আগের দিনের মতোই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় শনাক্তের হার ও সংখ্যা দুটিই কিছুটা বেড়েছে। এর মধ্যে শনাক্তের হার আগের ২৪ ঘণ্টায় ২.৯০ থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ৩.১৯ শতাংশ আর শনাক্তের সংখ্যা আগের দিন ছিল ৬১৭ জন, যা বেড়ে গতকাল হয়েছে ৭৯৪ জন। অন্যদিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৮৩৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই তথ্য অনুসারে শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩১-৪০ বছরের একজন, ৪১-৫০ বছরের পাঁচজন, ৫১-৬০ বছরের দুজন, ৬১-৭০ বছরের পাঁচজন ও ৭১-৮০ বছরের পাঁচজন। যাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছে সাতজন, চট্টগ্রামের পাঁচজন, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালের একজন করে এবং সিলেটে তিনজন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাপ্তাহিক তুলনামূলক মৃত্যু তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগের (২০ সেপ্টেম্বর-২৬ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের (১৩.৭%) তুলনায় শেষ (২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর) সপ্তাহে (১৭.৬%) মৃত্যু বেড়েছে ৭১-৮০ বছর বয়সী মানুষের। একইভাবে ১০ বছরের নিচের শিশুদের মধ্যে আগের সপ্তাহে শূন্য থাকলেও শেষ সপ্তাহে এই বয়সীদের মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, আবার ৮১-৯০ বছরের মানুষের মধ্যেও মৃত্যু বেড়ে ৬.৯ শতাংশ থেকে ৭.৬ শতাংশ, ৪১-৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যু বেড়ে ১০.১ শতাংশ থেকে উঠেছে ১২ শতাংশে। অন্য বয়সীদের মৃত্যু তুলনামূলক কমেছে।
অন্যদিকে আগের সপ্তাহের তুলনায় শেষ সপ্তাহে বেশি মারা গেছে ক্যান্সার (শূন্য থেকে উঠছে ৫.৭ শতাংশে), বক্ষব্যাধি (১০ শতাংশ থেকে ১৪.৮ শতাংশ) ও স্ট্রোকে (২.৭ থেকে বেড়ে ৫.৭) ভুগতে থাকা কভিডে আক্রান্ত রোগীরা। আর আগের মতো সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে উচ্চ রক্তচাপ (৬৭ শতাংশ) ও ডায়াবেটিসে (৬২.৫ শতাংশ) আক্রান্ত কভিড রোগীদের। এ ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে আগের সপ্তাহের তুলনায় শেষ সপ্তাহে পরীক্ষা কমেছে ৩.৪ শতাংশ, শনাক্ত কমেছে ২৩.৭ শতাংশ, সুস্থতা কমেছে ২৬.৮ শতাংশ এবং মৃত্যু কমেছে ১৫.৯ শতাংশ।