সাধারণত শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়। শুষ্ক বাতাস ত্বক থেকে অতিরিক্ত পানি শুষে নেয়। এ জন্য রুক্ষ হয়ে ওঠে ত্বক। ফাটল ধরে ঠোঁট, হাতের কনুই ও পায়ের গোড়ালিতে। ত্বকে খসখসে ভাব দেখা দেয়। এ সময় ত্বকের নিয়মিত যত্ন না নিলে বিভিন্ন রকম চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে
♦ অতিরিক্ত ক্ষার দেওয়া ফেসওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করবেন না, বরং ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান বেশি উপযোগী। ত্বক পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
♦ গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ ও মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে, যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
♦ গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
♦ শীতের রোদ আরাম দিলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫ থেকে ৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। বেশি ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
♦ ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধে ভ্যাসেলিন, লিপজেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে গেলে রক্ত বের হতে পারে।
♦ প্রচুর শাক-সবজি খান। পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
♦ যাঁদের পুরনো চর্মরোগ যেমন—সোরিয়াসিস রয়েছে, তাঁদের ত্বকের সমস্যা এ সময় বেড়ে যেতে পারে। তাঁদের বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পায়ের যত্ন
শীতকালে পা ফাটার প্রবণতা বেড়ে যায়। পায়ের গোড়ালি ফাটা কমাতে অলিভ অয়েল ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। শীতের সময় মোজার ব্যবহার খুব গুরুত্ব বহন করে। এতে পা অনেকটা ঢাকা থাকে। ফলে ধুলাবালি লাগার সুযোগ থাকে না। এই শীতে এমন মোজা বেছে নিন, যা পরে আরাম অনুভব করবেন।
যা করবেন না
♦ বাসায় থাকার সময় মেঝেতে, বিশেষ করে মার্বেল পাথরের মেঝেতে কখনোই খালি পায়ে হাঁটবেন না। এতে পায়ের ফাটা বেড়ে যেতে পারে।
♦ পায়ের চামড়া টেনে তুলবেন না।
♦ পায়ের পাতার ত্বক শুষ্ক রাখবেন না।
ত্বকের বাহ্যিক যত্নের পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত খাবারের প্রতিও। সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এ ছাড়া শরীরের ভেতরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রচুর পানি পান করুন।