শীতের সময়ে জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা প্রায় সবারই লেগে থাকে। বাড়িতে শিশু ও বৃদ্ধরা থাকলে, তারাও এই সময়ে নানা সমস্যায় ভোগেন। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। অল্প ঠাণ্ডাতেই সর্দি-কাশি ধরে যায়। আর শুকনা কাশি একবার হলে আর সারতে চায় না।
এই সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়ার সংক্রমণও খুব বেড়েছে। ঠাণ্ডা গেলে গলায় ব্যথা হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে কণ্ঠস্বরও। এমন পরিস্থিতিতে কেবল ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকে ভরসা করলে হবে না। সর্দি-কাশি, গলাব্যথা যদি সারাতে হয়, তাহলে রোজ সকাল ও সন্ধ্যায় খেতে পারেন আদার রসম।
শুধু গলাব্যথা সারানোই নয়, আদার রসম হজমশক্তিও বৃদ্ধি করবে। পেটের সমস্যা, গ্যাস-অম্বল, গলা-বুক জ্বালাও কমে যাবে।
আমাদের রান্নার অন্যতম একটি উপাদান হচ্ছে আদা। কেবল মসলা হিসেবেই নয়, ভেষজ হিসেবেও আদার অনেক গুণ রয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে গলায় খুসখুসে কাশি হলেও চটজলদি ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মুখে রাখা যায় আদাকুচি। দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি বা বাসে যাত্রার সময়ে বমি ভাব হলে মুখে এক টুকরা শুকনা আদা দিলেই আরাম। নিমেষে উধাও হবে বমি ভাব।
তাই পেটের গোলমাল ঠেকানো হোক বা বমি বন্ধ করা, অথবা কাশি-গলাব্যথার সমস্যা, ওষুধের বিকল্প হিসেবে আদায় ভরসা রাখেন অনেকেই। আর সেজন্য আদার সঙ্গে আরো কয়েকটি উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করে ফেলুন রসম। পদ্ধতি সহজ, উপকার অনেক।
কিভাবে বানাবেন আদার রসম
উপকরণ
- ২ চামচ আদাকুচি
- ১টি বড় টমেটো কুচানো
- ১ চামচ তেঁতুলের ক্বাথ
- আধ চামচ জিরা
- একমুঠো কারি পাতা
- ৪-৬টি গোটা গোলমরিচ
- ৩-৪ কোয়া রসুন
- এক চিমটি হলুদ গুঁড়া
- এক চামচ গোটা সরিষা
- ২টি শুকনা মরিচ
- তেল বা ঘি
প্রণালী
একটি পাত্রে ২ কাপ পানিতে টমেটো কুচি, হলুদ ও তেঁতুলের ক্বাথ দিয়ে ফোটাতে দিন, যতক্ষণ না টমেটো নরম হচ্ছে। এবার রসম মসলা বানিয়ে নিন। তার জন্য জিরা, গোটা গোলমরিচ ও রসুন বেটে নিতে হবে। টমেটো গলতে শুরু করলে তাতে আদাকুচি ও রসম মসলা দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট ফোটান। তবে খুব বেশিক্ষণ ধরে ফোটাবেন না।
ফোড়নের জন্য একটি ছোট প্যানে ঘি বা তেল গরম করে তাতে গোটা সরিষা, শুকনা মরিচ ও কারিপাতা ফোড়ন দিন। কম আঁচে নাড়াচাড়া করুন। সুন্দর গন্ধ বের হলে তা রসমের ওপর ঢেলে দিন। ওপর থেকে ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন। আদার রসম এক দিন অবধি ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। তবে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়েই খেতে হবে। গরম গরম খেলে উপকার হবে।









