iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
hatay escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
antakya escort,
antakya escort,
bursa escort,
görükle escort,
bursa escort,
bursa escort,
hatay escort,
diyarbakır escort,
diyarbakır escort,
diyarbakır escort,
elazığ escort,
elazığ escort,
elazığ escort,
arsuz escort,
arsuz escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
adana escort,
adana escort,
adana escort,
adana escort,
adana escort,
adana escort,
malatya escort,
malatya escort,
eskişehir escort,
eskişehir escort,
manisa escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
ısparta escort,
ankara escort,
ankara escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
seks hikayeleri,
erotik hikayeleri,
erotik seks hikayeleri,
sakarya escort,
sakarya escort,
sakarya escort,
van escort,
van escort,
mersin escort,
mersin escort,
istanbul escort,
izmir escort,
izmir escort,
samsun escort,
konya escort,
konya escort,
konya escort,
konya escort,
konya escort,
erzurum escort,
erzurum escort,
malatya escort,
alanya escort,
rent a car chisinau,
Chirie Auto Chisinau,
chirie auto chisinau
chirie auto,
porno izle,
porno,
porno izle,
turk porno,
sikis izle,
porna,
xhamster,
rus porno,
anal porno,
porno seyret,
tük porno,
amatör porno,
liseli porno,
hd porno,
sarışın porno,
mobil porno,
xnxx porno,
Eskişehir escort,
izmir escort,
erzurum escort,
erzurum escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
antalya escort,
denizli escort,
বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও ক্রমে উর্ধ্বমুখী। একটা সময় মনে করা হতো, হার্ট অ্যাটাক মূলত পুরুষদের এবং বয়স্কদের রোগ। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা বদলে গেছে।
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, অনিয়মিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাসা বাঁধছে এই রোগ। আর এরই সঙ্গে রাতে ব্রাশ না করাও হার্টের সমস্যার কারণ হতে পারে।
গবেষকরা ১,৬৭৫ জন রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেন, যারা রাতে ব্রাশ করেন না তাদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা, অ্যারিথমিয়া এবং অন্যান্য গুরুতর হৃদরোগের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। মূলত, শরীরের প্রবেশদ্বার হিসেবে মুখই এখানে আসল কারণ। ঘুমানোর আগে ব্রাশ না করলে রাতারাতি ব্যাকটেরিয়া ও প্লাক তৈরি হয়। আর এটি মাড়ির রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাড়ির রোগ সিস্টেমিক প্রদাহের সূত্রপাত করে। আর দীর্ঘদিন ধরে এমন চলতে থাকলে হৃদরোগের বিপদ ঘনিয়ে আসে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দাঁতের মাড়ির রোগ (পেরিওডন্টাল ডিজিজ) ও হৃদরোগের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। মাড়ির রোগের কারণে মুখে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়, যা রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে হৃদরোগের প্রধান কারণগুলোর অন্যতম অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস অর্থাৎ ধমনীতে প্লাক জমা হতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মুখের হাইজিন খারাপ হলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং এর সঙ্গে হার্ট ফেলিওরের সম্পর্ক রয়েছে। তাই নিয়মিত দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করা ও মুখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত দাঁতের মাড়ির যত্ন এবং ডেন্টাল চেকআপ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি, ধূমপানের সঙ্গে মাড়ির রোগ এবং মুখ ও পেটের ক্যান্সারেরও যোগ রয়েছে। প্রতিদিন ব্রাশ না করলে ঝুঁকি বাড়ে ক্যান্সারেরও। একই সঙ্গে দাঁতের ক্ষয় এবং খারাপ মুখের স্বাস্থ্য মাড়ির আলসারের কারণ হতে পারে। আবার দাঁতে ময়লা জমার কারণে মুখে তৈরি কিছু ব্যাকটেরিয়া থেকে হতে পারে পেটের আলসারও। রাতে ব্রাশ না করে ঘুমালে কী হতে পারে?
রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত ব্রাশ করা দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু অনেকেই এই অভ্যাস মেনে চলতে চান না। আর এতেই দেখা দেয় নানা সমস্যা।
শুধু দাঁতের নয়, এর প্রভাব পড়ে শরীরেও। রাতে দাঁত ব্রাশ করার সঙ্গে হার্টের সমস্যার সরাসরি যোগ রয়েছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের এক গবেষণা অনুসারে, যারা রাতে দাঁত ব্রাশ করেন না, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ব্রাশ না করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও ক্রমে উর্ধ্বমুখী। একটা সময় মনে করা হতো, হার্ট অ্যাটাক মূলত পুরুষদের এবং বয়স্কদের রোগ। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা বদলে গেছে।
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, অনিয়মিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাসা বাঁধছে এই রোগ। আর এরই সঙ্গে রাতে ব্রাশ না করাও হার্টের সমস্যার কারণ হতে পারে।
গবেষকরা ১,৬৭৫ জন রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেন, যারা রাতে ব্রাশ করেন না তাদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা, অ্যারিথমিয়া এবং অন্যান্য গুরুতর হৃদরোগের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। মূলত, শরীরের প্রবেশদ্বার হিসেবে মুখই এখানে আসল কারণ। ঘুমানোর আগে ব্রাশ না করলে রাতারাতি ব্যাকটেরিয়া ও প্লাক তৈরি হয়। আর এটি মাড়ির রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাড়ির রোগ সিস্টেমিক প্রদাহের সূত্রপাত করে। আর দীর্ঘদিন ধরে এমন চলতে থাকলে হৃদরোগের বিপদ ঘনিয়ে আসে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দাঁতের মাড়ির রোগ (পেরিওডন্টাল ডিজিজ) ও হৃদরোগের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। মাড়ির রোগের কারণে মুখে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়, যা রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে হৃদরোগের প্রধান কারণগুলোর অন্যতম অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস অর্থাৎ ধমনীতে প্লাক জমা হতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মুখের হাইজিন খারাপ হলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং এর সঙ্গে হার্ট ফেলিওরের সম্পর্ক রয়েছে। তাই নিয়মিত দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করা ও মুখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত দাঁতের মাড়ির যত্ন এবং ডেন্টাল চেকআপ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি, ধূমপানের সঙ্গে মাড়ির রোগ এবং মুখ ও পেটের ক্যান্সারেরও যোগ রয়েছে। প্রতিদিন ব্রাশ না করলে ঝুঁকি বাড়ে ক্যান্সারেরও। একই সঙ্গে দাঁতের ক্ষয় এবং খারাপ মুখের স্বাস্থ্য মাড়ির আলসারের কারণ হতে পারে। আবার দাঁতে ময়লা জমার কারণে মুখে তৈরি কিছু ব্যাকটেরিয়া থেকে হতে পারে পেটের আলসারও। ডিমে অ্যালার্জি? পুষ্টির ঘাটতি পূরণে খেতে পারেন যে খাবারগুলো
স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় প্রথমেই যেটির নাম আসে, তা হলো ডিম। সিদ্ধ, পোচ কিংবা ভাজি—যেকোনোভাবেই খাওয়া হোক না কেন, ডিম শরীরের জন্য উপকারী এবং স্বাদেও অতুলনীয়। তবে অনেকের শরীরেই ডিম অ্যালার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ডিম খাওয়ার পর কারও কারও চোখ-মুখ লাল হয়ে যাওয়া, ত্বকে চুলকানি বা অন্যান্য অস্বস্তির উপসর্গ দেখা যায়।
এই ধরনের প্রতিক্রিয়া হলে ডিম এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
তবে প্রশ্ন হলো, ডিম না খেলে পুষ্টির ঘাটতি কিভাবে পূরণ করবেন? চলুন, জেনে নিই ডিমের বিকল্প হিসেবে কিছু উপকারী খাবার।
টোফু
ডিম না খেয়ে সকালের নাশতায় খেতে পারেন টোফু। যা সয়া দুধ দিয়ে তৈরি। এতে ক্যালোরি কম। কিন্তু আয়রন ও প্রোটিন রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। পুষ্টিগুণের দিক থেকে ডিমের খুব কাছাকাছি।
কুমড়া
অনেকেই কুমড়া খেতে পছন্দ না করলেও, এটি ডিমের বিকল্প হিসেবে ভালো একটি উৎস। এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটায়।
অলিভ অয়েল
কেক বা ডেজার্ট তৈরিতে ডিমের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল। এটি কেকের টেক্সচার নরম রাখার পাশাপাশি কিছুটা পুষ্টিও যোগ করে।
কলা
একটি পাকা কলা একটি ডিমের সমান পুষ্টি দিতে পারে। বিশেষ করে সকালের নাশতায় কলা ডিমের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
চিয়া বীজ
১ টেবিল চামচ চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে পান করলে তা ডিমের জায়গায় প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন
শৈশব হলো শারীরিক, মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ এটিই তাদেরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। সর্দি, কাশি, জ্বর, বদহজমের মতো সমস্যাগুলো বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায় এবং এর প্রধান কারণ হলো দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা। বাজারের রাসায়নিক ওষুধের চেয়ে ঘরোয়া উপায়গুলো বেশি নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী উপকার দেয়।
সর্দি-কাশির জন্য কার্যকরী উপায় হলো তুলসী, আদা, দারচিনি ও কালো মরিচ। সপ্তাহে দুবার এই ক্বাথ হালকা গরম করে খাওয়ালে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হলুদ দুধ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়ালে শরীর শক্তিশালী থাকে।
আয়ুর্বেদে অনেকগুলো উপায় বলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো চ্যবনপ্রাশ। চ্যবনপ্রাশে আমলকী, অশ্বগন্ধা, গুড়, ঘি ইত্যাদি ঔষধি গাছপালা থাকে, যা শরীরের শক্তি বাড়ায়। এ ছাড়া গুড় শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বাচ্চাদের দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। কারণ ঘুম শরীরের পুনর্গঠন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন খেলাধুলা, সাইকেল চালানো, দৌড়ানো বা যোগব্যায়ামের মতো শারীরিক কসরত করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
বাচ্চাদের হাত ধোয়ার অভ্যাস করানো উচিত, কাপড় সবসময় পরিষ্কার রাখা উচিত। এ ছাড়া পড়াশোনার চাপ না দিয়ে, বাচ্চাদের ইতিবাচক পরিবেশ, ভালোবাসা ও বোঝাপড়া তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, যা প্রকৃতপক্ষে শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও সহায়ক।
কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় যে ১০ খাবার
কোলন ক্যান্সার, যা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার নামেও পরিচিত- এক ধরণের ক্যান্সার যা বৃহৎ অন্ত্র (কোলন) বা মলদ্বারে হয়। এই ক্যান্সারের সাধারণ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-বয়স, পারিবারিক ইতিহাস, বসে থাকা জীবনযাত্রা, স্থূলতা, ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ এবং ফাইবার কম এবং লাল বা প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি পরিমাণে খাওয়া।
তবে কিছু খাদ্য আছে যা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এগুলো হলো—
১.সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফোলেট এবং লুটেইন এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, কোলনের প্রদাহ কমায় এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে, যা পলিপ এবং ক্যান্সার গঠনের সম্ভাবনা কমায়।
২. ক্রুসিফেরাস সবজি
এই সবজিতে সালফোরাফেন থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত একটি উদ্ভিদ যৌগ। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই সবজিগুলো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক কার্সিনোজেনগুলোকে বিষমুক্ত করে।
৩. গোটা শস্য
গোটা শস্য খাদ্যতালিকাগত ফাইবারে ভরপুর, যা মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং বর্জ্য দ্রুত নির্মূল করতে সাহায্য করে, কোলনের আস্তরণের সঙ্গে সম্ভাব্য কার্সিনোজেনগুলোর যোগাযোগের সময় হ্রাস করে। এগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে এবং প্রদাহ কমায়।
৪. মটরশুটি এবং শিম
প্রতিরোধী স্টার্চ এবং দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ, শিমগুলো উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াটি শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে যার ক্যান্সার-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং কোলনে প্রদাহ কমায়।
৫. বেরি
বেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন, এলাজিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি-এর মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই যৌগগুলো কোলন কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ডিএনএ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
৬. ফ্যাটি মাছ
ফ্যাটি মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহের মাত্রা কমায়। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ নিয়মিত কেলে তা পরিপাকতন্ত্রে প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৭. রসুন
রসুনে সালফার যৌগ থাকে যা লিভারের এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে কার্সিনোজেন ধ্বংস করে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও সমর্থন করে এবং কোলনে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থের গঠন কমাতে পারে।
৮. হলুদ
হলুদের সক্রিয় যৌগ কারকিউমিনের শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব রয়েছে। এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ধীর করতে পারে এবং টিউমারের বিস্তার রোধ করতে পারে।
৯. দই এবং প্রোবায়োটিক খাবার
প্রোবায়োটিকগুলো একটি সুস্থ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে উৎসাহিত করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত দইয়ের খাওয়া হজমের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং কোলন সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
১০. বাদাম
বাদাম ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো
অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোলন স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। বাদামের পরিমিত ব্যবহার কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়।
হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, পার্থক্য কী?
হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টকে অনেকেই একই ধরনের সমস্যা হিসেবে ভাবেন, কিন্তু এদের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। দুইই হৃদযন্ত্রের গুরুতর সমস্যা ও প্রাণঘাতী হতে পারে, তবে হার্ট অ্যাটাকে রোগীকে বাঁচানোর সময় পাওয়া যায়, যেখানে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রায়ই আচমকাই এসে জীবন বিপন্ন করে।
হার্ট অ্যাটাক কেন হয়?
হার্টে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে হৃদপেশির সঠিক সঙ্কোচন ও প্রসারণে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে হৃদযন্ত্র রক্ত সঠিকভাবে পাম্প করতে পারে না এবং এই অবস্থাকেই হার্ট অ্যাটাক বলা হয়।
হার্টের করোনারি ধমনীর ব্লকেজের কারণে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হার্টের কাজ ব্যাহত হয়। রোগীর বুকে চাপা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং অক্সিজেনের অভাবে মাথা ঘোরা বা জ্ঞান হারানোর মতো লক্ষণ দেখা দেয়। যদিও হার্ট পুরোপুরি বন্ধ হয় না, তবে কার্যক্ষমতা কমে যায়। সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কিভাবে আলাদা?
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো হৃৎপিণ্ড হঠাৎ রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দেওয়ার অবস্থা। এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যায়, ফলে রোগী দ্রুত শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয় এবং সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। হার্ট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাঁচানো অনেক কঠিন হয় এবং তা মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে যেতে পারে।
কার কার হতে পারে এবং লক্ষণ কী কী?
হার্ট অ্যাটাক সাধারণত নীরবে আসতে পারে, যা ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’ নামেও পরিচিত।
তবে হার্ট অ্যাটাকের আগেই শরীর নানা সংকেত দেয়, যেমন বুকের মাঝে চাপা ব্যথা (কমপ্রেসিভ চেস্ট পেন), প্রচণ্ড ঘাম, বাম চোয়াল, কাঁধ বা হাতে ব্যথা, পিঠের ব্যথা, রাতের অস্বস্তি ও গরম লাগা। উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ডায়াবেটিস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সাধারণত পূর্বনির্ধারিত লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ ঘটে। এটি ঘটে থাকতে পারে বারবার হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, ওষুধের অতিরিক্ত সেবন বা জিনগত কারণে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে রোগীর হার্টবিট ও শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এবং পালস পাওয়া যায় না।
জরুরি পদক্ষেপ
উভয় অবস্থাতেই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। দেরি করলে প্রাণহানি ঘটে যেতে পারে।
পায়ের যেসব লক্ষণে বোঝা যেতে পারে কিডনির সমস্যা, জেনে নিন
কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি রক্ত পরিষ্কার রাখে, শরীর থেকে বর্জ্য ও বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করে এবং পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে শরীর বিভিন্ন সংকেত দিতে শুরু করে, যা প্রথমদিকে খুব একটা স্পষ্ট না-ও হতে পারে। বিশেষ করে পায়ের আশপাশে কিছু পরিবর্তন দেখা দিলে তা কিডনি সমস্যার প্রাথমিক ইঙ্গিত হতে পারে।
চলুন, জেনে নিই পায়ের আশপাশে কিডনির সমস্যার লক্ষণ কোনগুলো।
ফোলা বা প্রদাহ
কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে অতিরিক্ত পানি ও লবণ জমা হতে শুরু করে। এর ফলে পা, গোড়ালি বা পায়ের পাতায় ফোলাভাব দেখা দেয়। এই ফোলাভাব ধীরে ধীরে বাড়তে পারে এবং ব্যথা বা ভারী লাগার অনুভূতিও তৈরি হতে পারে।
ত্বকের পরিবর্তন
কিডনি ঠিকমতো বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে বের করতে না পারলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন: ফুসকুড়ি, চুলকানি, শুষ্ক ত্বক ইত্যাদি। বিশেষ করে পায়ের ত্বকের রঙ বদলে যাওয়া বা লালচে ভাব দেখা দিতে পারে।
ঠাণ্ডা লাগা বা দুর্বলতা
কিডনির সমস্যার কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে পা ঠাণ্ডা লাগা, দুর্বলতা বা অসাড়তার মতো অনুভূতি তৈরি হয়।
পেশীতে খিঁচুনি
ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে, বিশেষ করে রাত্রিবেলায় পায়ের পেশীতে খিঁচুনি ধরতে পারে। এটি কিডনি সমস্যা থেকে তৈরি হওয়া আরেকটি সতর্কবার্তা।
কিডনি খারাপ হওয়ার অন্যান্য সাধারণ লক্ষণ
প্রস্রাবের পরিমাণ বা রঙে পরিবর্তন,
প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয়ে যাওয়া বা দুর্গন্ধ হওয়া,
অতিরিক্ত ক্লান্তি, মাথা ঘোরা বা ক্ষুধামান্দ্য,
ওজন হঠাৎ কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া,
চোখের নিচে ফোলা বা মুখ ফ্যাকাশে লাগা,
কিডনির যত্ন নেওয়ার সহজ কিছু উপায়
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
নুন ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমান।
নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র : এবিপি বাংলা
ওজন কমাতে ফল খাচ্ছেন? যেসব ফল খেলে উলটো বাড়বে
ফলের খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। তাই তো নিয়মিত ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। এই অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরাও অনেক সময়ে ওজন কমাতে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ফল শরীরের যত্ন নেয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সব ধরনের ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এমন কয়েকটি ফল আছে, যেগুলো ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
‘নিউট্রিয়েন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুসারে, এমন কিছু ফল আছে যাদের মধ্যে ফ্রুক্টোজের মাত্রা খুব বেশি।
এমন ফল বেশি খেলে ক্যালরি বাড়তে পারে। ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় তাই সেই ফলগুলো এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেসব ফল সম্পর্কে—
কলা
শরীরে ভেতর থেকে শক্তি জোগায় কলা। তবে দিনে একটির বেশি কলা খেলে বাড়তে পারে ওজন। কারণ কলায় ক্যালরির পরিমাণ ১৫০। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৩৭.৫। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে ওজন বাড়তে পারে। পেশি শক্তি বাড়ানোর জন্য কলা খুব উপকারী, তবে খেতে হবে পরিমিত।
আম
আম ভিটামিন এ, সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের উৎস। তবে এতে চিনির মাত্রা খুব বেশি থাকে। একটি মাঝারি আকারের আমে প্রায় ১৫০-১৬০ ক্যালরি থাকে, চিনি থাকে প্রায় ২৫ গ্রাম। এ ছাড়া এই ফলে ফাইবারের পরিমাণও বেশি এবং কার্বোহাইড্রেটও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। তাই আম খেলে হজম ভালো হয় ঠিকই, তবে এক দিনে অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেলে বাড়তি ক্যালরি জমা হবে শরীরে। যার ফলে ওজন বাড়তে পারে।
আনারস
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আনারস শরীরের খেয়াল রাখে। আনারসে পানির পরিমাণও একেবারে কম নয়। শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে আনারস কার্যকরী। তবে আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি। আনারস খেলে তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
আঙুর
এই ফলটি পছন্দ করেন অনেকেই। তবে আঙুরে শর্করার মাত্রা খুবই বেশি। এক কাপের মতো আঙুরে প্রায় ১০৪ ক্যালরি থাকে। প্রতিদিন আঙুর বেশি পরিমাণে খেতে থাকলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
সবেদা
পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ফাইবার, আয়রন সমৃদ্ধ সবেদা শরীরের জন্য ভালো। তবে এতে চিনির ভাগ বেশি। ১০০ গ্রাম পরিমাণ সবেদায় ১৩ থেকে ১৪ গ্রামের মতো চিনি থাকে। তাই সবেদা বেশি খেলেই মুশকিল। দিনে একটা খেলে কোনো ক্ষতি নেই।
লিচু
লিচুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এই উপাদানটি ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। লিচুতে ক্যালরি খুব কম, ফাইবার বেশি। তাই পরিমিত পরিমাণে লিচু খেলে কোনো ক্ষতি নেই। তবে এতে চিনির মাত্রা ১০০ গ্রামে প্রায় ১৫ গ্রামের মতো। সারা দিনে যদি টপাটপ লিচু খেয়ে যান, তা হলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
ইউরিক অ্যাসিড কমাতে উপকারী ৪ পানীয়
ত্বকের ক্ষতি করতে পারে যেসব খাবার
আমরা অনেকেই জানি না যে আমাদের দৈনন্দিন খাবারের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে ত্বকের সমস্যার মূল কারণ। বিশেষ কিছু খাবার নিয়মিত খেলে ত্বকে ফোলা ভাব, ব্রণ, র্যাশ, এমনকি অকাল-বলিরেখার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
তাই ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। চলুন তাহলে জেনে নিই-
অতিরিক্ত লবণ
খুব বেশি লবণ দেওয়া খাবার খেলে ত্বকে ওয়াটার রিটেনশনের সমস্যা দেখা দেয়। এতে ত্বকে ফোলা ভাব দেখা দেয়, বিশেষ করে চোখের নিচে ও আশপাশে।
প্রসেসড মাংস
টিনজাত বা প্যাকেটজাত প্রক্রিয়াকরণ মাংসে থাকে অতিরিক্ত লবণ ও সংরক্ষণকারী রাসায়নিক। এগুলো সংবেদনশীল ত্বকে ব্রণ ও অন্যান্য র্যাশের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
তেলে ভাজা ও অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার
এ ধরনের খাবার শুধু শরীরের জন্য নয়, ত্বকের জন্যও খুব ক্ষতিকর। নিয়মিত খেলে ত্বকে ব্রণ বেড়ে যেতে পারে এবং র্যাশ বা চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
দুধ ও দুধজাত খাবার
অনেকের শরীর ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না। এ ধরনের ক্ষেত্রে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে ত্বকে ব্রণ ওঠে এবং তা দ্রুত ছড়াতে পারে।
অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি
চিনি ত্বকের ইনফ্লেমেশন বাড়িয়ে দেয় এবং কোলাজেন ভেঙে দেয়, যা ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। ফলে বয়সের আগেই বলিরেখা দেখা দেয়, ত্বক কুঁচকে যেতে পারে।
বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে মেনে চলা জরুরি যেসব নিয়ম
বর্ষাকাল মানেই একদিকে যেমন মন ভাল করা বৃষ্টি, অন্যদিকে তেমনি নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা, ডায়েরিয়া, চর্মরোগ বা ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো সমস্যার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই এই সময় সতর্ক থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বৃষ্টিতে ভিজলে কী করবেন?
বর্ষায় চেষ্টা করুন ভিজে যাওয়ার থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে। তবে যদি ভিজে যান—বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিন। অফিস বা স্কুলে থাকলে ভিজা পোশাকে না থেকে সঙ্গে রাখা অতিরিক্ত কাপড় পরুন। মাথা ভিজলে ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন, নাহলে ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা বাড়ে।
খাওয়ার পানি ও পেটের সমস্যা
বর্ষাকালে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। বাইরে খোলা বা অপরিচ্ছন্ন পানি কখনো পান করবেন না। নিজের সঙ্গে খাবার পানি রাখুন। দূষিত পানি পানে ডায়রিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ হতে পারে।
মশার উপদ্রব থেকে সাবধান
বর্ষায় জমে থাকা পানিতে মশা জন্মায় বেশি। ফলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ ছড়ায় সহজে। বাড়ির আশেপাশে কোথাও পানি জমতে দেবেন না। মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো অত্যন্ত জরুরি। মশা তাড়ানোর লোশন বা স্প্রে ব্যবহার করুন।
পায়ের পরিচ্ছন্নতা
বর্ষাকালে পায়ে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে পা ধুয়ে ফেলুন। হালকা গরম পানি আর লিকুইড সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে পা ধোয়া ভালো। বিশেষ যত্ন নিন নখের কোণগুলোর, নরম টুথব্রাশ দিয়ে ময়লা আলতোভাবে পরিষ্কার করুন।
ভাইরাল ইনফেকশনের আশঙ্কা
বর্ষাকালে ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, টাইফয়েডের মতো অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। বৃষ্টিতে ভিজে ঠাণ্ডা লাগলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। ঠাণ্ডা বা ভিজা জামাকাপড়ে না থাকাই ভালো।
বর্ষাকালে ছোটখাটো অসতর্কতাই বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই এই সময় শরীর, খাওয়া-দাওয়া ও আশেপাশের পরিবেশ— সব কিছুর দিকেই রাখতে হবে বাড়তি নজর। নিয়ম মেনে চললেই বর্ষা কাটবে আনন্দে, সুস্থতায়।