করোনার তাণ্ডবে নিউইয়র্ক সিটির ৩শ স্কুল ফের বন্ধ!

টানা সাড়ে ৬ মাস বন্ধ থাকার পর সশরীরে ক্লাসের অভিপ্রায়ে স্কুল খোলার একদিন পরই মঙ্গলবার আবারো নিউইয়র্ক সিটির ৩ শতাধিক স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হল। ব্রুকলীন এবং কুইন্সের অর্থডক্স জুইশ অধ্যুষিত এলাকার এসব স্কুলের পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট, অত্যাবশ্যকীয় নয়-এমন ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধের আহবান জানিয়েছিলেন সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো। কিন্তু স্টেট গভর্ণর এ্যান্ড্রু ক্যুমো শুধুমাত্র ২০০ প্রাইভেট এবং একশত পাবলিক স্কুলে আজ মঙ্গলবার থেকে ছুটি ঘোষণা করলেন। এই ৯টি জিপকোড এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার স্টেটের গড় ৩ শতাংশ চেয়ে বেশী। এই সিটিতে ১১ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর জন্যে ১৫ শতাধিক পাবলিক স্কুল রয়েছে। অপর স্কুলগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস চালানো হচ্ছে। সিটি মেয়র অফিস থেকে জানা গেছে, এলাকাগুলো হচ্ছে ফার রকোওয়ে/এজমিয়ার নিয়ে গঠিত ১১৬৯১ জিপ কোড, বরো পার্ক -১১২১৯ জিপ কোড, গ্র্যাভসেন্ট/হোমক্রেস্ট-১১২২৩ জিপ কোড, মিডউড-১১২৩০ জিপ কোড, বেনসনহার্স্ট/ম্যাপেলটন-১১২০৪ জিপকোড, ফ্ল্যাটল্যান্ড্স/মিডউড-১১২১০ জিপ কোড, গেরিটসেন বীচ/হোমক্রেস্ট/শীপশেডবে-১১২২৯ জিপ কোড, কিউ গার্ডেন-১১৪১৫ জিপ কোড এবং কিউ গার্ডেন্স হিলস/পমোনক-১১৩৬৭ জিপ কোড। জানা গেছে, নিউইয়র্ক সিটিতে গড় সংক্রমণের হার হচ্ছে ১.৫%। অপরদিকে এই ৯টি জিপ কোডে গড় হার হয়েছে ৩ শতাংশ এর ওপর। মধ্যমার্চ থেকে জুন পর্যন্ত এই সিটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ হাজার মানুষ মারা গেছে। সেই ভয়ংকর একটি পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথে জুইশ সম্প্রদায়ের মানুষদের বেপরোয়া আচরণে পুনরায় সকলের মধ্যে গভীর শংকা দেখা দিয়েছে। এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা পুনরায় অনলাইনে ক্লাস করবে নিজ নিজ বাসায় থেকে। দু’সপ্তাহে যদি সংক্রমণের হার ৩ শতাংশ এর নীচে নামে তাহলে আবারো স্কুলগুলো খোলার অনুমতি দেয়া হবে বলে গভর্ণরের অফিস জানায়। অপরদিকে, সিটিতে মাস্ক না পরলে জরিমানা ৫০ ডলার করে আদায়ের কঠোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ব্যবসা, রেস্টুরেন্টে প্রবেশাধিকার নেই মাস্ক না পরলে। একইভাবে বাস-সাবওয়েতেও মাস্ক ছাড়া কাউকে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। টহল পুলিশ দেখলেই ৫০ ডলারের জরিমানার টিকিট ধরিয়ে দিচ্ছে মাস্ক ছাড়া লোকজনকে। রেস্টুরেন্টের ভেতরে মাস্ক ছাড়া কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার ঘটনা ঘটলেই কমপক্ষে হাজার ডলারের জরিমানাসহ ব্যবসার লাইসেন্স খোয়া যাওয়ার আশংকা রয়েছে। সিটি অফিসের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিনই লক্ষাধিক লোকের করোনা টেস্টের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সকলকে টেস্ট করার অনুরোধ রয়েছে। এজন্যে কোন ফি লাগছে না। এছাড়াও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে করোনার প্রকোপ পুনরায় বেড়ে যাওয়া এলাকায়। সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

হাতছাড়া হলো বিনামূল্যের ভ্যাকসিন!

বাংলাদেশের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় অন্য দেশে মানবদেহে ভ্যাকসিন ট্রায়াল শুরু করেছে চীনের কোম্পানি সিনোভ্যাক। অন্য দেশে বরাদ্দ করায় বাংলাদেশে ট্রায়ালের ক্ষেত্রে ‘অর্থনৈতিক ক্রাইসিস’ এর কথা জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ‘কো-ফান্ডিং’ করার জন্য অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় বাংলাদেশের হাতছাড়া হলো বিনামূল্যের এই ভ্যাকসিন। আগে ট্রায়ালের অনুমোদন দিলে এবং সফল হলে এই ভ্যাকসিনের ডোজের একটি বড় অংশ বিনামূল্যে পেত বাংলাদেশ। এখন মানবদেহে ট্রায়াল করতে গেলেই গুনতে হবে অর্থ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানি তাদের আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে। সেখানে কোম্পানিটি তাদের ‘অর্থনৈতিক ক্রাইসিস’-এর কথা জানিয়ে করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বাংলাদেশ সরকারকে ‘কো-ফান্ডিং’ করার জন্য অনুরোধ করেছে। কারণ হিসেবে তারা চিঠিতে বলেছে, বাংলাদেশ থেকে অনুমোদন পেতে দেরি হয়েছে তাদের। গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনার কথা থাকলেও পরে হয়নি। গত ১৯ জুলাই চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির ভ্যাকসিন করোনাভ্যাককে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। এরপর সিনোভ্যাককে ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে গত ২১ সেপ্টেম্বর জানান স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান। কভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও একাধিকবার দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের কথা বলেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে দেওয়া চিঠিতে সিনোভ্যাক বলেছে, ‘আমাদের কাছে যে ফান্ড ছিল তা অন্যান্য দেশে ট্রায়ালের জন্য বিতরণ করা হয়েছে এই মুহূর্তে। তাই বাংলাদেশে ট্রায়াল করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আমাদের হাতে নেই। আমরা এই তহবিল অক্টোবরের শেষে কিংবা নভেম্বরের প্রথম ভাগে কিছুটা সংগ্রহের পরিকল্পনা করছি। যদিও বাংলাদেশে ট্রায়াল পরিচালনার জন্য আমাদের তহবিল গঠনের যৌথ অংশীদার প্রয়োজন।’ ট্রায়াল শুরুর বিষয়ে সিনোভ্যাক জানিয়েছে, ‘আমাদের প্ল্যান ছিল আগস্টের শুরুতে ট্রায়াল শুরু করার, কিন্তু অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় আমাদের ফান্ড অন্য দেশে ট্রায়ালের জন্য দিয়ে দিই। একই সঙ্গে আমরা চূড়ান্ত অনুমোদন পাব কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। বাংলাদেশে ট্রায়াল করার সদিচ্ছা ও এক্সটারনাল এজেন্সির পরামর্শে আমরা দ্য কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস-সেপির কাছ থেকে তহবিলের জন্য আবেদন করেছি। আমাদের এক্সটারনাল এজেন্সি তহবিলের বিষয়ে আশা দেখালেও দুই সপ্তাহ আগে সেপি আমাদের জানায় যে তারা সহায়তা করতে পারবে না।’ সিনোভ্যাক অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দেরি করেছে কেন, জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কথা তারা বলতে পারে। আমাদের ফর্মালিটিজ রয়েছে, বুঝেশুনে দিতে হবে। আর যখনই এটা হয়েছে, তাদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ কভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি তো জটিল নয়। ট্রায়ালে যদি অবস্থা ভালো হয়, তাহলে আমরা ওই টিকা নেব। ভালো না হলে নেব না। তাই সিনোভ্যাকের ট্রায়াল দিতে আমরাও সুপারিশ করেছিলাম পরামর্শক কমিটি থেকে।’ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘এগুলো অপ্রয়োজনীয় কালক্ষেপণ। যখন গবেষণার বিষয়ে আইসিডিডিআর,বির মতো আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকে, সেক্ষেত্রে প্রশাসনিকভাবে দেখার তেমন কিছু ছিল না। দেশে গবেষণার ক্ষেত্রে যেখানে মানুষ জড়িত থাকে সেখানে বিএমআরসি সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। বিএমআরসি যেখানে অনুমোদন দিয়েছে সেখানে মন্ত্রণালয় বা অধিদফতরের কিছু বলার নেই, দরকার ছিল না। ট্রায়াল হলেও এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশ নেবে কিনা তার পুরোটাই আমাদের এখতিয়ার ছিল, তারা কিছু বলতে পারত না। এই সুযোগ হারানো খুবই দুঃখজনক’।

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

ডাস্ট এলার্জি থেকে মুক্তির সহজ উপায়- জেনে নেই

ডাস্টের কারণে অনেকের এলার্জি হয়ে থাকে। আর এই এলার্জির কারণে হাঁচি, কাশি ছাড়াও চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি ঝরার সমস্যা, শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে র‌্যাশও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পেতে অনেকেই অ্যান্টি এলার্জি ওষুধ সেবন করে থাকেন। কিন্তু এই অ্যান্টি এলার্জি ওষুধ খাওয়া বিপদজনক হতে পারে। আর তাই ওষুধের বিকল্প হিসেবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগাতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই ঘরোয়া উপায়গুলো কি কি: সবুজ শাক-সবজি খাওয়া: বেশি করে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া। সবুজ শাক-সবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে অ্যালার্জির প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে। সবুজ শাক-সবজি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের (মিনারেল) যোগান দেয়। গ্রিন টি খাওয়া: ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে। গ্রিন টি-এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদান অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। চোখে লাল ভাব, র‌্যাশ বেরনো ইত্যাদি রুখতে এটি অত্যন্ত কার্যকর। ঘি খাওয়া: ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় ঘি খেয়ে দেখা যেতে পারে। ফল পাওয়া যাবে ম্যাজিকের মতো। ঘি প্রাকৃতিকভাবে যে কোনো ধরনের অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। এক চামচ ঘি তুলোয় লাগিয়ে সরাসরি র‌্যাশে আক্রান্ত ত্বকে লাগান। ত্বকের জ্বালা ভাব, অস্বস্তি অনেকটাই কমে যাবে। প্রতিদিন ১ চামচ করে ঘি খেতে পারলে ঠাণ্ডা লাগা বা অ্যালার্জির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। ইউক্যালিপটাস তেল: মাথা যন্ত্রণা, বন্ধ নাক, চোখ-নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদির সমস্যায় একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল ফেলে তার ভাপ (ভেপার) নিন। এতে বন্ধ নাক খুলে যাবে, নাকের ভিতরে অ্যালার্জির কারণে হওয়া অস্বস্তিও কমে যাবে।

সূত্রঃ সময় নিউজ

বাতাসে ছড়ায় করোনা, ৬ ফুট দূরত্বেও বাঁচা সম্ভব না!

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির আশেপাশে থাকা লোকজন বাতাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারেন। মার্কিন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কয়েক ঘণ্টা ধরে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে এই ভাইরাস। এমনকি ৬ ফুট দূরত্বে থাকলেও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচা সম্ভব না। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার সিডিসি তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য হালনাগাদ করেছে। বাতাসের মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে সিডিসি। সিডিসির সর্বশেষ নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কম বায়ু চলাচল করতে পারে এমন ঘরে কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির উপস্থিতি ৬ ফুট দূরের অন্য ব্যক্তিদেরকেও সংক্রামিত করতে পারে। তাই এক্ষেত্রে ৬ ফুট দূরত্বে থেকেও করোনা থেকে বাঁচা সম্ভব নয়। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য নির্দেশিকায় ৬ ফুট সামাজিক দূরত্বের কথা মেনে চলতে বলা হলেও সিডিসি বলছে এই দূরত্বেও সমস্যা থেকে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক দেশেই লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। যদিও লোকজনকে মাস্ক পরিধান এবং ৬ ফুট সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ এই সতর্কতা মানুষের মধ্যে নতুন করে আরও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠ পরিসরে বায়ুর মাধ্যমেই মূলত করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাদের দাবি, ভাইরাসের অতি সূক্ষ কণা কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় মৃত্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই কোনো দেশ। সম্প্রতি দেশটির ৩৪টি অঙ্গরাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে সিডিসি। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে স্কুল চালু হয়ে গেছে। ফ্লোরিডায় রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে কড়াকড়ি তুলে নেয়া হচ্ছে। মানবকণ্ঠ/এসকে

করোনায় মারা গেলেন সেন্ট জোসেফ স্কুলের অধ্যক্ষ রবি পিউরিফিকেশন

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাজধানীর সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি থিওডোর পিউরিফিকেশন সিএসসি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত্যুতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। মঙ্গলবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ ব্রাদার চন্দন বেনেডিক্ট গোমেন সিএসসি এই মৃত্যুর খবর সবাইকে জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক এবং প্রিয় শিক্ষার্থীরা, গভীর শোক ও বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ব্রাদার রবি থিওডোর পিউরিফিকেশন, সিএসসি সন্ধ্যা: ৬টা ১৫ মিনিটে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি কোভিড -১৯ এ ভুগছিলেন। পরে তার অগ্ন্যাশয়ের কিছুটা জটিলতা দেখা দেয়। বুধবার তার মরদেহ সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাখা হবে। বুধবার ব্রাদার রবির স্মরণে পৃথক পথক স্থানে ফিউনারাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত তার মরদেহ সেন্ট জোসেফ ক্যাম্পাসে রাখা হবে। তাকে পুরনো ঢাকার নারিন্দার ওয়ারিতে খ্রিস্টান কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার জন্য আপনাদের ভালোবাসা, অকুণ্ঠ সমর্থন প্রার্থনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। তার আত্মার সম্মানে বুধবারের অনলাইন ক্লাস বন্ধ থাকবে। আমরা আমাদের প্রিয় অধ্যক্ষের সম্মানে সোমবার শোক দিবস পালন করব। আসুন আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার জন্য প্রার্থনা করি।’

সূত্রঃ মানবকন্ঠ

 

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের দুই-তৃতীয়াংশ পরিবার

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর গত মার্চ থেকে দেশে অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করে। দীর্ঘমেয়াদে ছুটি ও লকডাউনের প্রভাবে মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের খানাভিত্তিক (পরিবারপ্রতি) মাসিক আয় গড়ে ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ পরিবারের ওপর। তারা বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করেছেন। তবে সেপ্টেম্বর মাস থেকে করোনার প্রভাব অনেকটাই কমে এসেছে। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘কোভিড-১৯ বাংলাদেশ :জীবিকার ওপর অভিঘাত ধারণা জরিপ-২০২০’-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়েছে। সভা শেষে এনইসিতে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোভিডের অভিঘাত সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও পড়েছে। এই প্রভাব কতটা পড়েছে তা বের করতেই প্রথমবারের মতো এই ধারণা জরিপ পরিচালনা করেছে বিবিএস। জরিপের তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোভিডের প্রভাবে শতকরা ৬৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ পরিবার কোনো না কোনোভাবে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে রিকশা-ভ্যানচালক ও দিনমজুররা অধিকমাত্রায় সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন। বিবিএস জানায়, দৈবচয়নের ভিত্তিতে মোট ২ হাজার ৪০টি মোবাইল ফোন নম্বর নির্বাচন করে সাক্ষাত্কার নেওয়া হয়েছে। ফলাফলে বলা হয়েছে, মার্চের আগে দেশে কর্মহীনদের হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। করোনার কারণে এপ্রিল-জুলাই এই চার মাসে এ হার বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছিল। অর্থাত্ চার মাসে বেকারের সংখ্যা ১০ গুণ বেড়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা কমে ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনমজুরের সংখ্যা ফের আগের সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছেছে। মার্চে ছিল ৮ শতাংশ, জুলাইয়ে ছিল ৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে কৃষি পরিবারের সংখ্যা ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত ছিল। প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবার ব্যবসায় ফিরে এসেছেন। গত মার্চ মাসে ১৭ শতাংশ ব্যবসায়ী ছিলেন যা জুলাইয়ে ১০ শতাংশে নেমে যায়। এটি আবার ১৭ শতাংশে উঠেছে সেপ্টেম্বর মাসে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবারভিত্তিক (খানা) মাসিক আয় কমেছে ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। মার্চে যে খানা (পরিবার) ১৯ হাজার ৪২৫ টাকা মাসিক আয় করত সেই পরিবার গত আগস্ট মাসে আয় করেছে ১৫ হাজার ৪৯২ টাকা। এ সময়ে খানাভিত্তিক মাসিক ব্যয় ১৫ হাজার ৪০৩ টাকা থেকে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ১৪ হাজার ১১৯ টাকা হয়েছে। অর্থাত্ গড়ে সোয়া ৬ শতাংশ হারে ভোগ ব্যয় কমেছে। বিবিএস কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষের যে হারে আয় কমেছে সে হারে ব্যয় কমেনি। এক প্রশ্নের জবাবে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, এ সময়ে মানুষ তাদের সঞ্চয় খরচ করেছে। বহু মানুষ দরিদ্রদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। তাছাড়া সরকার খাদ্যসহায়তা, নগদসহায়তাসহ নানা ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ফলে কিছু মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে চলে গেলেও তারা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোগ ব্যয়ে তেমন প্রভাব পড়েনি। যারা কাজ হারিয়েছেন তারা আবার সেপ্টেম্বরের দিকে কাজ ফিরে পেয়েছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা শুরু করেছেন। এজন্য করোনার যে প্রভাব অর্থনীতিতে পড়েছিল সেটি পুনরুদ্ধার হচ্ছে। ইত্তেফাক

দালাল ধরতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সক্রিয় দালাল চক্রকে ধরতে অভিযান চালিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তিন নারীসহ সাত দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ডিবি পুলিশ এ অভিযান চালায়। দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী সুজা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই সাতজনকে কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে এক মাস করে এবং অপর দুজনকে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে পুলিশের মাধ্যমে তাঁদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এক মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলার মিরাজ হাওলাদারের স্ত্রী আসমা বেগম (৩২), সদর উপজেলার হিজলতলা এলাকার মোসলেম হাওলাদারের মেয়ে তানজিলা আক্তার (২০), বরগুনার ইসলামপুর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫), বরিশাল নগরীর আমতলা এলাকার নূরুল হকের ছেলে সালাউদ্দীন নাদিম (৪০) ও তাজকাঠি এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০)। আর সাত দিনের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ঝালকাঠী জেলার বিশাইন খান গ্রামের মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সনিয়া আক্তার (২৪) ও একই জেলার সিদ্ধকাঠী গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে জহিরুল হক খান (৩৬)। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী সুজা বলেন, গ্রাম থেকে আসা নিরীহ মানুষদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে নিয়ে যান এই ব্যক্তিরা। বিনিময়ে ওই সব ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন পেয়ে থাকেন তাঁরা। তাঁদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিপূর্বে আরও বেশ কয়েকজন দালালকে একইভাবে অভিযান চালিয়ে আটকের পর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। সূত্রঃ বাংলাদেশপ্রতিদি।

দেশে ফের বেড়েছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ দিন সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৫১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৩৩ জন। এর আগে সোমবার (৫ অক্টোবর) দেশে আরও ১ হাজার ৪৪২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরও ২৭ জন। এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪২ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ২৬২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৭৮ জন। বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ১৫ হাজার ৩২ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এ নিয়ে ৭৬ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৪ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় এবং মৃতের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ লাখ ৮২ হাজার ৭৩ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৬০০ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় এবং মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ৪৯৯ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৩ জন। করোনায় মৃতের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৯ হাজার ৮৮ জন। আর এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৫ জন। আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১২ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৯ জন। আর মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ৪৭৫ জন। সুস্থতার দিক থেকে প্রথম অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত (৫৬ লাখ ৫৯ হাজার ১১০ জন), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮ জন), এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল (৪২ লাখ ৯৫ হাজার ৩০২ জন)। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। সূত্রঃ সময় টিভি

মন্ত্রী আক্রান্ত, কোয়ারেন্টিনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী!

কোভিড-১৯ পজিটিভ এক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। সোমবার এক বিবৃতিতে ইয়াসিন ধর্ম-বিষয়কমন্ত্রী জুলকিফলি মোহাম্মদ আল বাকরির আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, পরীক্ষায় বাকরির করোনাভাইরাস পজিটিভ ফল এসেছে। এরপরই গত শনিবার মালয়েশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বৈঠকে বাকরির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে যারা ছিলেন, তাদের জন্য বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ জারি করা হয়। সেই নির্দেশ মেনে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শেই প্রধানমন্ত্রী তার বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এতে সরকারি কাজে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইয়াসিন। তিনি বলেন, ‘আমি বাড়ি থেকেই কাজ চালিয়ে যাব এবং প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করব।’ মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার দেশটিতে নতুন ৪৩২ জন নতুন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে। মহামারির শুরু থেকে একদিনে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যায় এটি নতুন রেকর্ড। উচ্চ-সংক্রমণের এই ধারা চলতে থাকলে করোনাভাইরাসের সব কড়াকড়ি আবার আরোপ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। সূত্রঃ যায়যায়দিন

হেপাটাইটিস-সির গবেষণার ফল এবারও চিকিৎসায় নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাস শনাক্ত করার স্বীকৃতি হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই মার্কিন ও এক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। তাদের গবেষণাকর্ম রক্তে জন্ম নেওয়া হেপাটাইটিসের অন্যতম উৎস ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করবে। নোবেল কমিটি বলছে, এই তিন বিজ্ঞানীর যৌথ গবেষণার ফলে রক্তের নানা পরীক্ষা এবং নতুন ওষুধ আবিষ্কার সম্ভব হবে, যা লাখো মানুষের প্রাণ বাঁচাবে। পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনজন হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভি জে অলটার ও চার্লস এম রাইস এবং ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত মাইকেল হটন। সোমবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলবিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল বিজয়ীরা স্বীকৃতির পাশাপাশি অর্থ পুরস্কার হিসেবে এক কোটি সুইডিশ ক্রোনা (৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা) পাবেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়। নোবেল ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত বিজয়ীদের মধ্যে হার্ভি জে অলটার এবং চার্লস এম রাইসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন নোবেল কমিটির সচিব থমাস পার্লম্যান। তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলেছি। কারণ কয়েকবার ফোন করার পর যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। তবে শোনার পর তারা খুব অবাক ও খুশি হয়েছেন।’ আজ ৬ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞানে, ৭ অক্টোবর রসায়নে, ৮ অক্টোবর সাহিত্যে, ৯ অক্টোবর শান্তিতে এবং ১২ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, এবার নোবেল পুরস্কার জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলো। তবে এখানেও করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে। অন্যান্য বছর যেমন ডিসেম্বরে জাঁকালো আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়, এবার তেমনটা হচ্ছে না। আগামী বছরের মধ্যেই করোনা মহামারি শেষ হবে বলে আশা করছে নোবেল কমিটি। আর তাই ২০২১ সালের নোবেল বিজয়ীদের সঙ্গে চলতি বছরের বিজয়ীদের পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ?যাপনের আমন্ত্রণ জানানো হবে। ১৯০১ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানে ১১০টি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তাদের ১২ জন নারী। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পুরস্কারজয়ীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সি ফ্রেডেরিক জি ব্যানটিং। ১৯২৩ সালে পুরস্কার জয়ের সময় তার বয়স ছিল ৩২ বছর। আর ১৯৬৬ সালে ৮৭ বছরে পুরস্কারটি পান পেটন রউস। তিনি সবচেয়ে বেশি বয়সে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পান। সূত্রঃ যায়যায়দিন