ফুসফুস ভালো রাখতে কিছু ভেষজ

১। তুলসী পাতা : এই পাতা ফুসফুসের জন্য বেশ উপকারি। ৫/৬টা তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে সকালে খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পর এবং রাতে খাবারের ১ ঘণ্টা পর খুব ভালোভাবে চিবিয়ে বা রস করে বা থেঁতো করে খেতে পারলে এটি ফুসফুস ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী হবে। তুলসী পাতা এভাবে খাওয়ার পর অবশ্যই ১/২-১ কাপ হালকা গরম পানি খেতে হবে। এই তুলসী পাতা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে ও ফসফুস ভালো রাখতে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই খেতে পারেন। তুলসী পাতায় যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, তা ফুফফুস সুরক্ষার ক্ষেত্রে খুব দ্রুত কাজ করে। বাতাসে ভেসে থাকা দূষিত পদার্থ ফুসফুস থেকে নিঃসরণ করতে এই পাতা খুব কার্যকর।
২। গ্রিন টি : গ্রিন টি তে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের প্রদাহ প্রায় ৯৯% কমিয়ে আনে এবং এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। গ্রিন টি পান করার সর্বোৎকৃষ্ট সময় হচ্ছে, যে কোনো খাবার (সবধষ) খাবার ১ ঘণ্টা আগে বা পরে। খাবার খাওয়ার আশপাশে বা খালি পেটে গ্রিন টি বা অন্য কোনো চা পান করা যাবে না। এতে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। চা পান করতে হলে সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করতে হবে। কখনো রাতে ঘুমাবার আগে চা পান করা যাবে না।
৩। কাঁচা হলুদ : হলুদে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসকে প্রতিনিয়ত দূষিত পদার্থের প্রভাব থেকে রক্ষা করে চলে। হলুদ খাওয়ার ৫/৭ দিনের মধ্যেই ফুসফুসের কার্যকারিতা ফিরে আসবে। এটাকে ধরে থাকতে টানা ৩-৬ মাস খেতে হবে। কাঁচা হলুদ খেতে হলে ১ ইঞ্চি পরিমাণ নিতে হবে। আর গুঁড়া হলে চা চামচের ১/৩ ভাগ পরিমাণ খেতে হবে সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে।
৪। বড় এলাচ বা কালো এলাচ : এটি ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারি। ফুসফুসের ক্ষয়ক্ষতি, হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগে বেশ কার্যকর। একটি বড় এলাচের সব কয়টা দানা নিয়ে গুঁড়া করতে হবে। এরপর এক কাপ হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে আহারের ৩ ঘণ্টা পর সেবন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *