ত্বকের রং বদলাতে কত কিছুই না করা হয়। তাতে আশানুরূপ ফল না পেলে বাড়ে হতাশা। অন্যদিকে বাজারের চলতি প্রসাধনী ব্যবহারের পর হঠাৎ বন্ধ করে দিলেই বাধে বিপত্তি। ত্বকের কোনো অংশ সাদা, আবার কোনো অংশ কালো হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারের প্রসাধনী না দেখে ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়।
কেন ক্ষতিকর
চলতি প্রসাধনীতে অজস্র রাসায়নিক থাকে। যার মধ্যে রয়েছে- মার্কারি, লেড, স্টেরয়েডসহ নানা প্রিজারভেটিভ। যা কেবল ত্বকের স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করে না; ফুসকুড়ি, স্থানভেদে রং বদল, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাল সংক্রমণ প্রতিরোধের সক্ষমতাকেও নষ্ট করে ফেলে। পাশাপাশি মানসিক অশান্তি তো আছেই। মুখে মেছতার পাশাপাশি মুখ-গলা ও হাতে বিভিন্ন রকমের অ্যালার্জি ও র্যাশ হয়। ত্বক শুকিয়ে নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। যারা নিয়মিত এসব ক্রিম মাখেন, তাদের চোখে জ্বালা থেকে শুরু করে নানা রকম অসুবিধা হতে পারে। ত্বকের ক্ষতির পাশাপাশি সফট টিস্যুরও সমস্যা হয়। এমনকি ক্যান্সারের শঙ্কাও থাকে।
যা করণীয়
ত্বকের রং মূলত প্রকৃতি প্রদত্ত বিষয়। ত্বকে অবস্থিত মেলানিন ত্বকের রং নির্দিষ্ট করে। এর ওপর জিনগত, পারিবারিক ও পরিবেশগত প্রভাবও রয়েছে। তাই অকারণে এই রং পরিবর্তনের জন্য মলম, ক্রিম বা ওষুধ ব্যবহার উচিত নয়। মুখে মেছতা বা ঘাড়ে কালো দাগ, কিংবা ত্বকের কোনো পিগমেন্টেশন বা দাগ দূর করতে চাইলে তারও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা আছে। এ জন্য আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সজীব ত্বক পেতে বরং নিয়মিত যত্ন নিন, সুস্থ জীবন বেছে নিন এবং সুষম খাবার খান।
রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারের চলতি প্রসাধনী কিংবা মলমজাতীয় ওষুধ ব্যবহারের পরিবর্তে ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া ভালো। সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক, তৈলাক্ত ও শুষ্ক ত্বকের জন্য রইল তিনটি আলাদা মিশ্রণ। মরা চামড়া দূর করে উজ্জ্বল ত্বক পেতে নিচের মিশ্রণগুলো ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারেন।
স্বাভাবিক ত্বক : চালের গুঁড়া, দুধ, মধু, শসা ও গাজরের রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বক : চালের গুঁড়ার সঙ্গে টক দই ও শসার রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে তৈলাক্ত ত্বকে। কয়েক দিন ব্যবহারে ত্বকের মরা চামড়া উঠে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
শুষ্ক ত্বক : শুষ্ক ত্বকের জন্য শুধু দুধ ও মধুর মিশ্রণই যথেষ্ট। কাঁচা হলুদ বেটে এই মিশ্রণের মধ্য দিলে ফল ভালো পাওয়া যাবে। তবে যদি কারও হলুদে অ্যালার্জি থাকে তাহলে এই মিশ্রণে কাঁচা হলুদ বাটা যোগ করার দরকার নেই।
মিশ্রণগুলো ব্যবহারের আগে ত্বক পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। পরিষ্কার ত্বকে প্যাক ব্যবহার করা উত্তম। ২০ মিনিট মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।