নিয়োগ, বদলি ও তদবির নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্ক বার্তা!

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানিয়েছে যে, নিয়োগ, বদলি বা কাজের তদবিরের কথা বলে একটি প্রতারক চক্র বিকাশের মাধ্যমে টাকা চাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার এ কথা জানানো হয়। এতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা শাখার বিভিন্ন অফিসে বিকাশে টাকা চাওয়া, নিয়োগ, বদলি বা কাজের তদবির করা হচ্ছে। এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে নিকটস্থ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার অনুরোধ করা যাচ্ছে। বাসস ইত্তেফাক

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে যেসব খাবার-জেনে নেই

শরীরে অগ্ন্যাশয় যদি যথার্থ ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীরে ইনসুলিনের সঠিক কাজ ব্যাহত হয় তাহলে সেটাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়; অধিক তৃষ্ণার্ত অনুভব করে এবং বার বার মুখ শুকিয়ে যায়। আক্রান্তরা অতিশয় দুর্বলতা, সার্বক্ষণিক ক্ষুধা, স্বল্প সময়ে দেহের ওজন হ্রাস, চোখে ঝাপসা দেখাসহ নানান সমস্যায় ভোগে। নিচে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক কয়েকটি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো : সবুজ চা : সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে; ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি। ওয়াইল্ড স্যামন : ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অন্যতম একটি ঔষধি খাদ্য ওয়াইল্ড স্যামন। এতে উচ্চ মাত্রায় ওমেগা-৩ রয়েছে। ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি বড় উৎস এটি। ডায়াবেটিস রোগের পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও কমায় ওয়াইল্ড স্যামন। মাছ : গবেষণায় দেখা যায়, মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। এতে চর্বিহীন প্রোটিন রয়েছে। টক দই : টক দই একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এতে চিনির পরিমাণ খুব কম। এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। দুপুরের খাবারের সঙ্গে বা বিকেলের নাস্তায় স্যান্ডউইচের সঙ্গে টক দই খাওয়া যায়। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ : ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। এতে উচ্চ মানের প্রোটিন রয়েছে। ডিমের সাদা অংশে উচ্চ মানের চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা ২ ধরণের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। লেবু : লেবু ও লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে। তবে লেবু জাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। জাম্বুরা, কমলা, লেবু এবং লাইমস ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের মতো কাজ করে। সবুজ শাকসবজি : সবুজশাক সবজি ২ ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। পালং শাক, পাতা কপি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। গবেষণায় বলা হয়, সবুজ শাক সবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে। বাদাম : গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসের ঝুকি প্রায় ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমায় চীনাবাদাম। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১ আউন্স আখরোট বা কাজুবাদাম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। মটরশুটি : ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য মটরশুটি। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১ কাপ মটরশুটি খেলে ২ ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এতে উচ্চমাত্রায় শর্করা, চর্বিহীন প্রোটিন এবং আঁশ রয়েছে। এটি শরীরের রক্তে চিনি কমাতে সাহায্য করে; হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমায়। সালাহ উদ্দীন

শুরুতেই ফিরলেন তামিম, বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ

মঙ্গলবার মিরপুরে দিবারাত্রির ম্যাচটি শুরু হয়েছে দুপুর দেড়টায়। এদিন টস জিতে তামিম ইকবালের দলকে ব্যাট করতে পাঠান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফিরে যান তামিম ইকবাল। রুবেল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ ফাঁদে পড়েন তিনি। ৮ বলে ২ রান করে ফেরত যান অধিনায়ক। রুবেলের ওভার শেষ হতেই শুরু হয় বৃষ্টির হানা। বর্তমানে খেলা রয়েছে বন্ধ। ওপেন করতে নামা তানজিদ হাসান তামিম ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। অন্যদিকে এনামুল হক বিজয় তিন বল খেলেও কোন রান তুলতে পারেননি। তিন ওভার পর ১ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে রানের সংখ্যা ১২। এদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে গেছে মাহমুদুল্লাহ নেতৃত্বাধীন দলটি একাদশ। তাই এই ম্যাচে জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না তারা। অন্যদিকে তামিম একদশের প্রথম ম্যাচ এটি। তাই জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চায় তারা। তামিম একাদশ তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুন, শাহাদাত হোসেন দিপু, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাহাদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম মুস্তাফিজুর রহমান, মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি। মাহমুদুল্লাহ একাদশ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, লিটন দাস, মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, সুমন খান ও আমিনুল ইসলান বিপ্লব। আরটিভি

করোনায় আক্রান্ত পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তাঁর তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা না গেলেও বয়স বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান তাঁর আশু রোগ মুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। পেশাগত জীবনে তিনি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। এম এ মান্নান ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন শেষে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন। ২০০৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি সাংসদ হন। ২০১০ এবং ২০১৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী হন। একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসন থেকে সাংসদ হয়ে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রী হন। সূত্রঃ প্রথম আলো

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে রিজভী হাসপাতালে

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান। শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুর একটার দিকে রুহুল কবির রিজভী হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। এ সময় তিনি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিলেন। বিএনপির সূত্র জানায়, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রুহুল কবির রিজভীকে প্রথমে কাকরাইলের ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে সেখান থেকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। শায়রুল কবির খান বলেন, রুহুল কবির রিজভী এখন ল্যাবএইড হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। সাবেক ছাত্রনেতা রিজভী ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন। সূত্রঃ প্রথম আলো

বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস ২০২০

“সময় নষ্ট আর নয়, এখন হবে ব্যথা জয়”
বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস ২০২০
বাতের ব্যাথায় ১৯ শতাংশ মানুষ স্বাভাবিক কাজ করতে ব্যর্থ হয়। ২০১০ সালের এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে তাদের গড়ে প্রায় ১৮ দিনেরও বেশি কাজে অনুপস্থিত থাকতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস’। প্রতি বছর এই দিনটি বাত ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিস বিষয়ে সচেতনতার জন্য পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাত ব্যাথা নিয়ন্ত্রণের এখনই সময়’।
এই বিষয়ে সচেতনতা কেন এত জরুরি? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবু শাহীন এই বিষয়ে মানবজমিনকে জানান, পৃথিবীতে বাত ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যার একটি অন্যতম কারণ। এই রোগে মানুষ শারীরিক অক্ষমতার জন্য কাজ করতে পারে না। রোজগার হতে বঞ্চিত হয় বিধায় অনেক মানুষ গরিব হয়ে যায়। রিউমোটোলজি বিভাগ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে মেডিসিনের একটি আধুনিক শাখা। বাংলাদেশে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগ এ বিষয়ে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিভাগ যথাক্রমে ২০০১ ও ২০১০ সালে বাংলাদেশে বাত ব্যথা রোগের প্রকোপ নির্ণয়ের জন্য দুইটি গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা যায়, শতকরা ২৬ দশমিক ৩ ভাগ (২০০১ সাল) ও ২৬ দশমিক ৫ (২০১০ সাল) ভাগ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় বাত ব্যথায় ভুগে থাকেন। পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি ভুগে থাকেন। ২০০১ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষের হার ২১ দশমিক ১ শতাংশ ও নারীদের ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ বাত ব্যথায় ভুগেন। আশঙ্কার বিষয় যে, ১০ বছরের ব্যবধানে ২০১০ সালের গবেষণায় দেখা গেছে,  নারীদের হার প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পুরুষদের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। একই এলাকায় পরিচালিত এই গবেষণা দু’টি হতে দেখা যায়, বাত ব্যথার কষ্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ কোমর ব্যথা বাত ২১ দশমিক ২ শতাংশ ও ২০ দশমিক ১ শতাংশ (২০১০ ও ২০০১ সাল)।  তারপর হাঁটু ব্যথা বাত ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ ও ১৪ শতাংশ (২০১০ ও ২০০১ সাল)। কাঁধের জোড়ার বাত ৭ দশমিক ৪ শতাংশ (২০১০ সাল) ও ১১ দশমিক ৫ শতাংশ (২০০১ সাল), কুঁচকি বা হিপ-এর বাত ৭ দশমিক ১ শতাংশ (২০১০ সাল) ও ১৩ শতাংশ (২০০১ সাল), গোড়ালির বাত ৬ শতাংশ (২০১০ সাল) ও ৭ দশমিক ৭ শতাংশ (২০০১ সাল)। দুুঃখের বিষয়, গবেষণার বছরে কাজ করতে পারে নাই তার প্রকোপ প্রায় ১৯ শতাংশ (২০১০ সাল) ও ২২ শতাংশ (২০০১ সাল)। গবেষণার ২০০১ সালে মানুষ গড়ে প্রায় ৪৯ দশমিক ৩ (প্লাস মাইনাস ৪৭ দশমিক ৫) দিন কাজে যেতে পারেনি, যা ২০১০ সালের গবেষণায় দেখা গেছে ১৮ (প্লাস মাইনাস ১৫ দশমিক ২) দিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাত ব্যথা রোগে নারীরা অনেক বেশি আক্রান্ত হন। সময়ের ব্যবধানে নারীদের মাঝে এই প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই এখনই সময় সবার সচেতন হওয়ার। বিএসএমএমইউ’র রিউমাটোলজি বিভাগ শিক্ষা সেবা ও গবেষণা দেশ ও  বিদেশে সুপরিচিত। এ যাবৎ ৫০-এর অধিক ডাক্তার এই বিভাগ থেকে রিউমাটোলজিতে এমডি ডিগ্রি লাভ করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো পদ না থাকায় এই বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা সেবার বিস্তার করানো যাচ্ছে না। এদেশের অনেক মানুষ বাত ব্যথা রোগের জন্য পার্শ্ববর্তী অনেক দেশে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় করেন। কোনো কোনো সময় প্রতারিত হন। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি নানা পর্যায়ে আজ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস পালন করা হচ্ছে। প্রতি বছর এই দিনটি বাত ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস বিষয়ে সচেতনতার জন্য পালিত হয়।

আর্থ্রাইটিস পরিসংখ্যানঃ

৮০% রোগীর চলাচলে সমস্যা, ২৫% রোগীর নিত্যদিনের কাজের সমস্যা, প্রায় ৩৩% অষ্টিওআর্থ্রাইটিসের রোগী ৪৫ বছরের বেশি।

লক্ষণ ও উপসর্গঃ

  •  অস্থিপেশির দুর্বলতা
  •  অস্থি সন্ধিস্থলে ব্যথা
  •  অস্থি সন্ধিস্থল ফুলে যাওয়া
  •  গতিশীলতা হ্রাস পাওয়া

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৬ টিপস

আমাদের প্রত্যেকের মাঝে প্রত্যাশা থাকে ‘প্রখর’ স্মৃতিশক্তির অধিকারী হওয়া। কিন্তু সবাই এ গুণের অধিকারী হতে পারেন না। জেনে রাখুন, ‘প্রখর’ স্মৃতিশক্তি শুধু বর্তমানেই নয়, ভবিষ্যতেও বড় সম্পদ হতে পারে। এর অধিকারী হলে জীবনে সাফল্য পাবার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।

অন্যদিকে, স্মৃতিশক্তি ‘দুর্বল’ হলে হিতে বিপরীত ঘটতে পারে। নানা কারণে স্মৃতিশক্তি ‘দুর্বল’ হয়ে পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে স্মৃতিভ্রম বলে। এটি হলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। ফলে জীবনে সাফল্য পাওয়া তো দূরের কথা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়তে হয়। তবে দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি টিপস ও কৌশল অবলম্বন করে সহজেই স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়। চলুন এবার জেনে নিই সেই টিপস ও কৌশলগুলো- ১. খাদ্য : স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখার পূর্বশর্তই হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। তা হতে পারে প্রচুর পরিমাণ ফলমূল, শাকসবজি ও উপকারি চর্বিযুক্ত খাবার (মাছ, বাদাম, অলিভ ওয়েল)। ২. ব্যায়াম : যেকোনো ধরনের ব্যায়াম-দৌড়, সাঁতার, সাইকেল চালানো, জগিং স্মৃতির জন্য খুবই ভালো। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তিজনিত রোগ নিরাময়েও এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ৩. ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম শুধু শরীরের জন্য নয়, মনের জন্যও অপরিহার্য। গবেষণায় দেখা গেছে, ভালো ঘুম স্মরণশক্তি বাড়াতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ৪. ভাতঘুম : গবেষণায় দেখা গেছে, দিনের বেলায় সামান্য ঘুম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। ৫. স্মৃতিসংক্রান্ত ডিভাইস : কিছু বৈজ্ঞানিক ডিভাইস কোনো কিছু মনে রাখতে সহায়তা করে। ৬. কবিতা/ছড়া: শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ছড়া বা কবিতা পাঠের বিকল্প নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি বড়দের স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সুতরাং যদি মনে করেন আপনার স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে, তাহলে আর দেরি না করে এসব টিপস ও কৌশলের আশ্রয় নিন। সূত্রঃ আরটিভি

ধোনির ৫ বছরের শিশু কন্যা জিভাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গুজরাটের মুন্দ্রা থেকে ১৬ বছরের কিশোর গ্রেপ্তার

মহেন্দ্র সিং ধোনির ৫ বছরের শিশু কন্যা জিভাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গুজরাটের মুন্দ্রা থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবরটি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। কুচ পশ্চিমের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সৌরভ সিং রিপোর্টারদের বলেন, ‘অল্প কয়েকদিন আগে ধোনির স্ত্রী স্বাক্ষী ধোনির ইন্সটাগ্রাম পোস্টে জঘন্য মন্তব্যের তদন্ত করার জন্য নাম্না কাপ্যা গ্রামের ১২ জন ছাত্রকে আটক করা হয়। ’ প্রশ্ন করার সময় ১৬ বছরের সেই কিশোর ইন্সটাগ্রামে হুমকিমূলক মেসেজ দেওয়ার কথা স্বীকার করে। চলতি আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচের পরে এই হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সিং আরও জানান, হুমকিমূলক পোস্ট দেওয়ার জন্য সেই কিশোর নিশ্চিত কিনা তা জানার জন্য কুচ পশ্চিমের পুলিশকে তথ্য দিয়েছিল রাঁচি পুলিশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেওয়া রাঁচি পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে প্রশ্ন করার জন্য কুচ জেলার মুন্দ্রা থেকে তাকে আমরা আটক করেছি। ’ মেসেজটি যে দিয়েছিল সে এবং এই বালক একই বলে নিশ্চিত করেন তিনি। সেই কিশোরকে কাস্টডিতে নেওয়ার জন্য রাঁচি পুলিশ আসবেন বলেও জানান এসপি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে হারের ধোনির ব্যর্থতাকে দায়ী করে ইনস্টাগ্রাম, টুইটারে এবং ফেসবুক পোস্টে তার মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগের এসব মাধ্যমে চেন্নাই অধিনায়ক ও তার স্ত্রী সাক্ষীর একাধিক পোস্টে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়। যা দেখে হতবাক হয়ে যায় অনেকেই। সূত্রঃ বাংলা নিউজ

করোনা ভাইরাস: ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে

একই সাথে তার স্ত্রী ডা. শায়লা শগুফতা ইসলামও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

শনিবার অসুস্থ বোধ করার পর তিনি রবিবার সকালে করোনাভাইরাসের টেস্ট করান।

রবিবার রাতেই ঢাকা উত্তরের এই মেয়রের কোভিড-১৯ টেস্ট পজিটিভ আসে।

সিটি করপোরেশন অফিস থেকে জানা গেছে, তার গুরুতর কোনো উপসর্গ নেই।

এখন মেয়র ও তাঁর স্ত্রী উভয়ই আইসোলেশনে আছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব করোনাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশ্বের বড় নেতাদের নামও আছে এই তালিকায়।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসেনারোর মতো নেতারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।

সূত্রঃ বিবিসি

করোনা: ইংল্যান্ডে ৩ স্তরবিশিষ্ট লকডাউন ঘোষণা হতে পারে

ইংল্যান্ডে ঘোষণা করা হতে পারে তিন স্তর বিশিষ্ট লকডাউন। এর মধ্যে সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে পারে লিভারপুল সিটি রিজিয়ন। এই তিন স্তর বিশিষ্ট লকডাউনে বিভিন্ন এলাকাকে মধ্যম, উচ্চ ও অতি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরো বলা হয়, লিভারপুল সিটি রিজিয়নের মেয়র স্টিভ রোথেরাম বলেছেন, এ নিয়ে গত রাতভর আলোচনা চলছিল। তবে তখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। এ নিয়ে ইংল্যান্ডের স্থানীয় নেতৃবর্গ ও ওয়েস্টমিনস্টারের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত ছিল। উল্লেখ্য, ৬ই অক্টোবর পর্যন্ত সমাপ্ত সপ্তাহে লিভারপুলে প্রতি এক লাখ মানুষে আক্রান্তের রেকর্ড করা হয়েছে ৬০০। আর ইংল্যান্ডে গড়ে এই হার ৭৪। লিভারপুল সিটি রিজিয়নের মধ্যে রয়েছে হল্টন, নোজলে, সেফটন, সেইন্ট হেলেনস এবং উইরাল। পাশাপাশি রয়েছে লিভারপুল। উচ্চ মাত্রার লকডাউন দেয়া হলে সেখানে জিম, ক্যাসিনো এবং পাব-এর ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নতুন আরোপিত লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এক মাস পরে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ইমার্জেন্সি কোবরা কমিটিতে সভাপতিত্ব করছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এরপরই সোমবার হাউজ অব কমন্সে এ বিষয়ে তার ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে। তারপর বৃটেনের স্থানীয় সময় বিকাল ৬টায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে ডাউনিং স্ট্রিটে। এ সময় তার সঙ্গে থাকতে পারেন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক এবং ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা প্রফেসর ক্রিস হুইটি। এরই মধ্যে গত শুক্রবার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে স্কটল্যান্ডে। এর মধ্যে সেখানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পাব, রেস্তোরাঁ। অন্যদিকে ওয়েলস সরকার বলেছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে কিনা তা নির্ধারণ করা হবে। সূত্রঃ ইনকিলাব