সর্বশেষ
[td_block_1 custom_title=”World news” header_color=”#7f8fa9″ category_id=”” td_ajax_filter_type=”td_category_ids_filter” td_ajax_filter_ids=”” td_filter_default_txt=”World” td_ajax_preloading=”preload” sort=”random_posts”][td_block_15 custom_title=”Travel guides” header_color=”#66bb6a” category_id=”” limit=”3″ ajax_pagination=”next_prev” sort=”random_posts”]
[td_block_2 custom_title=”Tech” header_color=”#3f51b5″ category_id=”” limit=”3″ ajax_pagination=”next_prev” sort=”random_posts”]
[td_block_2 custom_title=”Health” header_color=”#e91e63″ category_id=”” limit=”3″ ajax_pagination=”next_prev” sort=”random_posts”]
[td_block_social_counter custom_title=”” style=”style8 td-social-boxed td-social-font-icons” facebook=”ShasthoKothaM” twitter=”KothaShastho” youtube=”channel/UC0BD3oMuv7ITicEuRphwOqw” open_in_new_window=”y”]
[td_block_21 custom_title=”Most popular” sort=”random_posts” limit=”4″ td_ajax_filter_type=”td_category_ids_filter” td_ajax_filter_ids=”” td_ajax_preloading=”preload” ajax_pagination=”next_prev”][td_block_big_grid_fl_4 td_grid_style=”td-grid-style-6″ category_id=”” sort=”random_posts”]
[td_block_11 custom_title=”Sport news” header_color=”#66bb6a” category_id=”” sort=”random_posts”]
[td_block_1 custom_title=”Recipes” header_color=”#e91e63″ category_id=”” limit=”1″ ajax_pagination=”next_prev” sort=”random_posts”]
সর্বশেষ নিবন্ধ
বিশ্ব প্রবীণ দিবস ২০২৫: প্রবীণদের কর্মক্ষম রাখতে ফিজিওথেরাপি ও শারীরিক কার্যক্রমের ভূমিকা
আজ ১লা অক্টোবর, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব প্রবীণ দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসের উদ্দেশ্য হলো প্রবীণদের অধিকার, মর্যাদা ও সুস্থতার বিষয়গুলো সামনে আনা এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করা।
এবছরের প্রতিপাদ্য
২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে:
“Older Persons Driving Local and Global Action: Our Aspirations, Our Well-Being and Our Rights”
অর্থাৎ প্রবীণরা কেবল সমাজের দায়িত্ব নয়, তারা নিজের অধিকার ও আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে স্থানীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি হতে পারেন। এ প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রবীণরা শুধু যত্ন ও সহমর্মিতার দাবিদার নন, বরং সক্রিয় সামাজিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা সমাজে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
প্রবীণদের শারীরিক চ্যালেঞ্জ
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়—
• পেশীর শক্তি ও হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়,
• হাঁটা ও ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়,
• দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
এসব পরিবর্তন স্বাভাবিক হলেও সঠিক যত্ন না নিলে তা দ্রুত অক্ষমতায় রূপ নিতে পারে।
কর্মক্ষম রাখতে ফিজিওথেরাপি ও শারীরিক কার্যক্রম
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম ও ফিজিওথেরাপি।
শারীরিক কার্যক্রম যেমন হাঁটা, হালকা ব্যায়াম, স্ট্রেচিং বা রেসিস্ট্যান্স ট্রেনিং প্রবীণদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সহায়ক। এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে, ঘুম ভালো হয় এবং মানসিক প্রশান্তি আসে।
ফিজিওথেরাপি প্রবীণদের জন্য আরও কার্যকর কারণ এটি ব্যক্তিভিত্তিক। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর বয়স, শারীরিক অবস্থা ও সমস্যার ধরন অনুযায়ী বিশেষ ব্যায়াম নির্ধারণ করেন। এর মাধ্যমে—
• পেশী শক্তি ও নমনীয়তা বাড়ে,
• হাঁটা ও ভারসাম্য উন্নত হয়, ফলে পতনের ঝুঁকি কমে,
• দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আসে,
• দৈনন্দিন কাজ সহজ হয়।
ফিজিওথেরাপি শুধু চিকিৎসা নয়, বরং প্রতিরোধমূলক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ প্রবীণরা অসুস্থ হওয়ার আগেই এ অনুশীলনের মাধ্যমে সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে পারেন।
উপসংহার
বিশ্ব প্রবীণ দিবস ২০২৫ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রবীণরা সমাজের বোঝা নয়; তারা অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ভাণ্ডার। তাদের সুস্থ ও সক্রিয় রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। আর সেই সুস্থতা ও কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে ফিজিওথেরাপি ও নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম হতে পারে প্রবীণদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সহযাত্রী।
লেখকঃ
ডা: এম ইয়াছিন আলী
চেয়ারম্যান ও চীফ কনসালটেন্ট
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল
ধানমন্ডি, ঢাকা ।
মোবা : ০১৭৮৭-১০৬৭০২
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর
ঢাকা, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ – ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য হলো সোনালী লাইফ-এর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সম্মানিত গ্রাহকদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা প্রদান।
চুক্তি অনুযায়ী, যোগ্য সদস্যরা ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালে বহির্বিভাগের পরামর্শ ফি, অন্তর্বিভাগের সেবা এবং প্যাথলজি পরীক্ষাসহ নানাবিধ সেবায় ১০% থেকে ২৫% পর্যন্ত বিশেষ ছাড় পাবেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এম. ইয়াছিন আলী এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রফিকুল ইসলাম, যাঁরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিস নুরেন দুরদানা এপা এবং ম্যানেজার (কাস্টমার সার্ভিস) মো. নুরনবী জিন্নাত রনি। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মো. আবদুল হান্নান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও, মো. মনজুর মোরশেদ, চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও), এবং মো. কাওসার আহমেদ রাসেল, সিনিয়র ম্যানেজার (ডিএডি), এছাড়াও দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই কৌশলগত সহযোগিতা সোনালী লাইফ-এর কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্রাহক ও তাঁদের পরিবারের জন্য স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে, যা কমিউনিটির সার্বিক কল্যাণে উভয় প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রতিশ্রুতিকে আরও সুদৃঢ় করবে।
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল ও মেটলাইফের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঢাকা, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ – ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল এবং মেটলাইফ একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে মেটলাইফের কর্মচারী ও সম্মানিত গ্রাহকদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা প্রদান করা হবে।
এই চুক্তির আওতায়, যোগ্য সদস্যরা ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালে বিভিন্ন সেবায় ২৫% বিশেষ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে আউটডোর পরামর্শ ফি, ইনডোর বিভাগীয় সেবা এবং প্যাথলজি পরীক্ষাসমূহ।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এম ইয়াছিন আলী এবং মেটলাইফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএফও মি. আলা উদ্দিন, যারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিস নুরেন দুরদানা ইপা এবং কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার মি. নুরনবী জিন্নাত। মেটলাইফের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএমও মি. সৈয়দ এম নওফেল আনোয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএএসও মি. মো. লুৎফর রহমান, ম্যানেজার মিস শিউলি আখতার, এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই কৌশলগত সহযোগিতার লক্ষ্য হলো মেটলাইফের কর্মচারী, গ্রাহক এবং তাদের পরিবারকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করা, যা কমিউনিটির সার্বিক কল্যাণে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করবে।
স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ফিজিওথেরাপিস্টদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
“স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ফিজিওথেরাপিস্টদের অন্তর্ভুক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ” শীর্ষক এক আলোচনা সভা আজ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভাটি সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় বিশিষ্ট সাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে (রুম নং ৩৬৫, ৭ম তলা)।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে ফিজিওথেরাপিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে শুরু করে পুনর্বাসন, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা নিরাময়, দুর্ঘটনাজনিত জটিলতা মোকাবিলা, এমনকি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী রোগীদের সেবায় ফিজিওথেরাপি অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ, নীতি নির্ধারক এবং ফিজিওথেরাপিস্টরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মূলধারায় ফিজিওথেরাপিস্টদের অন্তর্ভুক্তি শুধু রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় কমাবে না, বরং মানসম্পন্ন চিকিৎসা নিশ্চিত করবে।
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের চুক্তি সম্পন্ন
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গ্রাহকেরা ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
এই চুক্তির আওতায় সুবিধাভোগীরা পাবেন-১৫% ছাড় কনসালটেশন ফিতে, ২০% ছাড় আউটডোর বিভাগে, ২০% ছাড় ইনডোর বিভাগে এবং ৩০% ছাড় প্যাথলজিতে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এম. ইয়াছিন আলী এবং বাংলাদেশ ফাইনান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. কাইছার হামিদ ।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরেন দুরদানা, ম্যানেজার কাস্টমার সার্ভিস নুরনবী জিন্নাত রনি, বাংলাদেশ ফাইনান্স লিমিটেডের পক্ষে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনোয়ার হোসেন, গ্রুপ চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার মো. সাজ্জাদুর রহমান ভুইয়া। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ফাইনান্স লিমিটেড ও হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ফাইনান্স লিমিটেডের কর্মকর্তাগণ ও তাদের পরিবারবর্গ ও গ্রাহকেরা সুলভ মূল্যে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।টেজাব এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড–২০২৫ পেলেন ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের চেয়ারম্যান
ঢাকা, ১৬ আগস্ট ২০২৫ – বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চীফ কনসালটেন্ট, বিশিষ্ট ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ডা. এম. ইয়াছিন আলী অর্জন করেছেন “টেজাব এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড–২০২৫”।
এই সম্মাননা প্রদান করা হয় টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (TEJAB) এবং উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (WCSDF) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটি রাজধানীর বিজয়নগরে হোটেল অরনেট ইন্টারন্যাশনালে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে টেজাব প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে “বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা ও কবিতা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সংস্কৃতি ও সাহিত্য ব্যক্তিত্বসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন ও ফিজিওথেরাপি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ডা. এম. ইয়াছিন আলীর এই অর্জনকে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ গর্বের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন।
থাইরয়েড ক্যানসারের ওষুধ নেই
দেশে থাইরয়েড ক্যানসার চিকিৎসার একটি ওষুধ নেই। ছয় মাস ধরে রোগীরা এই ওষুধ পাচ্ছেন না। কবে নাগাদ ওষুধটি পাওয়া যাবে, তা ঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। অনিশ্চয়তা ও হতাশায় দিন কাটছে রোগীদের।
থাইরয়েড ক্যানসারের অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে ক্যাপসুল আকারের এই ওষুধ খাওয়ানো হয়। রেডিও অ্যাকটিভ আয়োডিন (আরএআই) নামের এই ওষুধ দেশে তৈরি হয় না। বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ওষুধটিতে তেজস্ক্রিয় উপাদান আছে। শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এই ওষুধ আমদানি করে। পরমাণু শক্তি কমিশন ঠিক সময়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় সংকটে পড়েছেন রোগীরা।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খালেকুজ্জামান ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার নিবন্ধনের (২০২৩ সালে শুরু হয়ে চলমান) তথ্য অনুযায়ী দেশে থাইরয়েড ক্যানসারের অবস্থান দশম। দেশে আনুমানিক সাত হাজার থাইরয়েড ক্যানসারের রোগী রয়েছেন। এটি দেশের সব ক্যানসার রোগীর ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।’
তবে অস্ত্রোপচারের পর ঠিক কত মানুষের এই ওষুধ দরকার, তা কারও কাছ থেকে জানা যায়নি।
থাইরয়েড, ক্যানসার ও আরএআই
থাইরয়েড হলো গলার সামনের দিকে থাকা প্রজাপতি আকৃতির একটি গ্রন্থি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, থাইরয়েড শরীরের বিপাকক্রিয়া ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রন্থির কোষগুলো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে তাকে থাইরয়েড ক্যানসার বলে। এটি গলার সামনের দিকে পিণ্ড বা ফোলা অংশ হিসেবে দেখা দেয়, যা সাধারণত ব্যথাহীন হয়।
থাইরয়েড ক্যানসার রোগীদের অস্ত্রোপচারের পর রেডিও অ্যাকটিভ আয়োডিন (আরএআই) নামের ওষুধটি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা ক্যাপসুল আকারে খাওয়ানো হয়। যাঁরা ওষুধটি ব্যবহার করেন, তাঁদের পাঁচ দিন কিছুটা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পৃথক কক্ষে রাখা হয়, যেন তেজস্ক্রিয়তায় অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অস্ত্রোপচারের পরও কারও শরীরে ক্যানসার কোষ থেকে গেলে এই ওষুধ তা ধ্বংস করে। ওষুধটি কারও একবার খেতে হয়, কারও ক্ষেত্রে একাধিকবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
কোথায় চিকিৎসা হয়
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোল্যারিংগোলজি-হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে থাইরয়েড ক্যানসারের অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর রোগীদের ওই ওষুধ খাওয়ানো হয় শুধু পরমাণু শক্তি কমিশন অনুমোদিত সরকারি হাসপাতালে।
থাইরয়েড ক্যানসারের অস্ত্রোপচারের পর ওষুধটি খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে দেশের ২২টি কেন্দ্রে। রাজধানীতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটে এই ব্যবস্থা আছে। বাকি ১৭টি কেন্দ্র দেশের বিভিন্ন জেলার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এসব কেন্দ্র পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।
রোগী ফিরে যাচ্ছে
১৪ আগস্ট বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ব্লকের ৯ তলায় কথা হয় কে এম মেজবাউল কবিরের সঙ্গে। তিনি নিনমাসের কারিগরি কর্মকর্তা। অন্যান্য কাজের সঙ্গে কোন রোগী কোন তারিখে ওষুধটি পাবেন, তিনি সেই হিসাব রাখেন।
কে এম মেজবাউল কবির বলেন, এই কেন্দ্র থেকে সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে রোগীদের ওষুধটি দেওয়া হয়েছিল। এই কেন্দ্রে প্রায় ২০০ জন থাইরয়েড ক্যানসারের রোগী চিকিৎসা নেন। তাঁরা অনেকেই ওষুধটির জন্য টাকা জমা দিয়েছেন। ওষুধটি এল কি না, তা জানার জন্য রোগী বা রোগীর আত্মীয়রা নিয়মিত ফোন করেন। অনেকে সশরীর আসেন।
এই প্রতিবেদক উপস্থিত থাকার সময় ওই দিন বেলা ১১টায় দুজন রোগীর আত্মীয় এসেছিলেন ওষুধের ব্যাপারে খোঁজ নিতে। এ ছাড়া একজন চিকিৎসক এসেছিলেন তাঁর আত্মীয়কে নিয়ে। ওই আত্মীয়ের অস্ত্রোপচার হয়েছে। ১৫ দিন পর ওষুধটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু এখানে এসে জানলেন ওষুধ নেই, বাংলাদেশে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। কবে পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত নয়।
অনিশ্চিত ওষুধ
ওষুধটির ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিনমাসের পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারী বলেন, খুব শিগগির রোগীরা পেয়ে যাবেন। ঠিক কবে নাগাদ রোগীরা পেতে পারেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা নিনমাসেও একই পরিস্থিতি চলছে। তবে কোনো কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হচ্ছে না। সবাই পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ও একজন সদস্যের (জীববিজ্ঞান) সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। দুই দিন বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ওই সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, এ মাসের শেষের দিকে রোগীরা ওষুধটি পেয়ে যাবেন বলে পরমাণু শক্তি কমিশন থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে।
এমন হওয়া উচিত নয়
কেন রোগীরা ওষুধটি পাচ্ছেন না, কেন মজুত ফুরিয়ে গেল, সেই উত্তর কেউ দিচ্ছেন না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেছেন, একটি দরপত্র বাতিল হওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে।
নিনমাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওষুধ আনার কাজটি পেয়েছিল সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান। তবে ঠিক সময়ে ওষুধ সরবরাহ করতে পারেনি। তখন দরপত্রের কাজটি বাতিল হয়। সরকার বিশেষ ব্যবস্থায় এ মাসের শেষ দিকে সীমিত পরিমাণ ওষুধ দেশে আনছে। নতুন দরপত্রের প্রক্রিয়াও শেষের পথে।
ঠিক সময়ে ওষুধ না পাওয়ার ঝুঁকি অনেক। এতে রোগীরা সরকার ও হাসপাতালের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। কোনো কোনো রোগী হয়তো চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। ওষুধ নেই জেনে চিকিৎসকেরা থাইরয়েড ক্যানসারে অস্ত্রোপচার থেকেও বিরত থাকছেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোল্যারিংগোলজি-হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ঠিক সময়ে ওষুধ না পেলে ক্যানসার আবার ফিরে আসতে পারে, এটাই সবচেয়ে বড় ঝুঁকি।
ইমপালস হাসপাতালের “রূপান্তরের রূপরেখা – ২০২৫” অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৫ই অগাষ্ট, ২০২৫ : ইমপালস হাসপাতালের উদ্যোগে “রূপান্তরের রূপরেখা – ২০২৫” শীর্ষক একটি বিশেষ অনুষ্ঠান রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব জনাব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনডেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব শফিউল্লাহ মনির। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইমপালস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস খালেদা ইয়াসমিন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—
• ইমপালস হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এমএম জহুরুল আলম খান,
• ভাইস চেয়ারম্যান–১ প্রফেসর ডা. লায়লা আঞ্জুমান্দ বানু,
• ভাইস চেয়ারম্যান–২ অধ্যাপক ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী,
• সি আর সি আহ্বায়ক, ইমপালস হাসপাতাল ও বাংলাদেশ আই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
এছাড়াও ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা এম ইয়াছিন আলী সহ দেশবরেণ্য ও খ্যাতিমান চিকিৎসকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা হাসপাতালের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যসেবায় রূপান্তরের নানা দিক নিয়ে মতামত প্রদান করেন।

কিডনি ও পিত্তথলিতে পাথর? কারণ ও প্রতিরোধের উপায়
কিডনি বা পিত্তথলিতে পাথর হওয়া এখন অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। আগে মাঝেমধ্যে শোনা গেলেও, এখন এই সমস্যা অনেক বেশি লোকের হয়। চিকিৎসকদের মতে, এই সমস্যার মূল কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও পানি কম খাওয়ার অভ্যাস।
কেন হয় পাথর?
কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়। কিন্তু কখনো কখনো মূত্রে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান যেমন ক্যালশিয়াম অক্সালেট, ক্যালশিয়াম ফসফেট ও ইউরিক অ্যাসিড জমে কিডনিতে পাথর তৈরি করে। অন্যদিকে, পিত্তথলির পাথর হয় মূলত কোলেস্টেরল ও বিলিরুবিন জমে। নিয়মিত অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
পাথর হলে কী ধরনের সমস্যা হয়?
পাথর হলে তীব্র যন্ত্রণা, বমি, বুকে বা পেটে অস্বস্তির মতো নানা উপসর্গ দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একবার কিডনিতে পাথর হলে ভবিষ্যতেও তা বারবার হতে পারে। তাই জীবনধারায় পরিবর্তন না আনলে এই প্রবণতা রোখা কঠিন।
কিভাবে এড়ানো যাবে কিডনি ও পিত্তথলির পাথর?
পর্যাপ্ত পানি পান করুন কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রচুর পানি খাওয়া। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি খাওয়া উচিত, যাতে প্রস্রাবের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি বা খুব দ্রুত ওজন কমলে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যা গল ব্লাডারে পাথর তৈরি করতে পারে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্থিতিশীল ওজন ধরে রাখাটা জরুরি। খাবার বাদ না দেওয়া অনেকেই সকালের নাশতা করেন না বা করেন অনিয়মিতভাবে। আবার কেউ কেউ খুব বেশি তেলচর্বিযুক্ত বা ফাস্ট ফুড খান। দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকলে যকৃতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন কিডনিতে পাথর থাকলে অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন পালংশাক, বাদাম কম পরিমাণে খাওয়া ভালো। বেশি করে খেতে হবে টাটকা সবজি ও ফল, বিশেষ করে লেবু জাতীয় ফল। অতিরিক্ত লবণ ও চিনি খাওয়ার প্রবণতাও কমাতে হবে। পিত্তথলির পাথর এড়াতে সঠিক খাবার বেছে নিন কম ফ্যাটযুক্ত, প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। মাছ, মাংস, ডিম ও টাটকা শাকসবজি নিয়মিত খেতে হবে। বিপরীতে ময়দা, চিনি, অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার ও প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলা ভালো। কিডনি বা পিত্তথলির পাথর যতটা না চিকিৎসার বিষয়, তার চেয়ে বেশি প্রতিরোধের বিষয়। সময়মতো সতর্কতা নিলে অনেক ক্ষেত্রেই এই সমস্যাকে সহজেই এড়িয়ে চলা যায়স্ট্রোকের আগের গোপন সংকেত, অবহেলা করলেই হতে পারে বিপদ
উচ্চ রক্তচাপ নিঃশব্দে বিপদ ডেকে আনে। পুরো সুস্থ মানুষ হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পেছনে থাকে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রক্তচাপ। তাই সময় থাকতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। কারণ হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে বিপদ হতে বেশি সময় নেয় না। মূলত স্ট্রোক একটি হঠাৎ ঘটে যাওয়া মারাত্মক শারীরিক অবস্থা। এর ফলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় বা রক্তক্ষরণ ঘটে। সাধারণত আমরা স্ট্রোকের লক্ষণ হিসেবে মুখ বেঁকে যাওয়া, হাত-পা অবশ হওয়া বা কথা জড়িয়ে যাওয়ার মতো বিষয়কেই জানি।
কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এর অনেক আগেই শরীর কিছু অস্বাভাবিক সতর্কবার্তা পাঠায়। অধিকাংশ মানুষই এটি উপেক্ষা করে থাকেন। এই সতর্কবার্তা যদি সময়মতো শনাক্ত করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
হঠাৎ ও অস্বাভাবিক তীব্র মাথা ব্যথা
যদি হঠাৎ এমন ধরনের মাথা ব্যথা শুরু হয়, যা আগে কখনো হয়নি এবং এটি খুবই তীব্রতর হয়। তবে তা উপেক্ষা করা বিপজ্জনক হতে পারে। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা বা রক্তক্ষরণ শুরু হলে এই ধরনের ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় এর সঙ্গে বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা দৃষ্টির সমস্যা দেখা দেয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
অকারণ ও দীর্ঘস্থায়ী হেঁচকি
হেঁচকি সাধাণত অনেকেই গুরুত্ব দেন না। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী ও অকারণ হেঁচকি স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। মস্তিষ্কের মেডুলা অংশ, যা শ্বাস-প্রশ্বাস ও গিলন নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে কোনো সমস্যা দেখা দিলে হেঁচকি থামতে চায় না।
অস্বাভাবিক বুকের ব্যথা
অনেকে মনে করেন বুকের ব্যথা মানেই হার্ট অ্যাটাক। কিন্তু সব সময় তা নয়। স্ট্রোকের আগে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে অ্যানজাইনার মতো বুকের চাপ বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা অবহেলা করলে বিপদ আরো বেড়ে যেতে পারে।
মানসিক চাপে বমি বা বমি ভাব
অতিরিক্ত স্ট্রেসের সময় শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যা রক্তনালী সংকুচিত করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে হঠাৎ বমি বা বমি ভাব দেখা যায়। যদি এর সঙ্গে মাথা ঘোরা, ঝাপসা দেখা বা অজ্ঞান হওয়ার মতো লক্ষণ থাকে, তাহলে এটি স্ট্রোকের সতর্ক সংকেত হতে পারে।
এই ধরনের অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে, তা অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দ্রুত সঠিক চিকিৎসা শুরু হলেই স্ট্রোকের মতো মারণঘাতী অবস্থা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।