নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর কলমি শাক

নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর কলমি শাক। তবে অন্যান্য শাকের ভিড়ে এই শাক খুব একটা কদর পায় না। অবহেলিত এই শাকই আপনার শরীরের নানা উপকার করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলমি শাকে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন ও অন্যান্য জরুরি কিছু উপাদান। যে কারণে এই শাক খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কলমি শাকের উপকারিতা-

লিভার ভালো রাখে
লিভার ভালো রাখতে কলমি শাক বেশ কার্যকরী। এটি জন্ডিসের ক্ষেত্রেও সমানভাবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কলমি শাকে থাকা কিছু উপাদান লিভার থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে ড্যামেজ লিভার সুস্থ করার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকরী। লিভারের সমস্যায় ভুগলে তারা কলমি শাক রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কাজ করে
বর্তমানে অনেক ছোট বয়সেই চোখে সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকের। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত কলমি শাক খাওয়া উপকারী। কারণ এই শাকে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ। চোখ ভালো রাখতে কার্যকরী উপাদান হলো এই ভিটামিন। তাই চোখ ভালো রাখতে নিজে তো খাবেনই, শিশুদেরও এই শাক খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।

ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে
ক্যান্সারের মতো মরণঘাতি রোগকে দূরে রাখতেও কাজ করে কলমি শাক। এই শাকে থাকে ১৩ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে সব ধরনের ফ্রি ব়্যাডিকেলস বের করে দেয়। ফলে শরীরে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে। তাই ক্যান্সারের মতো প্রতিরোধ করতে চাইলে এই শাক খেতে হবে।

হার্ট ভালো রাখে
কলমি শাকে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন। সেইসঙ্গে এই শাকে আরও থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এই দুই উপাদান। যে কারণে দূরে থাকে হৃদরোগের মতো অসুখ। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কলমি শাক খান তাদের হার্টের রক্তনালীর ভেতর প্লাক বা ময়লা জমে না। হার্ট ভালো রাখতে এই শাক নিয়মিত খেতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। এই কাজে আপনাকে সাহায্য পারে কলমি শাক। এই শাকে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। সরাসরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে কাজ করে এই ভিটামিন। যে কারণে সংক্রামক অসুখ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *