বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় গ্লোব ভ্যাকসিন

ছবি: ইন্টারনেট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত তিনটি ভ্যাকসিনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ অব কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ ও গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ড. কাকন নাগ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, গত ১৫ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কার করা তিনটি ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। গ্লোবের ভ্যাকসিনের নাম ব্যানকোভিড। ভ্যাকসিন তিনটি হলো, D614G Variant mRNA vaccine, DNA plasmid vaccine এবং Adenovirus Type-5 Vector Vaccine।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক-ই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাদের সর্বোচ্চ তিনটি ভ্যাকসিনের নাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের তালিকাতে রয়েছে।

গ্লোব ভ্যাকসিন 2

এর আগে গত ৫ অক্টোবর গ্লোব জানায়, গ্লোব সফলভাবে প্রাণিদেহে তাদের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে, এখন হিউম্যান ট্রায়ালে যওয়ার জন্য প্রস্তুত।

সেদিন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে, সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পেলে ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে আসবে। তবে এজন্য তিনি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আবেদন করেন।

তারও আগে গত ২ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি করোনাতে তাদের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা ঘোষণা দিয়ে জানায়, গত ৮ মার্চ থেকে তারা এই টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু করেছে।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটকে স্বীকৃতি দিলো। বাংলাদেশই বিশ্বের একমাত্র দেশ যে দেশের একটি কোম্পানির তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত হলো। আর এই তিনটি ভ্যাকসিনের কথা আমরা গত দুই জুলাইতে বলেছিলাম।

আসছে শীত বাড়ছে করোনার শঙ্কা

ছবিঃ ইন্টারনেট রোগী বাড়ার আশঙ্কা, সাধারণ ফ্লু আর করোনাভাইরাস আলাদা করা সমস্যা শীতকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উৎকণ্ঠা। ঠান্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি, গণপরিবহনে দরজা-জানালা বন্ধ থাকা, সামাজিক অনুষ্ঠান বেশি হওয়ায় সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়েও চলছে জোরেশোরে আলোচনা। কার্যকর কোনো টিকা না আসা পর্যন্ত করোনাভাইরাস মহামারীকে বাগে আনা মুশকিল বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আসন্ন শীতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা মহামারী আবার দেখা দিলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সরকারি অর্থ খরচ করার বিষয়ে সর্বোচ্চ মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপের অনেক দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে। এটা থেকে আমাদের নিরাপদে থাকতে হবে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শীতে তাপমাত্রা ও কম আর্দ্রতা করোনাভাইরাসকে আরও বেশি সময়ের জন্য বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেবে। সেই সঙ্গে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে করোনাভাইরাসটি মানুষের ওপর আরও বেশি প্রভাব ফেলবে। শীতকালে নিউমোনিয়া, হাঁপানি ও অন্যান্য সর্দিজনিত রোগের কারণে করোনায় মৃত্যুর হারও বাড়তে পারে।’ যুক্তরাজ্য, ভারত, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত সাম্প্রতিক কিছু গবেষণার দাবি, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়ে শীতকালে এ ভাইরাসটির প্রভাব আরও বাড়তে পারে। যুক্তরাজ্যের মেডিকেল সায়েন্সেস একাডেমির এক সমীক্ষায় সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শীতকালে নতুন করে সংক্রমণের কারণে কভিড-১৯ সম্পর্কিত হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলেছে, আর্দ্রতার এক শতাংশ কমলে কভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ৬ শতাংশ হারে বাড়িয়ে দিতে পারে। তারা আরও বলছে, কেবলমাত্র আর্দ্রতা কমে যাওয়াই কভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত। এর সঙ্গে তাপমাত্রার কোনো সম্পর্ক নেই। ভারতের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আইআইটি-ভুবনেশ্বর এবং এআইআইএমসের গবেষকদের একটি দল সম্প্রতি ওই দেশের নীতিনির্ধারকদের দেশটিতে বর্ষা ও শীতের সময় কভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনটি গবেষণাকে ভিত্তি করে তারা বলেন, মৌসুমি বৃষ্টিপাত, ঠান্ডা বায়ুমন্ডল এবং শীতকাল ঘনিয়ে আসাসহ পরিবেশগতভাবেই ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে পারে। ভারতের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) এক সমীক্ষা অনুসারে, দেশটিতে আগামী শীতকালের শেষে প্রতিদিন প্রায় ২ দশমিক ৮৭ লাখ মানুষ কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতে পারে। দেশটির বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব রাজস্থানের গবেষকরাও তাদের গবেষণায় শীত মৌসুমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর পরিমাণ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, শীতে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। কয়েকটি কারণে শীতে সংক্রমণ বাড়তে পারে। আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় খুব দ্রুত ড্রপলেট শুকিয়ে যাবে। মাস্ক না পরলে কাশি, সর্দির সঙ্গে আসা জীবাণু বাতাসে বেশি সময় ভাসমান থাকবে। এ ছাড়া শীতে ধুলা বেড়ে যায়। ধুলাও জীবাণুর বাহক হিসেবে কাজ করে। ঘর, বাসের দরজা-জানালা বন্ধ থাকলে জীবাণু ভেসে বেড়াবে, মাটিতে পড়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না। ঘরের ভিতরে বেশি মানুষ থাকলে আরও বেশি জমবে, ভাইরাসের সংক্রমণ হার বেড়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। যা শীতে সংক্রমণ বাড়ার একটি কারণ। এ ছাড়া বিয়ে, পিকনিকসহ সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে কমিয়ে ফেলিনি। পদক্ষেপ যেগুলো নিয়েছি কোনোটাই সম্পূর্ণ হয়নি। কয়েক মাস জোরালো পদক্ষেপ, জনগণকে সচেতন করা হয়নি। বদ্ধঘরে যাতে বেশি মানুষ সমবেত না হয় এ ব্যাপারে প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রয়োজন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যতদিন আক্রান্ত ব্যক্তি থাকবে ততদিন করোনা সংক্রমণ থাকবে। গ্রীষ্মের তাপে যদি করোনার জীবাণু ক্ষতিগ্রস্তই হতো, তাহলে ইকুয়েডর, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় করোনায় লাশের সারি থাকত না। শীতপ্রধান দেশে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে দরজা-জানালা লাগিয়ে মানুষ গাদাগাদি করে থাকে। এ জন্য সংক্রমণ বাড়ে। আকাশপথে যোগাযোগ বাড়ায় রোগী এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়বে। আমাদের দেশে শীতে সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ বাড়তে পারে। সামাজিক মেলামেশা না কমলে ঋতু নয় হুট করেই যে কোনো সময় সংক্রমণ বাড়তে পারে।

ময়ূরপঙ্খী গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড পেলেন ডাঃ এম ইয়াছিন আলী

“জয় হোক মানবতার । স্যালুট সকল করোনা যোদ্ধাদের”। ” “ডা. এম ইয়াছিন আলী” মহোদয়কে “করোনা যোদ্ধা” ময়ূরপঙ্খী গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে । 
করোনাকালিন সময়ে মানবিক কাজ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অসামাণ্য অবদান রাখায় বাংলাদেশ থেকে সম্মানিত চিকিৎসক, মানবিক ব্যক্তি ও বিশিষ্ট ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফিজিওথেরাপি বিভাগের প্রধান – “ডা. এম ইয়াছিন আলী” মহোদয়কে “করোনা যোদ্ধা” ময়ূরপঙ্খী গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে । ময়ূরপঙ্খীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে। মানবতার কল্যাণে নিবেদিত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “ময়ূরপঙ্খী শিশু কিশোর সমাজকল্যাণ সংস্থা” (গভঃ রেজিঃ নং: ঢ-০৯৫৮৭)।

করোনায় আক্রান্ত অর্চিতা স্পর্শিয়া

ছবি: ইন্টারনেট
মডেল ও অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরিচালক অনন্য মামুন।
অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘আমাদের স্পর্শিয়া করোনায় আক্রান্ত, সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন। ও ফোনে কথা বলতে পারছে না, তাই ফোন না করার জন্য অনুরোধ করছি।’ জানা গেছে, গত সপ্তাহে করোনায় পজিটিভ হয় স্পর্শিয়ার। এখন তার শারীরিক অবস্থা ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘরেই আছেন তিনি।

ফ্রী ব্রেস্ট ক্যান্সার কনসালটেশন ২০২০

ছবি: ফেসবুক
আমার হাতই হোক আমার প্রথম হাতিয়ার। ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য, একটু সচেতন হলে নীরব এই ঘাতকব্যাধি হতে পারে পরিত্রান পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে বি আর বি হাসপাতালে চলছে ফ্রী ব্রেস্ট ক্যান্সার কনসালটেশন, ইউকে প্রোটকল অনুযায়ী।
বিশ্বে নারীদের ক্যান্সারের মধ্যে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার এক নম্বরে আছে। কিন্তু উন্নত বিশ্বে নিয়মিত স্ক্রিনিং আর সচেতনতার কারণে একদম প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার ধরা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নত বিশ্বে শতকরা ৬৫ ভাগ স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। এ কারণে সেখানে ব্রেস্ট ক্যান্সারজনিত মৃত্যু অনেকটা কমে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। এর কারণ অনেক দেরিতে ও শেষ পর্যায়ে এসে ক্যান্সার ধরা পড়া। বিগত পাঁচ বছরে আমাদের দেশে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া ও রোগ শনাক্ত হওয়ার হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমাদের দেশে দেরীতে ও শেষ পর্যায়ে ডায়াগনোসিস হওয়া আর দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসার পেছনে অন্যতম কারণ রোগী ও তার পরিবারের এই বিষয়ে অজ্ঞতা ও অসচেতনতা এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারের নিয়মিত স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম-এর স্বল্পতা। আন্তর্জাতিক ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে বি আর বি হাসপাতালে চলছে ফ্রী ব্রেস্ট ক্যান্সার কনসালটেশন, ইউকে প্রোটকল অনুযায়ী। এটি চলবে ১১-৩০ অক্টোবর ২০২০, প্রতিদিন সকাল ০৯টা থেকে বিকাল ০৪ টা। সাথে থাকছে মেমোগ্রাফিতে ৩০% ডিস্কাউন্ট ও ফ্রী রেজিস্ট্রেশন। ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য, একটু সচেতন হলে নীরব এই ঘাতকব্যাধি হতে পারে পরিত্রান পাওয়া যায়।

আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২০

আজ ১৫ অক্টোবর গ্লোবাল হ্যান্ড ওয়াশিং যে বা, বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত এই দিনটিকে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। কেন হাত ধোয়া জরুরি, সেটা এ বছর অনেকেই বুঝে গেছেন করোনাভাইরাসের কারণে। আর তাই হাত ধোয়া দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হ্যান্ড হাইজিন ফর অল

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসটি বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা তৈরি ও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য চালানো একটি প্রচারণামূলক দিবস। সাধারণ মানুষকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ করার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার উদ্দেশ্যে এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এই দিবসের মূল লক্ষ্য হলো সকল সমাজের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার একটি সাধারণ সংস্কৃতির সমর্থন, প্রচলন ও এর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার বৈশ্বিক এবং স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করার জন্য বিশ্ব হাত ধোয়া অংশীদার (জিএইচপি) (আগের নাম ছিল হাত ধোয়ার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) ২০০৮ সালে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস চালু করে। সেই বছর সুইডেনের স্টোকহোমে ১৫ অক্টোবর বিশ্ব পানি সপ্তাহে জিএইচপি বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম এ দিবসটি উদযাপন করে। পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তারিখটি প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২০০৮ সালটি স্বাস্থ্যব্যবস্থার আন্তর্জাতিক বর্ষও ছিল। দিবসটি যেদিন প্রথমবারের মতো পালিত হয়, সেদিন বিশ্বের ৭০ টি দেশের ১২ কোটিরও বেশি শিশু সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। তার পর থেকেই বিশ্বব্যাপী সরকার, স্কুল, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ সংস্থা, এনজিও, বেসরকারী সংস্থা, ব্যক্তি উদ্দ্যেগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সূত্র: দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

করোনায় আক্রান্ত রোনালদো

এবার করোনাভাইরাসের শিকার হলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গতকাল পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন নিশ্চিত করেছে কভিড-১৯ টেস্টে জুভেন্টাসের এ বিখ্যাত ফুটবলারের পজিটিভ ধরা পড়েছে।
এবার করোনাভাইরাসের শিকার হলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গতকাল পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন নিশ্চিত করেছে কভিড-১৯ টেস্টে জুভেন্টাসের এ বিখ্যাত ফুটবলারের পজিটিভ ধরা পড়েছে। তবে তিনি সুস্থ আছেন এবং তার মধ্যে উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছে তারা। ৩৫ বছর বয়সী এ ফুটবলার এখন আইসোলেশনে আছেন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় আজ উয়েফা নেশন্স লিগে পর্তুগালের হয়ে সুইডেনের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না রোনালদো। কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ডের কারণে আগামী শনিবার জুভেন্টাসের হয়ে সিরি এ লিগেও খেলতে পারবেন না তিনি। তিন দিন পর দিনামো কিয়োভের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও দর্শক হয়ে থাকতে হবে তাকে। এর আগে জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন তারকা দিবালাও তিনবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ। পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন আশা করছে রোনালদো খুব শিগগিরই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে পাথরকুচি পাতার গুনাগুন

চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেসব ঔষধি গাছ প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে তার মধ্য অন্যতম পাথরকুচি। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, পাথরকুচি পাতা কিডনি রোগসহ বিভিন্ন রোগের বিশেষ উপকারে আসে। চলুন জেনে নেই পাথরকুচি পাতার ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে।
  • কিডনির পাথর অপসারণ
    পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলগণ্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে।
  • পেট ফাঁপা
    অনেক সময় দেখা যায় পেট ফুলে গেছে, প্রসাব আটকে আছে। সে ক্ষেত্রে একটু চিনির সাথে এক বা দুই চা-চামচ পাথর কুচির পাতার রস গরম করে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
  • মৃগী
    মৃগী রোগাক্রান্ত সময়ে পাথর কুচির পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।
  • শিশুদের পেট ব্যথায়
    শিশুর পেটব্যথা হলে, ৩০-৬০ ফোঁটা পাথর কুচির পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়।
  • ত্বকের যত্ন
    পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে।
  • পাইলস
    পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস্ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • জন্ডিস নিরাময়ে
    লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী।
  • শরীর জ্বালাপোড়া
    দু-চামচ পাথর কুচি পাতার রস, আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে দুবেলা খেলে উপশম হয়।
  • উচ্চ রক্তচাপ
    উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়।
আরও অনেক উপকার রয়েছে।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ১৩ চিকিৎসক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। একাডেমিক যোগ্যতা থাকলে যে কেউ আবেদন করতে পারবেন পদগুলোতে।

পদ বিবরণ:

  • এ্যাডিশনাল চিফ মেডিকেল অফিসার-১টি (স্থায়ী)। বেতনক্রম: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০/- ও প্রচলিত ভাতাদি।
  • সিনিয়র মেডিকেল অফিসার (মেডিসিন, গাইনি, চর্ম ও যৌনরোগ)-৩ টি (স্থায়ী)। বেতনক্রম: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০/- ও প্রচলিত ভাতাদি ।
  • সিনিয়র মেডিকেল অফিসার-০১ টি (স্থায়ী)। বেতনক্রম: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০/- ও প্রচলিত ভাতাদি।
  • মেডিকেল অফিসার-৫ টি (স্থায়ী)।  বেতনক্রম: ২৩,০০০-৫৫,৪৭০/- ও প্রচলিত ভাতাদি।
  • মেডিকেল অফিসার (সাইকিয়াট্রি, মাইক্রোবায়োলজি)-০৩ টি (স্থায়ী)। বেতনক্রম: ২২,০০০-৫৩,০৬০/- ও প্রচলিত ভাতাদি।
প্রতিটি পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা, আবেদন-ফি এবং আবেদন পদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের www.ru.ac.bd -এ পাওয়া যাবে। আগামী বৃহস্পতিবার ১৫ অক্টোবর বিকেল ৫ (পাঁচ) টার মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। *এ্যাডিশনাল চীফ মেডিকেল অফিসার, আবেদন ফিসহ অনলাইন ফি (২০০০ + ৫০) = ২০৫০ টাকা। সিনিয়র মেডিকেল অফিসার, আবেদন ফি সহ অনলাইন ফি (১০০০ + ৫০) = ১০৫০ টাকা। মেডিকেল অফিসারের আবেদন ফি সহ অনলাইন ফি (১০০০ + ৫০) = ১০৫০ টাকা।  

আবজাল ফের দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

স্বাস্থ্যের ১২ জনকে তলব চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আলোচিত অফিস সহকারী আবজাল হোসেনসহ পাঁচজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর মধ্যে আবজালকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর  নোটিস পাঠিয়ে ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। এর মধ্যে গতকাল চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাকিদের আজ ও কাল জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম তাকে কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে নিয়ে যান বলে দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে। এর আগে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুদকে আনা হয়। বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় আবজালকে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ২০ সেপ্টেম্বর আবজালকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৩ আগস্ট আবজাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। গত বছরের ২৭ জুন দুদক উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন। প্রথম মামলায় আবজালের স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংসহ ২৮৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ কাজে স্ত্রীকে সহায়তার জন্য স্বামী আবজালকেও আসামি করা হয়। অন্য মামলায় আবজালের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা পাচার এবং ২ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়। এদিকে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আরও চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কমিশন। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী প্রোগ্রামার মো. রুহুল আমিন, প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার, অধিদফতরের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান ফকির ও আবু সোহেল দুদকের এই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কাছে প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, তার কোনো অঢেল সম্পত্তি  নেই। অন্য কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন কিনা তা তার জানা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কোনো সম্পদের পাহাড় নেই। অন্যদের  বেলায় কী আছে, কী নেই তা আমি জানি না। আমার যা বলার আমি এখানে (দুদক) বলেছি, আপনারা জেনে নেবেন। তবে অন্য ৩ জন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এর আগে গত ৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর নোটিস পাঠিয়ে ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। এর মধ্যে গতকাল চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাকিদের আজ ও কাল জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে। ওই নোটিসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজের ও স্ত্রীর নামে থাকা পাসপোর্ট, এনআইডি ও আয়কর রিটার্নের অনুলিপি সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করে বিদেশে অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।