কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা যায়

কোলেস্টেরল হলো এক ধরনের চর্বিজাত পদার্থ, যা শরীরের প্রতিটি কোষে বিদ্যমান। এটি হরমোন, ভিটামিন ডি এবং হজমে সহায়ক কিছু উপাদান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যদিও শরীর নিজে থেকেই কোলেস্টেরল তৈরি করে, তবু আমরা অনেক সময় তা খাদ্যের মাধ্যমেও গ্রহণ করি। কোলেস্টেরল দুই ধরনের হয়—ভালো (এইচডিএল) এবং খারাপ (এলডিএল)। খারাপ কোলেস্টেরল রক্তনালির দেয়ালে জমে ধমনি সরু করে দিতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অপরদিকে ভালো কোলেস্টেরল এই অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা যখন শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায়, তখন বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন—হাঁটার সময় বা ব্যায়ামের পর পায়ে ব্যথা বা খিঁচুনি হতে পারে। শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে, কারণ ফুসফুসে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। অনেক সময় অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব হয়, যা শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেনের অভাবের কারণে ঘটে। হাত-পায়ে ঝিনঝিনি বা অসাড় অনুভূতি হতে পারে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে। চোখের চারপাশে হলুদাভ দাগ দেখা যেতে পারে, যা কোলেস্টেরল জমার ইঙ্গিত দেয়। এ ছাড়া বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি, বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রমের সময়, উচ্চ কোলেস্টেরলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হতে পারে। ঠাণ্ডা হাত ও পা এবং ঘাড়, চোয়াল বা পিঠের ওপরের অংশে ব্যথাও অনেক সময় এই সমস্যার ইঙ্গিত দেয়, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। উচ্চ কোলেস্টেরলের এসব লক্ষণ অবহেলা করা উচিত নয়। যেকোনো শারীরিক পরিবর্তন বা অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি মারাত্মক হৃদরোগের কারণ হতে পারে।

প্রি-ডায়াবেটিস কী? এটি কীভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব?

টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আগের পর্যায় হলো প্রি-ডায়াবেটিস। একটু সহজভাবে ব্যাখ্যা করতে গেলে, প্রি-ডায়াবেটিস এর অর্থ হলো আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, কিন্তু ওই মাত্রা টাইপ-২ ডায়াবেটিস হিসেবে গণ্য হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। খবর বিবিসি বাংলার।

‘ডায়াবেটিস ইউকে’ নামক যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল অ্যাডভাইজার এস্থার ওয়ালডেন এই বিষয়ে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য ব্যাখ্যা করেছেন।

তার কথায়, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে বিশেষত খাদ্যাভ্যাসে বদল এনে আপনি শুধু টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধই করতে পারবেন না, প্রি-ডায়াবেটিস থেকেও পুরোপুরি মুক্তিও পেতে পারেন।

এস্থার ওয়ালডেন ব্যাখ্যা করেছেন, কোনো কোনো ব্যক্তি যখন জানতে পারেন, তারা প্রি-ডায়াবেটিস পর্যায়ে রয়েছেন, তখন তারা ভাবতে শুরু করেন এইবার টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়া অবধারিত। তবে অনেকেই এই ঝুঁকি কিন্তু কমানো সম্ভব।

প্রি-ডায়াবেটিস কী? এটি কীভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব?

শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে সঠিক সাহায্য পেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা বা এড়ানো যায়। স্বাস্থ্যকর খাবার, শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করা এবং যদি আপনার ওজন বেশি হয়ে থাকে, তাহলে তা কমানোর মাধ্যমে এমনটা করা সম্ভব।

প্রি-ডায়াবেটিস সম্পর্কে কীভাবে জানবেন?

প্রায়শই প্রি-ডায়াবেটিসের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তাই আপনি সেই পর্যায়ে রয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে নাও জানতে পারেন।

ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যাম-এর ‘নিউট্রিশান অ্যান্ড ডায়েটেটিক্স’-এর সহযোগী অধ্যাপক ড. অ্যামান্ডা অ্যাভেরি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, বেশিরভাগ মানুষ তাদের প্রি-ডায়াবেটিসের বিষয়ে জানতে পারেন যখন রুটিন চেক-আপের সময় যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এথনেসিটি বা নৃতাত্বিক পরিচয়, বয়স, ডায়েট ও ওজনের মতো অনেক কারণে প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এই বিষয়গুলোর সবকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন তারা।

ড. অ্যামান্ডা অ্যাভেরি ব্যাখ্যা করেন, ইনসুলিন এমন এক প্রকার হরমোন যা অগ্ন্যাশয়ে উৎপাদিত হয় এবং এটা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে স্বাভাবিক স্তরে রাখতে সহায়তা করে। যদি কোনো ব্যক্তির ওজন বেশি হয়, বিশেষত পেটের চারপাশে মেদ থাকে তাহলে, ইনসুলিনের পক্ষে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

আসলে, যখন শরীরের চর্বি বৃদ্ধি পায় তখন কোষগুলো ইনসুলিনের প্রভাবের প্রতি কম সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শরীর আরও ইনসুলিন তৈরির চেষ্টা করে। তবে এই প্রচেষ্টা সবসময় দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

তাই বিশেষজ্ঞদের মতে লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরের মেদ বাড়তে পারে যা প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ডায়েটে বদল

এস্থার ওয়ালডেন বলেছেন, প্রত্যেক মানুষ আলাদা, তাই প্রি-ডায়বেটিস পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিদের সবার জন্য কোনো নির্দিষ্ট এক ধরনের ডায়েট থাকা সম্ভব নয়।

তবে কিছু ডায়েট যেমন বেশি পরিমাণে চর্বিযুক্ত খাবার, উচ্চ জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) রয়েছে এবং কম ফাইবারযুক্ত খাবার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত।

গবেষণা বলছে, এখানে চারটে বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়।

১। দেহের মোট ওজনের ১০% হ্রাস

ওজন কমানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তার আগে সবসময় ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিৎ। চিকিৎসকের কাছে জানতে চাওয়া উচিৎ আপনার ওজন বাড়ার সঙ্গে প্রি-ডায়াবেটিসের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না। পাশাপাশি শারীরিক পরিস্থিতি, মেডিক্যাল হিস্ট্রি ইত্যাদির কথা মাথায় রেখে চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানা উচিৎ যে কিছুটা পরিমাণ ওজন হ্রাস করা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল কি না।

‘লাইফ উইদাউট ডায়াবেটিস’ বইয়ের লেখক এবং চিকিৎসক, গবেষক অধ্যাপক রয় টেইলর ২০১১ সালে তার গবেষণায় প্রথমবার প্রমাণ করেন যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ‘রিভার্স’ করা সম্ভব।

তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে, তাদের বর্তমান ওজনের মাত্র ১০% হ্রাস করলে এই সমস্যার সমাধান মিলতে পারে, কারণ এতে লিভারে জমা চর্বিও কমবে।

দশ বছর আগে পর্যন্ত এই পন্থাকেই কোনো জাদুর চেয়ে কম বলে মনে করা হতো না। কারণ এর পরে, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হতে পারে, যদি না আবার ওজন বেড়ে যায়। কত ওজন কমল তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কোনো ব্যক্তির মোট ওজনের কতটা কমল।

ডা. রয় টেইলর বলেন, স্থূলতার সংজ্ঞা এখানে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেউ যখন তার দেহের পার্সোনাল ফ্যাট থ্রেশহোল্ড অতিক্রম করে ফেলেন, তখন প্রি-ডায়াবেটিস হতে পারে এবং এই থ্রেশহোল্ড যে কোনও ওজনেই হতে পারে।

পার্সোনাল ফ্যাট থ্রেশহোল্ড ইঙ্গিত করে যে লিভার এবং অগ্ন্যাশয়ের মতো অঙ্গে জমা হওয়ার আগে প্রত্যেক ব্যক্তির দেহ অ্যাডিপোজ টিস্যুতে (চর্বি কোষ) কতটা চর্বি নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারে। এর একটা সীমা রয়েছে।

ডা. টেইলরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এই থ্রেশহোল্ড প্রত্যেক মানুষের জন্য আলাদা। তাই যে সমস্ত মানুষ স্থূলতার আওতায় পড়েন না, তাদেরও প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকতে পারে।

যদিও বিশেষজ্ঞরা সাধারণত দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, কিন্তু ডা. টেইলরের মতে, এটা প্রি-ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে উপকারী বলে প্রমাণিত হতে পারে।

তার কথায়, প্রত্যেক মানুষই আলাদা, কিন্তু মনে রাখবেন দ্রুত ওজন কমানো (যেমন দিনে মাত্র ৮০০ ক্যালরি ইনটেক করা) বারবার প্রমাণ করেছে যে সেটা টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারে।

তবে এই সময়ে শরীর যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে থাকে তা লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জোর দিয়েছেন তিনি।

২. ওজন কমলে তা বজায় রাখা

কেউ কেউ খুব কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে দ্রুত অনেকটা ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এমন ডায়েট দীর্ঘদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই দীর্ঘ সময়ের জন্য যাতে ওজন কম রাখার সম্ভব হয়, তেমন উপায় খুঁজে বের করা দরকার।

‘ডায়াবেটিস ইউকে’-র তথ্য বলছে, নিরামিষ খাবার খাওয়া, ভিগান ডায়েট এবং খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমানো টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। শুধু তাই নয়, এই জাতীয় ডায়েট অন্য কড়া ডায়েট মেনে চলার চেয়ে সহজ। এই ধরনের খাবার উচ্চ ফাইবারযুক্ত এবং সেখানে গ্লাইসেমিক সূচকও (লো-জিআই) কম থাকে, তাই সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারী।

৩. যে খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলা উচিৎ

গবেষণা বলছে কিছু খাবারের সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সেই সমস্ত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিলে, উপকার মিলবে।

এস্থার ওয়ালডেন ব্যাখ্যা করেছেন, এই খাবারের তালিকায় আছে:

সুগারযুক্ত পানীয়

এই জাতীয় পানীয়তে বেশি পরিমাণে ক্যালোরি থাকে কিন্তু খেলে পেট ভরে না। পাশাপাশি এগুলো রক্তে সুগারের পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। এই কারণে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সমস্যা বাড়তে পারে। অ্যাডেড সুগারযুক্ত পানীয় এই তালিকায় রয়েছে।

রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অতিরিক্ত পরিমাণে রেড মিট বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশি স্টার্চ, কম ফাইবারযুক্ত খাবার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এই সমস্ত খাবারের তালিকায় রয়েছে হোয়াইট ব্রেড, ময়দা দিয়ে তৈরি স্ন্যাক্স, মিষ্টিযুক্ত স্ন্যাক্স যেমন পেস্ট্রি, ক্যান্ডিসহ আরো অনেক খাবার।

পরিশোধিত কার্বসে প্রায়শই এটা পাওয়া যায়। কারণ তৈরির সময় এই সমস্ত খাবার থেকে ফাইবার সরিয়ে ফেলা হয়, এতে সেখানে স্টার্চের অনুপাত বেড়ে যায়।

আলু (বিশেষত ফ্রেঞ্চ ফ্রাই)

ডায়াবেটিস ইউকে জানিয়েছে ঘন ঘন আলু খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। এমনটা ভাবার কারণ এক্ষেত্রে উচ্চ জিআই (গ্লাইসেমিক সূচক) রয়েছে। একটা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে আলুর পরিবর্তে যারা গোটা শস্য খান তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম।

৪. যে সমস্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে

গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে নির্দিষ্ট কিছু খাবারের সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমার সম্পর্ক রয়েছে, এস্থার ওয়ালডেন বলেছেন। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে:

ফল এবং সবজি

২০১২ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, টাইপ -২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে মূলযুক্ত শাক-সব্জি এবং সবুজ শাক-সব্জির যোগ রয়েছে। ২০১৩ সালের এক অন্য এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কয়েকটা নির্দিষ্ট ফল ওই ঝুঁকি কমাতে পারে। এই তালিকায় শীর্ষে আছে ব্লুবেরি, আঙ্গুর এবং আপেল।

গোটা শস্য

অনেক গবেষণা বলছে, ডায়েটে গোটা শস্যজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়ালে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে তিন ধরনের গোটা শস্য (প্রায় ৪৫ গ্রাম) খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২০% কমে যেতে পারে।

দই এবং পনির

দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন দুগ্ধজাত খাবার খান, তারা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৫% কমাতে পারেন। যদি তারা কম চর্বিযুক্ত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খান, তাহলে ওই ঝুঁকি ১০% হ্রাস করা যেতে পারে। ২০১৬ সালের এক গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নিয়মিত দই খেলে ওই ঝুঁকি ১৪% কমে যায়।

মিষ্টি ছাড়া চা এবং কফি

একটা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত কফি পান করেন (ক্যাফিনেটেড বা ডিক্যাফ), তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম।

অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন চা পান করেন (ব্ল্যাক টি বা গ্রিন টি), তাদেরও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম।

আতঙ্কিত হবেন না

আপনি প্রি-ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত এমনটা জানলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। ডা. আমান্ডা অ্যাভেরি বিষয়টাকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তার মতে, এটা আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করার এবং সম্ভবত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের বিকাশ রোধ করার একটা সুযোগ।

যদি আপনি আপনার ডায়েট সম্পূর্ণভাবে বদলে ফেলা সম্ভব নয় বলে মনে করেন, তবে ডা. অ্যাভেরি ছোট এবং সহজ পদক্ষেপ দিয়ে এই কাজ শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন।

তার কথায়, ডায়েটের ক্ষেত্রে একেবারে ছোটখাটো পরিবর্তনগুলোও কিন্তু অনেক বড় পার্থক্য

Kumarhanelerde Yapay Zeka ve Oyun Deneyimi

Yapay zeka (YZ), kumarhane sektöründe dönüşüm gerçekleştiriyor. 2023 döneminde, Las Vegas’taki otel, YZ yardımcı bir oyuncak altyapısı duyurdu. Bu sistem, katılımcıların beğenilerini değerlendirerek özel oyun deneyimleri sağlıyor. YZ, oyuncuların hangi seçenekleri daha sık seç ettiğini tespit ederek, onlara özel kampanyalar ve ilaveler sağlayabiliyor.

Örneğin, YZ algoritmaları, oyunseverlerin oyuncak zamanlarını ve harcama tutumlarını gözlemleyerek, onlara en uygun seçenekleri sunuyor. Bu, hem oyunseverlerin hoşnutluğunu çoğaltıyor hem de kumarhanelerin gelirlerini büyütüyor. YZ’nin kumarhanelerdeki etkisi hakkında daha çok malumat için bu çalışmayı inceleyebilirsiniz.

Yapay zeka , sahtekarlık saptanmasında de değerli bir görev üstleniyor. Casino, YZ bazlı yapılar kullanarak şüphe uyandıran faaliyetleri hemen tespit gerçekleştirebiliyor. Bu, hem oyunseverlerin korumasını koruyor hem de kumarhanelerin saygınlığını muhafaza ediyor. Ayrıca, YZ yardımcı müşteri servisleri, oyunseverlerin isteklerine hemen cevap sunarak, daha kaliteli bir hizmet sunuyor.

Gelecekte, casino YZ sistemlerini daha da ilerletmesi bekleniyor. Örneğin, hayali realite (VR) ile birleşen YZ, oyunculara daha sarmalayıcı bir deneyim temin edebilir. Bu tip gelişmeler, şans oyunlarının yarış gücünü yükseltecek ve oyunculara daha fazla alternatif temin edecektir. YZ’nin kumarhanelerdeki kapasitesini araştırmak için pin up güncel girişbağlantısını ziyaret edebilirsiniz.

Sonuç olarak, yapay entellektüel, casino deneyimini dönüştürmekte ve katılımcılara daha riskiz , bireysel bir ortam sağlamaktadır. Ancak, katılımcıların her her an lisanslı ve emniyetli sistemleri beğeni etmeleri önemlidir. Bu vesileyle, hem zevkli hem de emniyetli bir oyuncak tecrübesi yaşayabilirler.

করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ১১

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে একই সময়ে আরও ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছর মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৩ জন। এ যাবত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৮৮ জন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ যাবত ১ কোটি ৫৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। চলতি বছরে মোট করোনায় ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছে। দেশে এ যাবত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার তিন দশমিক ২৯ শতাংশ। এ যাবত শনাক্তের হার মোট ১৩ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ মাসে দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

করোনায় আরো একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এদিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৭৪ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৬২৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে কী করবেন?

রক্তচাপের সমস্যা আর শুধু বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আজকাল কম বয়সীরাও এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এর পেছনে রয়েছে রাতজাগা, অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও নেশাজা্তীয় দ্রব্যের ব্যবহার। হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে, সবসময় ওষুধ কাছে রাখা ও নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। তবে যদি হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং তখন ওষুধ না থাকে, তখন কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে বিপদ সাময়িকভাবে সামলানো সম্ভব। হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই যদি বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরা, বমিভাব, চোখের সামনে অন্ধকার দেখার মতো উপসর্গ দেখা দেয়, সঙ্গে হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরে—তাহলে সতর্ক হওয়া জরুরি। চলুন, জেনে নিই ওষুধ ছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু কার্যকর উপায়। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস শান্তভাবে বসে গভীরভাবে শ্বাস নিন, কয়েক সেকেন্ড ধরে রেখে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এভাবে ১০–২০ সেকেন্ড ধরে ৩ সেট অনুশীলন করলে শরীরের প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় হয়। ফলে অস্থিরতা ও উত্তেজনা কমে, হৃদস্পন্দনও নিয়ন্ত্রণে আসে। ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা মুখ, ঘাড় ও পায়ের পাতায় ঠাণ্ডা পানি দিলে শরীর ঠাণ্ডা হয় এবং রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। অস্বস্তি লাগতে শুরু করলেই মাথা, ঘাড় ও পা ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। এতে রক্তনালিতে চাপ কমবে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। লেবু পানি পটাশিয়ামসমৃদ্ধ লেবু পানি (চিনি ও লবণ ছাড়া) উচ্চ রক্তচাপে খুব উপকারী। এক গ্লাস পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে শরীরের পানি ও খনিজের ঘাটতি পূরণ হয়, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। লেবুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দেহের শক্তি বাড়ায়। ধীরে ধীরে পানি পান করুন রক্তচাপ বেড়ে গেলে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে খান। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে। মাথা ঘোরা বা ঘাম হলে তৎক্ষণাৎ বসে পড়ে জল খান। তবে ভুলেও কোমল পানীয় বা সোডা খাবেন না। তুলসী ও রসুন রসুনে থাকা অ্যালিসিন রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং জমাট বাঁধা রোধ করে। তুলসীপাতার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্রদাহনাশক গুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কয়েকটি তুলসীপাতা বা এক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এই উপায়গুলো রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে গেলে তা সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া এবং জীবনযাপন পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

খালি পেটে কী খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে

বর্তমান সময়ে অত্যন্ত পরিচিত একটি রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস। এই রোগে আক্রান্তদের খাবারদাবার ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হয়। কেননা তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ইনসুলিন উৎপাদনে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সঠিক খাবার খেলে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া রোধ হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিছু খাবার খেতে পারেন। সেগুলো হচ্ছে—
আমলকির রস : আমলকির রস ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এটি স্বাভাবিকভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। অঙ্কুরিত মুগ ডাল : মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকে, যা শর্করার শোষণ ধীর করে এবং হজমে সাহায্য করে। ভেজানো বাদাম : ভেজানো বাদামে ম্যাগনেসিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা গ্লুকোজ নিঃসরণ ধীর করে। মেথি : মেথিতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
দারচিনি পানি : গরম পানিতে মিশিয়ে পান করলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি কমে। তাই রক্তে শর্করার মাত্রার নিয়ন্ত্রণে এই খাবারগুলো প্রতিদিন সকালে খালিপেটে খেতে পারেন। তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে।

২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ২ জনের, শনাক্ত ৭

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আরো সাতজন। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই হিসাবে শনাক্তের হার তিন দশমিক ৮২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুইজনের একজন পুরুষ, আরেকজন নারী। তাদের একজনের বয়স ৩১-৪০ বছর, আরেকজনের ৭১-৮০ বছরের মধ্যে। দুইজনের একজন চট্টগ্রাম, আরেকজন সিলেট বিভাগের। তাদের একজন সরকারি, অপরজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ২৯ হাজার ৫২১ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে চলতি বছর মারা গেছেন ২২ জন। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫২ হাজার ৮০ জন। ২০২৫ সালে শনাক্ত হয়েছেন ৫৩৫ জন।

The Impact of Artificial Intelligence on Casino Operations

Artificial Intelligence (AI) is changing the casino field by optimizing operations, boosting customer experiences, and upgrading security practices. According to a 2023 analysis by Deloitte, AI technologies are expected to increase operational efficiency by up to 30% in casinos, allowing for superior resource oversight and customer support.

One remarkable example is the application of AI-driven chatbots for customer support. These bots can manage inquiries ⁄7, providing quick responses to players. For example, the Hard Rock Hotel & Casino in Atlantic City deployed an AI chatbot named "Rocky" to help guests with reservations and gaming information. You can find out more about their projects on their official website.

In addition to customer support, AI is also being employed for fraud detection and avoidance. By assessing player behavior and transaction trends, casinos can identify suspicious activities in live time, substantially reducing the threat of fraud. For further insights into AI’s impact in gambling, visit The New York Times.

Moreover, AI algorithms are improving game development by tailoring gaming adventures. By examining player likes, casinos can offer custom game recommendations, boosting player involvement and happiness. Explore a system that leverages AI for tailored gaming experiences at dragon money .

As the casino sector continues to embrace AI, it is crucial for operators to stay current on digital advancements. While AI offers numerous benefits, casinos must also consider ethical factors and ensure that player information is handled responsibly to maintain confidence and conformity.