ওমিক্রনে শিশুর যে ৫ লক্ষণ বেশি দেখা দেয়

করোনার প্রথম ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্বিতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়েছিলো। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও একই ধারা বজায় আছে। শিশুদের সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে।

শিশুদের আগে শুধুমাত্র ভাইরাসের বাহক হিসাবে বিবেচনা করা হলেও তাদের এখন গুরুতর উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে তারা।

এ থেকে তৈরি হচ্ছে জটিলতা। ওমিক্রনে শিশুদের কী ধরণের লক্ষণ দেখা দিতে পারে যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে সে তথ্য।

ওমিক্রনে শিশুদের সাধারণ উপসর্গ:

ক্লান্তি হল বাচ্চাদের করোনভাইরাস সংক্রমণের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ, তারপরে মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি এবং হাঁচি। জো কভিড গবেষণায় অ্যাপের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে যারা করোনা আক্রান্ত হয় তাদের লক্ষণগুলো রেকর্ড করা হয়ে। অ্যাপটিতে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের উপসর্গ ট্র্যাক করা হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যায় এমনকিছু লক্ষণ আছে যা শিশুদের থেকে আলাদা । প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রথমে সর্দি তারপর মাথাব্যথা, ক্লান্তি এবং হাঁচি দেখা দেয়।

শিশুদের অন্যান্য উপসর্গ:

শ্বাসযন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত লক্ষণগুলি ছাড়াও, ওমিক্রন শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোকেও প্রভাবিত করতে পারে। কিছু অস্বাভাবিক উপসর্গ যেমন ডায়রিয়া এবং র‌্যাশ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে বাচ্চাদের গলায় কফ জমে ঘড় ঘড় শব্দ হতে পারে।

টিকা দেওয়া বাচ্চাদের উপসর্গ:

যেহেতু যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ বাচ্চাদের টিকা দেওয়া হয়েছে, তাই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলো হালকা ছিল। ওমিক্রনে সংক্রামিত হওয়ার পরে, বাচ্চাদের বেশিরভাগই সাধারণ সর্দি-কাশি দেখা দেয় যা দীর্ঘদিন ধরে থাকে না বা কোন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেনা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভ্যাকসিনেশন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলেও ভয়াবহতা কমাতে বেশ কার্যকর।

বাচ্চাকে কীভাবে সুরক্ষা দেবেন:

আপনার বাচ্চাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা দেওয়া জরুরি। ভ্যাকসিনেশন ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। তাছাড়াও বাচ্চার সব সময় মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়গুলো নিশ্চিত করুন।

সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *