গোপালগঞ্জে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন শতভাগ নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে মনিটরিং ও সুপারভিশনের কাজ শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী দেশের প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিক টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকে এ কার্যক্রম শুরু করেন।
ডা. নাহিদ ফেরদৌসী দেশের কমিউনিটি ক্লিনিক মনিটরিং ও সুপার ভিশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবায় শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের সেবার মান আরও বৃদ্ধি করে এখানে কর্মরতদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মনিটরিং ও সুপার ভিশন শুরু করেছি। আমি সারাদেশের দায়িত্ব পেলেও মূলত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার দায়িত্ব পালন করব। মনিটরিং ও সুপারভিশনের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিককে আরও গতিশীল করে আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিত করব। এ বিষয়ে গবেষণার কাজ হবে। গবেষণার তথ্য উপাত্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। এতে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসীম উদ্দিন বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে মনিটরিং ও সুপারভিশনের জন্য ডা. নাহিদ ফেরদৌসীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি রবিবার ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক মনিটরিং ও সুপারভিশন করেছেন। তিনি কাজের ক্ষেত্রে খুবই আন্তরিক। তিনি প্রত্যেকটি কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিবেশ রক্ষায় একটি করে ফলদ গাছের চারা রোপণ করেছেন। মনিটরিং ও সুপারভিশন এভাবে অব্যাহত রাখলে গ্রামের সব মানুষ এখান থেকেই ভাল চিকিৎসা সেবা এবং বিনামূল্যে ঔষুধ পেয়ে আরও বেশি উপকৃত হবেন।
পাটগাতী গ্রামের আবুল সরদার বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ঔষুধ পেয়ে আমরা রোগ-ব্যাধি থেকে দূরে আছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আমি কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে জানতে পারলাম এখন থেকে একজন ডাক্তার নিয়মিত কমিউনিটি ক্লিনিক মনিটরিং ও সুপারভিশন করবেন। এতে আমাদের সেবার মান আরও বাড়বে। এখানে বসেই প্রচলিত সেবার পাশাপাশি নতুন চিকিৎসা সেবা পাব বলে আশা করছি।