প্রবীণদের মানসিক সুস্থতার পাঁচ উপায়

0
306
Spread the love

বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের নাম নভেল করোনাভাইরাস। এ থেকে রক্ষার কোনো কার্যকর উপায় এখনো জানা নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর প্রভাব দৃশ্যমান। সব বয়সের মানুষই এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ, তারা খেলতে পারছে না, বন্ধুদের দেখা পাচ্ছে না, এরপর ওয়ার্ক ফ্রম হোম সামলানো বাবা-মায়ের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ।

প্রবীণদের অধিকাংশই তাঁদের নিজ নিজ কর্ম থেকে অবসরে গিয়ে ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। ৬০ বছরের অধিক বয়সীদের শারীরিক, মনঃসামাজিক, আর্থিক এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে বয়সজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই প্রবীণ নাগরিকদের মানসিক সুস্থতার উপায় তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম টাইমস নাউ।

প্রবীণদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা

করোনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বয়স্ক ও শিশুরা। তাই বয়স্কদের করোনাকালীন রুটিন একটু বেশি কঠিন। এতে তাঁদের মানসিকতার ওপর কিছুটা চাপ পড়েছে। তাঁদের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে কীভাবে আরো ভালো রুটিন করা যায়, সে চেষ্টাই হয়েছে। জেনে নেওয়া যাক পাঁচ উপায়—

মানসিক সমর্থন

প্রবীণদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলুন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন চিন্তার প্রক্রিয়া রয়েছে, যা তাঁদের মনে প্রভাব ফেলতে পারে। সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা, অনিশ্চয়তার ভয়, পরিবারের সদস্যদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কার ফলে তাঁদের স্ব-অবহেলা, ঘুম কমে যাওয়া এবং উদ্দীপনা বাড়তে পারে। তাই তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত আলাপনে এসব জেনে মানসিক সমর্থন দেওয়া যেতে পারে। চা ভাগাভাগি করে খাওয়ার সময় বা নাশতার টেবিলেও হতে পারে  এ আলাপন।

উৎসাহ দিন

বৃদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ সাধারণত অনমনীয় হয়ে ওঠে এবং কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে। করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সীমাবদ্ধতা হলো সামাজিকীকরণ। এ ক্ষেত্রে তাঁদের অডিও-ভিডিও কল, কনফারেন্সিংয়ের মতো ডিজিটাল মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে উৎসাহ জোগানো যেতে পারে। এখন অনেক প্রবীণই অ্যান্ড্রয়েট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সামাজিকভাবে সংযুক্ত থাকতে পারেন। যদিও অধিকাংশ প্রবীণই গান শোনা ও ভিডিও দেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত অডিও-ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে উৎসাহিত করা যেতে পারে।

সঠিক তথ্য জানানো

প্রবীণেরা করোনা মোকাবিলায় তাঁদের দুর্বলতা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। তাঁরা ভালো করেই জানেন, করোনার চিকিৎসায় তাঁদের বেশি সমস্যা হতে পারে। এই আশঙ্কা ও ভয় স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং আতঙ্ক তাঁদের দুর্বল করে ফেলতে পারে। এ জন্য করোনা-সচেতনতা সম্পর্কে নিয়মিত সঠিক তথ্য জানাতে হবে। এতে মানসিক শক্তি বাড়বে।

মুক্ত আলোচনা

পেশাদারত্ব এবং দায়বদ্ধতার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষায় শিশু  ও প্রবীণদের যুক্ত করা জরুরি। আপনি যদি নিয়মিত আপনার বাচ্চা ও প্রবীণদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে নানা আলোচনা করেন, তবে তাঁদের বদ্ধ জীবনের প্রতি বিরক্তি দূর হবে। তাঁরা অনেক অজানা জানবেন। আপনারও ঘরোয়া কাজ, সম্মিলিত ওয়ার্কআউট, গেমিং, পড়াশোনা ও চলচ্চিত্র-সংগীত সবকিছুর সামঞ্জস্যতা বজায় থাকবে।

ই-পরামর্শ

একাধিক পরামর্শের জন্য কিছু অনলাইন গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। পৃথক পৃথক সমস্যার জন্য একাধিক গ্রুপ রয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে যেকোনো পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। অথবা নিজস্ব ডাক্তারের সঙ্গেও ভার্চুয়াল পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

এ ছাড়া নিয়মিত তদারকি তো আছেই। নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন কিনা, খাওয়া-দাওয়া, ঘুম—এসব বিষয়েও তদারকি থাকতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে