গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মিলন

হার্টের সমস্যা নিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে আমার শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। গতকাল রাতে হঠাৎ করে একটু শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল। প্রথমে সাধারণ বিষয় ভেবেছিলাম, কিন্তু শরীর ঠিক না হওয়ায় রাতে স্কয়ার হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে যাই। সেখানে জানতে পারি হার্টের কোন একটা সমস্যা হয়েছে। এরপর সেখানে সিট না থাকায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হই। সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন

করোনা আক্রান্ত সৌমিত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতি

শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে করোনা আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। সোমবার তার কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ আসে, এরপর মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বেলেভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন প্রবীণ এই অভিনেতা। তবে শুক্রবার বিকাল থেকেই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে শুরু করে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অভিনেতার রক্তচাপ অনিয়মিত, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে গেছে। বর্তমানে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে তাকে। তাকে রাখা হয়েছে আইটিইউ’তে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বয়স এখন ৮৫, তার কো-মর্বিডিটির বিষয়টিও চিন্তায় ফেলছে চিকিৎসকদের। প্রেশার-সুগার-সিওপিডি একাধিক শারীরিক সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে এই অভিনেতার। জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে গত দু-দিন যাবত ভালো ছিলেন অভিনেতা। বুধবার গোটা দিন তার জ্বর আসেনি, রক্তচাপও স্বাভাবিক ছিল। বৃহস্পতিবারও তেমন কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। কিন্তু শুক্রবার থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরু থেকেই শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না অভিনেতার, জ্বরও আসে। এরপর করোনা টেস্ট করা হলে ৫ তারিখ সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তড়িঘড়ি করে বেলেভিউ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার এবং পরের দিন সকালে ১০টার কিছু পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। করোনা লকডাউন পরবর্তী সময়েও মনে জোর নিয়ে শ্যুটিং চালিয়ে গিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নিজের বায়োপিক ‘অভিযান’ এর শ্যুটিং করেছিলেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস বিডি প্রতিদিন  

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

মাদারীপুরে যৌন ও চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সিজার করায় এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে ডিজিটাল এ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে। স্বজনদের দাবি, ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনরা জানায়, প্রসব বেদনা উঠলে মাদারীপুরের কালকিনির আটিপাড়া গ্রামের রুনা আক্তারকে ভর্তি করা হয় শহরের ডিজিটাল এ্যাপোলো হাসপাতালে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের যৌন ও চর্ম রোগের চিকিৎসক ফয়সাল কবির ও ফারজানা আফিয়া মেঘলা ওই প্রসূতিকে সিজার করালে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এসময় প্রসূতির রক্তের প্রয়োজন বলে স্বামী রমজান মালকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। পরে অপারেশন টেবিলেই মারা যায় রুনা। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর অবস্থা গুরুতর বলে তড়িঘড়ি করে এ্যাম্বুলেন্সযোগে পাঠিয়ে দেয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান রোগী আরও ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগেই মারা গেছে। পরে মরদেহ নিয়ে মাদারীপুরে চলে আসেন স্বজনরা। লাশ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে লাপাত্তা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগী মারা যাবার ঘটনা গোপন করে অন্যত্র পাঠানোর ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। নিহতের পরিবারের এক স্বজন বলেন, ‘ডাক্তারের ভুল অপারেশনে তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিচার চাই।’ মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান জানান, আমরা এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। এ ব্যাপারে ডিজিটাল এ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা দাবী করেন, উচ্চ রক্তচাপ থাকায় রোগীর মৃত্যু হয়। সূত্রঃ সময় টিভি

করোনা নিয়ে চীনের নতুন দাবি

ধারণা করা হয়, চীনের উহানের একটি বাজার থেকে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। কিন্তু চীন সে দাবি প্রত্যাখ্যান করে এখন নতুন দাবি নিয়ে হাজির হয়েছে। তারা বলছে, গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল। তারাই প্রথম এ সম্পর্কে সবাইকে জানিয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। চীনের উহানের একটি জৈব পরীক্ষাগার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে। চীন সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ছাড়া উহানের একটি বাজারে প্যাঙ্গোলিন বা বাদুড় থেকে ভাইরাসটি ছড়ানোর অভিযোগও অস্বীকার করেছে দেশটি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নতুন ধরনের ভাইরাস। এর তথ্য জানার পর থেকেই আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সবাই জানি, গত বছরের শেষ দিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারিটি শুরু হয়। চীন প্রথম এ সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই ভাইরাসটি শনাক্ত করে বিশ্বের সবার কাছে জিনোম সিকোয়েন্স জানানো হয়।’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কথার জবাবে হুয়া এই মন্তব্য করেন। টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের ফোরাম কোয়েডে মন্ত্রীদের এক সম্মেলনে পম্পেও বলেছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেপে যাওয়ার প্রচেষ্টার কারণে করোনাভাইরাস সংকট আরও খারাপ অবস্থা ধারণ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মারাত্মক করোনভাইরাসটির উৎসের তদন্ত করার জন্য তত্পরতা শুরু করার পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিবৃতি দেওয়া হলো। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৭৬ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষ। ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে চীনে করোনার উৎস খুঁজতে যে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হবে, তার তালিকা দেওয়া হয়েছে। গত মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত নির্ধারণে যুক্ত ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলির এক বার্ষিক সভায় করোনাভাইরাসের উৎস খোঁজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চীনও প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছিল।

সূত্রঃ প্রথম আলো

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা-প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন!

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ক্ষেত্রে তিনি করোনা মোকাবেলার বিদ্যমান অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন। ইতোপূর্বে আসন্ন শীতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়ে আসছেন, শীতকালে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। কোনো কোনো শীতপ্রধান দেশে ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে এবং সেসব দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারও বেড়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আসন্ন শীত সামনে রেখে করোনা মোকাবেলায় জোরালো প্রস্তুতি নিতে হবে আমাদের। অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দেশে শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে। আর এ সময়টিতেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা। উদ্বেগের বিষয় হল, করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা খুবই কম। শুরুর দিকে মানুষ কিছুটা সতর্ক হলেও এখন মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি ব্যাপারে চরম উদাসীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে অনেকের মধ্যে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাস্ক পরায় অনীহা দেখা দেয়ায় মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে অ্যাকশনে যাচ্ছে সরকার। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে আকস্মিক অভিযান পরিচালিত হবে ওইসব স্থানে। করোনা মোকাবেলায় মাস্ক পরা জরুরি বটে; সেই সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করাও দরকার বলে মনে করি আমরা। এ ব্যাপারে জনগণের যেমন সচেতনতা ও সতর্কতা প্রয়োজন, তেমনি সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। বাস্তবতা হল, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য এর আগে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল, তা ক্রমান্বয়ে শিথিল করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গণপরিবহনে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ থেকে সরে এসেছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গেছে। করোনার নমুনা পরীক্ষায় ফি আরোপ করার পর সাধারণ মানুষের পরীক্ষা করানোর হার কমে গেছে ব্যাপকভাবে। করোনার চিকিৎসাক্ষেত্রে এখনও রয়ে গেছে নানা সমস্যা। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যথাযথ মেনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে। শিক্ষা নিতে হবে অতীতের ভুল-ভ্রান্তি থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় করোনা মোকাবেলায় আত্মতৃপ্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে আমরা অনেক দেশ থেকে ভালো করছি। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারের দিক থেকে আমরা অনেক দেশ থেকে ভালো অবস্থায় আছি এ কথা যদিও সত্য; তবে বাস্তবতা হল, শুরুতে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে; বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলো দিয়ে মানুষের প্রবেশের পর তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা এবং দেশব্যাপী লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করা হলে দেশে করোনার ব্যাপকতা অনেক কম হতো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কাজেই মানুষের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগেই সংশ্লিষ্ট সবাইকে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সূত্রঃ যুগান্তর

খেজুর খাওয়ার ৯টি উপকারীতা- জেনে নেই

পাকা খেজুরে প্রায় ৮০% চিনিজাতীয় উপাদান রয়েছে। বাদ-বাকি অংশে খনিজসমৃদ্ধ বোরন, কোবাল্ট, ফ্লুরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান রয়েছে। খেজুরে স্বল্প পরিমাণে পানি থাকে যা শুকানো অবস্থায় তেমন প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এ প্রক্রিয়ার ফলে সঞ্চিত ভিটামিন ‘সি’ খাদ্য উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। জেনে নিন খেজুরের কিছু উপকারীতা—

শক্তি বর্ধনে: খেজুর শারীরিক ও মানসিক শক্তিবর্ধক। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান, যা শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধিসহ হজম শক্তি, যৌনশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। খেজুর ফুলের পরাগরেণু বন্ধ্যাত্ব দূর করে, শুক্রাণু বৃদ্ধি করে। খেজুর ও খেজুরের ফুল পরাগরেণু ডিএনএ’র গুণগতমান বৃদ্ধি করে এবং অণ্ডকোষের শক্তি বাড়ায়। হার্টের সমস্যায়: এক্ষেত্রে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরো রাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীর সুস্থতায় কাজ করে। দেহের দুর্বলতায়: খুব দুর্বল লাগলে ঝটপট কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিলে তাত্ক্ষণিক দেহে শক্তি পাবেন। হজম ও রুচি বাড়ায়: রুচি বাড়াতে খেজুরের কোনো তুলনাই হয় না। শিশুদের যারা ঠিকমতো খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি ফিরে আসে। খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে। ক্যান্সার থেকে রক্ষায়: খেজুর বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যে: নিয়মিত খেজুর খেয়ে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলে। তুলনামূলক শক্ত খেজুরকে পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। রক্তশূন্যতায়: খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে রক্তশূন্যতায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন খেজুর খেলে দেহের আয়রনের অভাব পূরণ করে এবং রক্তস্বল্পতা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়: খেজুরের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম বিদ্যমান থাকে, যা মানুষের স্ট্রোক হওয়ার ভয়াবহতাকে ৪০% কমিয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়: খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং খুব অল্প পরিমাণে সোডিয়াম। এতে করে প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমায় এবং ভালো কলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট সম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে খেজুর বেশ উপকারী। খেজুর মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে। নারীর শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়ে খেজুর বেশ কার্যকর। খেজুরে থাকা ডায়েটরই ফাইবার দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। খেজুর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে সহায়ক। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রাতকানা রোগ ভালো করতে সাহায্য করে থাকে। মুখের অর্ধাঙ্গ রোগ, পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী। ইত্তেফাক

মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট চরম ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য!

ঢাকার পিএইচও (পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল) নমুনার ৯২ শতাংশে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সুপারিশকৃত ২% মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্সফ্যাট এর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও এর সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। ঢাকার শীর্ষস্থানীয় পিএইচও ব্র্যান্ডসমূহের নমুনা বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল পেয়েছেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এনএইচএফএইচআরআই) এর গবেষকগণ। এই গবেষণায় সহায়তা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন ও গবেষণা উপদেষ্টা আবু আহাম্মদ শামীম। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের উচিত ডব্লিউএইচও’র সুপারিশ অনুসরণ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘Assessment of Trans Fat in PHOs in Bangladesh’ শীর্ষক গবেষণা ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) সম্মিলিতভাবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এসময়, এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী এবং করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন প্রজ্ঞার ট্রান্সফ্যাট বিষয়ক প্রকল্পের টিমলিডার মো: হাসান শাহরিয়ার। পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও) বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে অধিক পরিচিত। বাসা বাড়িতে ব্যবহার না হলেও পিএইচও বেকারি ও অন্যান্য বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা খাবারে ব্যবহৃত হয়। গবেষণার আওতায় ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটের খুচরা বিক্রেতাদের সাথে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বেকারি এবং রেস্তোরাঁয় খাবার তৈরিতে সচরাচর ব্যবহার হয় এমন চারটি শীর্ষস্থানীয় পিএইচও ব্র্যান্ডের তালিকা তৈরি করা হয়। এই তালিকার ভিত্তিতে পাইকারি বাজার (হোলসেলার) এবং পিএইচও উৎপাদনকারী কারখানা থেকে ব্র্যান্ডগুলোর মোট ২৪টি নমুনা সংগ্রহ করে পর্তুগালের ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট ফুড কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি এর সহায়তায় সেগুলো বিশ্লেষণ করা হয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি ব্যবহার করে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড বা টিএফএ মাত্রা নির্ণয় করা হয়। পিএইচও নমুনা বিশ্লেষণ করে প্রতি ১০০ গ্রাম নমুনায় গড়ে ১১ গ্রাম ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। এছাড়া, একই ব্র্যান্ডের পিএইচও নমুনার মধ্যে ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতির ব্যাপক তারতম্য লক্ষ করা গেছে। যেমন, একটি পিএইচও ব্র্যান্ডের ৭টি নমুনায় ০.৬৯ গ্রাম থেকে শুরু করে ১৪.৫ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে পিএইচও বা ডালডা সাধারণত ভাজা পোড়া স্ন্যাক্স ও বেকারিপণ্য তৈরি এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের খাবারে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট উপাদানের উপস্থিতি সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য-উপাত্ত না থাকার কারণেই এই গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। গবেষকদলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, “এই গবেষণা প্রমাণ করে বাংলাদেশে অনেক পণ্যেই বিপজ্জনক মাত্রায় ট্রান্সফ্যাট রয়েছে, যা অধিক হারে হৃদরোগ ও হৃদরোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করছে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের উচিত হবে সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাবারে ট্রান্স ফ্যাটি এসিডের সর্বোচ্চ পরিমাণ মোট ফ্যাট বা তেলের ২ শতাংশ (2g/100g) পর্যন্ত সীমিত করে নীতিমালা প্রণয়ন করা।” অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, “বাংলাদেশে বিরাজমান হৃদরোগজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে অতিদ্রুত পিএইচও’র ট্রান্সফ্যাট এর মাত্রা ২% এ নামিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি এবং এই পদক্ষেপের মাধ্যমেই বাজারজাত প্রসেসড খাবারে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।” ভেজিটেবল অয়েল বা উদ্ভিজ্জ তেল (পাম, সয়াবিন ইত্যাদি) যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেশন করা হলে তেল তরল অবস্থা থেকে মাখনের মতো অর্ধ-কঠিন মারজারিন (semi- solid margarine) বা কঠিন ডালডা বা বনস্পতি উৎপন্ন হয়, এই প্রক্রিয়ায় ট্রান্সফ্যাটও উৎপন্ন হয়। এই শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট গ্রহণ উচ্চহারে হৃদরোগ, হৃদরোগজনিত মৃত্যু, স্মৃতিভ্রংশ (dementia) এবং স্বল্প স্মৃতিহানি (cognitive impairment) জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ডব্লিউএইচও’র হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ সার্বিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ট্রান্সফ্যাটের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে ডব্লিউএইচও ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ থেকে শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট নির্মূলকে অগ্রাধিকারকৃত লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নির্ধারণ করেছে। গবেষণা কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানকারী গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, “বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুসরণ করে ভারত, থাইল্যান্ড, ব্রাজিলসহ অনেক দেশ খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে নীতি করেছে। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই গবেষণার ফলাফল ট্রান্সফ্যাট বিষয়ক নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।” সংবাদ সম্মেলনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ এবং তা কার্যকর করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি সহায়ক পদক্ষেপ হিসেবে মোড়কজাত খাবারের পুষ্টিতথ্য তালিকায় ট্রান্সফ্যাটের সীমা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা, উপকরণ তালিকায় পিএইচও এর মাত্রা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা, ফ্রন্ট অব প্যাকেজ লেবেলস বাধ্যতামূলক করা যা খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতি নির্দেশ করবে, এবং “ট্রান্সফ্যাট-মুক্ত” বা “স্বল্পমাত্রার ট্রান্সফ্যাট” এজাতীয় স্বাস্থ্যবার্তা ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। এধরনের পদক্ষেপে খাদ্যপণ্যের উপাদান সম্পর্কে ভোক্তাদের সচেতনতাও বৃদ্ধি পায় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ইত্তেফাক

৫৮ টাকায় করা যাবে ৪ হাজার টাকায় এমআরআই!

অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলরা অনেকক্ষেত্রেই চিকিৎসা করানো থেকে পিছিয়ে আসেন। কারণ কোনও রোগ হলে চিকিৎসকের কাছে গেলে এত ধরণের রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার পরামর্শ তারা দেন যে কোনওভাবই তা করানোর আর্থিক সম্বল জোগাড় করে উঠতে পারেন না। রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষার কোন বিকল্পও নেই। যেকোনও প্রাইভেট ল্যাবরেটরিতে এমআরআই করাতে সবচেয়ে কম হলেও সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা লাগে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিল্লিতে এবার মাত্র ৫৮ টাকায় করানো যাবে এমআরআই। এশিয়ায় এটিই সবচয়ে কম টাকায় রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাটি করেছে দিল্লির গুরুদুয়ারা বাংলা সাহিব। সেখানকার প্রেসিডেন্ট মনজিন্দর সিং সিরসা জানিয়েছেন মাত্র ৫৮ টাকায় করানো যাবে এমআরআই। গুরু হরকৃষাণ হাসপাতাল চত্বরে একটি ডায়ালিসিস সেন্টারও তৈরি হয়েছে। ডায়ালিসিস করতে যেখানে এক একবারে কয়েক হাজার টাকা লাগে সেখানে তাদের মাত্র ৬০০ টাকা দিয়েই দুঃস্থ মানুষরা ডায়ালিসিস করাতে পারবেন। ৬ কোটি টাকার মেশিন ইতিমধ্যেই হাসপাতালে দান করা হয়েছে। যাতে ৪টি ডায়ালাইসিস মেশিন, আলট্রা সাউন্ড মেশিন, এক্সরে মেশিন, এমআরআই মেশিনও রয়েছে। ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স ইমেজিং সার্ভিসেস মাত্র ৫০ টাকায় পাওয়া যাবে। আর এমআরআই স্ক্যান করতে লাগবে ৯২৫ টাকা। চিকিৎসকদের একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছে যারা সিদ্ধান্ত নেবেন যে কনসেশন কারা পাবেন, জানিয়েছেন সিরসা। সূত্রঃ সময় টিভি

করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণে বেসামাল পর্তুগাল!

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপের ঊর্ধ্বগতিতে আবার বেসামাল পর্তুগাল। ব্যবসায়ীদের দুরাবস্থা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় সাধারণ কর্মজীবী প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সেই সঙ্গে প্রভাব পরেছে রেমিটেন্স প্রবাহেও। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে পর্তুগালের করোনা পরিস্থিতির ধারাবাহিক অবনতি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার মানুষ নতুন করে কোভিড নাইন্টিনে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। আগস্টে চ্যাম্পিয়নস লীগের পর সেপ্টেম্বর অক্টোবরকে কেন্দ্র করে আশায় থাকা ব্যবসায়ীরা আবার হতাশায় নিমজ্জিত। সেই সঙ্গে বিভিন্ন খাতের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ছাটাই অব্যাহত রাখায় বিপাকে পেড়েছেন কর্মজীবী পর্তুগাল প্রবাসীরা। গত কয়েক মাসে রেমিটেন্স প্রবাহেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। কাজ না থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশমুখী হচ্ছেন অনেক প্রবাসী। পর্তুগালের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী জুলাইয়ে বেকারত্বের হার বেড়েছে ৭.৯ শতাংশ। সূত্রঃ সময় টিভি

২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ, মৃত্যু ৫৯০৯

মহামারি করোনায় বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৯০৯ জন মারা গেছেন। এতে মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৭ জনের। ফলে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৬৩ লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ। এতে মোট সুস্থ হলেন ২ কোটি ৭৪ লাখের বেশি মানুষ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৬ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ লাখ ৬০ হাজার ৪১৮ জন। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই কোটি ৭৪ লাখ ৭ হাজার ২২০ জন। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণে এগিয়ে রয়েছে ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, কলম্বিয়া, পেরু, মেক্সিকো, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছে নেই কোনো দেশ। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ লাখ ৭৬ হাজার ২২৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৭৮৪ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৫৪ জনের। তৃতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫০ লাখ ২ হাজার ৩৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৩০৪ জনের। চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৬১৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২১ হাজার ৮৬৫ জন। পঞ্চম স্থানে থাকা কলোম্বিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৩ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১৮০ জনের। সূত্রঃ মানবকন্ঠ