খুব গরম বা আবহাওয়া পরিবর্তনে অনেক সময় শিশুর শরীরে র্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়। অনেক মা এ সমস্যায় নিয়ে ফেলেন ভুল পদক্ষেপ। এতে শিশুর কষ্ট না কমে বরং বেড়ে যায়। তাই আজ জানাব এ সমস্যায় নিজের শিশুকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তার বিস্তারিত।
চিকিৎসাশাস্ত্রে এ সমস্যাকে বলা হয় হিট র্যাশ। সাধারণত যখন আবহাওয়া হঠাৎ ঠান্ডা থেকে গরম বা গরম থেকে ঠান্ডা হতে শুরু করে, তখন এ সমস্যায় আক্রান্ত হয় শিশুরা। অনেক সময় বড়দের মধ্যেও এ সমস্যা দেখা যায়। হিট র্যাশ বা ফুসকুড়ির প্রধান কারণ হলো ত্বকের ফোঁড়গুলো হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া।
এ সমস্যা দেখা দিলে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন–
১. হিট র্যাশ হলে অবশ্যই পরনে সুতির কাপড় প্রাধান্য দিতে হবে। পোশাকে যেন বাতাস ঢুকতে পারে, এর জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
২. শিশুকে নিয়মিত গোসল আর পরিষ্কার রাখতে হবে। অকারণে শিশুকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা যাবে না।
৩. শিশুর ঘর যেন অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪. গোসলে প্রতিদিন সাবান ব্যবহার করা যাবে না। কারণ, সাবানের ব্যবহার শিশুর ত্বক রুক্ষ আর খসখসে করে তোলে।
৫. হিট র্যাশে ত্বক তীব্র গরম সহ্য করতে পারে না। তাই প্রখর রোদ থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে।
৬. অনেকেই এ সময় শিশুর ত্বকে বেশি বেশি পাউডার আর লোশনের ব্যবহার শুরু করে দেন, যা মোটেও উচিত নয়।
৭. শিশুকে এ সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখা একদমই উচিত নয়। কারণ, ডায়াপার পরার কারণে এ সময় শিশুর ত্বকে হিট র্যাশ আরও বেড়ে যাবে।
৮. গরমে শিশু ঘেমে গেলে তা যেন শিশুর ত্বকে না লেগে থাকে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য যখনই শিশু ঘেমে যাবে সঙ্গে সঙ্গে শিশুর ত্বক থেকে একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে ঘাম মুছে নিতে হবে।
৯. পরিষ্কার ত্বকে শসার পেস্ট বরফ করে শরীরে ঘষে দিতে পারেন। ১০ মিনিট শরীরে রস রাখার পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এর ব্যবহারে হিট র্যাশ অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। কারণ, শসার ট্যানিন ও ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যালার্জিবিরোধী। তাই হিট র্যাশ দূর করতে এটি ভালো কাজে আসে।
১০. হিট র্যাশে ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স স্বাভাবিক রাখতে হয়। তাই মা ও শিশু উভয়কেই এ সময় বেশি বেশি পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে।