বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। গত কয়েক বছর বেশ কিছু রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। যার কারণে ডেঙ্গু এখন এক আতঙ্কের নাম।
ডেঙ্গুর লক্ষণ
♦ তীব্র পেট ব্যথা
♦ মাত্রাতিরিক্ত বমি হওয়া (২৪ ঘণ্টায় তিনবারের বেশি হলে)
♦ শরীরে পানি জমে যাওয়া
♦ মুখের ভেতরে, চোখের সাদা অংশে রক্তের ছাপ দেখা যাওয়া
♦ প্রচণ্ড ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করা
♦ লিভার দুই সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় হয়ে যাওয়া
♦ রক্ত পরীক্ষায় এইচটিসি বেড়ে যাওয়া, প্লাটিলেট কমে যাওয়া
আমাদের শরীরের যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তাতে একবার যদি কোনো ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কাজ করার শক্তি অর্জন করে। ডেঙ্গু এত দিন যে ধরনের হতো তার বিরুদ্ধে আমাদের শরীরে এক ধরনের জিনিস তৈরি হয়েছে (অ্যান্টিবডি), কোনো কারণেই সেই অ্যান্টিবডির সঙ্গে নতুন যোগ হওয়া ডেঙ্গুর ধরনের ক্রস রি-অ্যাকশন হলে তা খারাপ আকার ধারণ করে।
সাবধানতা
মশা নির্মূল যেহেতু সম্ভব নয়, তাই মশা দূর করতে কিছু নিয়ম মানতে হবে
♦ ‘মসকিউটো রিপেলেন্ট’ নামের ওষুধ আছে, তা বাচ্চাদের জামার নির্দিষ্ট অংশে লাগিয়ে রাখা যায়
♦ দিনের বেলায় ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করা
♦ মশারি ব্যবহার করা
এ ছাড়া জ্বরের সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বৃদ্ধি, হঠাৎ হৃদরোগের উপসর্গ দেখা দেওয়া এবং স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর বেশি ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
করণীয়:
♦ প্রচুর পরিমাণে পানি, শরবত ইত্যাদি খেতে হবে
♦ ভিটামিন-সি জাতীয় দেশি ফল বেশি কমর খেতে হবে
♦ ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে
♦ ব্যথার ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন জরুরি
লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই।