সুস্থতা ধরে রাখতে যেসব তিতা খাবার জরুরি

0
265
Spread the love

তিতা খাবার মানবদেহের ভেতর থাকা বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে দেহকে রাখে সুস্থ এবং পাশাপাশি বিপাকীয় কার্যক্রম বাড়ায়। নানা রোগের উপশম হিসেবে কাজ করে তিতাজাতীয় খাবার। প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তিতা খাবার অ্যান্টি-এজিং হিসেবে কাজ করে। ফলে তারুণ্য ধরে রাখা যায়।

তবে এই তিতা খাবারগুলোর সঙ্গে বেশি করে রসুন মিশিয়ে আধা সিদ্ধ বা কাঁচা কাঁচা অবস্থায় এক ফালি লেবু যোগ করে খেলে উপকৃত হবেন আরো বেশি।

চিরতা

সব তিতা খাবারের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী চিরতা। চর্মরোগ থেকে শুরু করে হেপাটাইটিস, ডায়াবেটিস, ম্যালেরিয়া, অ্যাজমা প্রভৃতি জটিল রোগের চিকিৎসায় চিরতার ব্যবহার অনেক আগে থেকে। চিরতা হজম ক্ষমতা বাড়ায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, জ্বর কমায়, অ্যালার্জি দূর করে, ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করে, রক্তশূন্যতা পূরণ করে, কৃমি সারায়, চুল পড়া কমায়, হাঁপানি দূর করে, লিভার ভালো রাখে ও ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক। চিরতার উপকার ভালোমতো পেতে একটানা ১৫ থেকে ৩০ দিন খেয়ে, ঠিক ১৫ থেকে ৩০ দিন গ্যাপ দিয়ে আবার খেতে পারেন।

করলা

করলায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স, ভিটামিন ‘সি’, বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ইমিউনিটি বাড়াতে, রক্তের চর্বি কমাতে, ব্লাড প্রেসার ও ব্লাড সুগার কমাতে করলা বা উচ্ছে সাহায্য করে। চুল ও স্কিন ভালো রাখতেও সহায়তা করে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে করলা।

নিমপাতা

জীবাণুনাশক হিসেবে নিমপাতার পরিচিতি ও কদর খুব বেশি। অ্যাটি ন্যাচারাল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। স্কিনের সমস্যা দূরীকরণে নিমপাতা বাটার ব্যবহার প্রচলিত। স্নায়বিক ও হজমের সমস্যা দূর করতে পাতে রাখতে পারেন নিমপাতা। নিয়মিত খেলে লিভার ভালো থাকে এবং ক্ষুদ্রান্তের ব্যাকটেরিয়াও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

শজিনা

শজিনা ডাঁটা, পাতা ও ফুল সবই স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। সর্দিজ্বর, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন (UTI) দূর করতে শজিনা ফুল খুব উপকারী। বসন্ত বা চিকেন পক্স হলে শজিনা পাতার ভর্তা, ভাজি বা ফুল ভাজি খুব উপকারী পথ্য। এতে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়াম। ফলে নিয়মিত খেলে উপকারই পাবেন বেশি।

পাটশাক

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, অ্যালকালয়েড, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, লিপিড, কার্বোহাইড্রেট ও ফলিক এসিড। পাটশাকে ক্যারোটিনের পরিমাণও অনেক বেশি। রুচি বাড়াতে, মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে, মুখের ঘা দূর করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, বাত ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে পাটশাক খুব উপকারী।

পরামর্শ দিয়েছেন

শায়লা শারমীন

সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল, ঢাকা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে