বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রকোপ শুরু হলে চট্টগ্রামে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে শয্যার চরম সংকট দেখা দিয়েছিল। বেসরকারি হাসপাতালের দরজা বন্ধ হওয়ায় সংকট আরও তীব্র হয়। ছয় মাস পর এখন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকারিভাবেও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু চট্টগ্রামে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারি দুই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে মাত্র ৩৬০টি শয্যা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ২১০ আর জেনারেল হাসপাতালে ১০টি আইসিইউসহ ১৫০টি। ভুক্তভোগীদের শঙ্কা, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে যে বিপর্যয় ও অন্তহীন দুর্ভোগের চিত্র চট্টগ্রামবাসী দেখেছিল, আবারও তার পুনরাবৃত্তি হবে কিনা? আগের মতো পরিস্থিতি হলে মাত্র ৩৬০টি শয্যা দিয়ে তা মোকাবিলা করা আদৌ সম্ভব কিনা? চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, এ হাসপাতালের নিচতলায় ১৫০টি শয্যায় ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তাই সেবায় কোনো সংকট থাকবে না। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হন ৮৬ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৭১ ও ১৫ উপজেলায় ১৫ জন।
বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মোট ২১ হাজার ৬৪০ জন। এর মধ্যে মহানগরে ১৫ হাজার ৯১৫ আর ১৫ উপজেলায় ৫ হাজার ৭২৪ জন। ইতিমধ্যে মারা গেছেন ৩০৬ জন। এর মধ্যে নগরে ২১২ ও উপজেলায় ৯৪ জন। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬০ জন।