ট্রাম্প-মেলানিয়া করোনা আক্রান্ত!
মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা হোপ হিকসের করোনাভাইরাস পজেটিভ এসেছে। এতে কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী মেলানিয়া।
জানা গেছে, মিনেসোটা থেকে একটি সভা করে ফেরার সময় অসুস্থ বোধ করেন হিকস। তাকে প্লেনেই আইসোলেট করা হয়। পরে তার শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ট্রাম্পের শিডিউল এখন ভর্তি। তাই তিনি আদৌ কোয়ারেন্টাইনে যাবেন কী না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলো। পরে অবশ্য ট্রাম্প টুইট করেন যে, তিনি ও ফার্স্ট লেডি এখন টেস্ট রেজাল্টের অপেক্ষা করছেন। তবে ততক্ষণে তারা কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া শুরু করছেন বলে লিখেছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে আগেই ঢুকেছে করোনা, কিন্তু তারা কেউ হিকসের মতো দৈনিক ট্রাম্পের সংস্পর্শে আসতেন না। সেই কারণেই ঝুঁকি নিচ্ছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭০ লক্ষ মার্কিনবাসী, মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ মানুষের।
ইউএইচ/
বাংলাদেশি টিকা করোনা প্রতিরোধে সক্ষম: বায়ো আর্কাইভ
বাংলাদেশের ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের তৈরি টিকা ‘বানকভিড’ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম বলে তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নাল বায়ো আর্কাইভ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গ্লোব বায়োটেকের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ড. আসিফ মাহমুদ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বায়ো আর্কাইভে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গ্লোব বায়েটেকের তৈরি টিকা ‘বানকভিড’ (ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েনটস এমআরএনএ-ভিত্তিক) করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
ড. আসিফ মাহমুদ জানান, আগামী রোববার গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকার প্রি- ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে বায়ো আর্কাইভের নিবন্ধ নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।
দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের টিকা আবিস্কারের ঘোষণা দেয় গ্লোব বায়োটেক। এই ভ্যাকসিনের অ্যানিম্যাল ট্রায়াল সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এখন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) কাছে টিকাটির হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ড. আসিফ মাহমুদ।
সূত্রঃ সমকাল
সন্দেহপ্রবণ মানুষের আয়ু কম হয়: গবেষণা
সন্দেহপ্রবণ মানুষের আয়ু কম। সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষক ২৪ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা করে এ তথ্য দিয়েছেন। খবর ডেইলি মেইল।
ওইসব মানুষের মধ্যে ৩৭ ভাগ অন্যকে বিশ্বাস করে। ৫৮ ভাগ অন্যকে বিশ্বাস করে না। আর ৫ ভাগ কোনো উত্তর দিতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মৃত ব্যক্তিদের তালিকা থেকে দেখা যায়, জীবদ্দশায় যারা পজিটিভ চিন্তাভাবনা করতেন, তারাই বেশি দিন বেঁচে থেকেছেন।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, সন্দেহপ্রবণ মানুষের তুলনায় যারা অন্যকে বিশ্বাস করেন, তারা বেশি দিন বাঁচেন। যারা অন্যকে ক্ষমা করেন, তারাও বাঁচেন বেশি দিন।
এতে আরও দেখা গেছে, বৃদ্ধ বয়সে মানুষ বেশি আশাবাদী হয়। যারা অন্যকে বিশ্বাস করেন তাদের হার্ট ভালো থাকে। তাদের হৃদযন্ত্রজনিত রোগও প্রায় ১৩ ভাগ কম।
স্টকহোম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেন, অন্যের প্রতি বিশ্বাস জীবনের উন্নতিকে অনেক সহজ করতে পারে।
তাই সুন্দর জীবনযাপন ও দীর্ঘায়ুর জন্য সন্দেহপ্রবণ মনোভাব দূর করতে হবে এবং মানুষকে বিশ্বাস করতে হবে।
তবে গবেষক আলেকজেন্ডার মেথিন দ্বিমত পোষণ করে বলেন, খুব সহজেই অন্যকে বিশ্বাস করা ঠিক নয়। কেননা মানুষ বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করতে পারে।
সূত্রঃ যুগান্তর
মায়ের প্রথম দুধ পানে শিশুর যত উপকার-জেনে নেই
নবজাতকের জন্মের পর তাকে মায়ের শালদুধ পান করানো খুব জরুরি। নবজাতককে নিরাপদ ও রোগমুক্ত রাখতে এই দুধ অবশ্যই পান করাতে হবে।
সন্তান জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোনো খাবার দেয়ার প্রয়োজন নেই। এ সময় মায়ের দুধ শিশুর জন্য যথেষ্ঠ। তবে ছয় মাস পর থেকে শিশুকে বাড়তি খাবার দিতে হবে।
শালদুধ কি?
প্রসবের ঠিক পরেই মেয়েদের স্তন বৃন্ত থেকে এক প্রকার হলদেটে ঘন দুধ নিঃসৃত হয়, যা শালদুধ বা কোলোস্ট্রাম নামে পরিচিত। প্রসবের পর মোট দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত এই দুধ নিঃসৃত হয়।
এটি মায়েদের স্বাভাবিক বুকের দুধের চেয়ে অনেকটাই ঘন হয়। এই দুধ পান করা সদ্যজাতের জন্য খুবই উপকারী।
শালদুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. শালদুধে ফ্যাট ও শর্করার চেয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়া গ্লাইকোপ্রোটিন, ইমিউনোগ্লোবিউলিন, ল্যাক্টোফেরিন, ল্যাক্টো অ্যালবুমিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কেসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক এবং সন্তান বিকাশে সহায়ক উপাদান থাকে।
২. মায়ের দুধে থাকা ল্যাক্টো অ্যালবুমিন টিউমার ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া কোলোস্ট্রামে থাকা সাইটোকাইনস টিউমার গঠনে বাধা সৃষ্টি করে।
৩. শালদুধে রয়েছে প্রোটিন সাইটোকাইনস, যা শিশুর শরীরে দেহের কোষ ও বুদ্ধির বিকাশে সহায়ক।
৪. এই দুধ পানে শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া মায়ের বুকের দুধ বিভিন্ন সংক্রমণ, অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে।
৫. শিশুর শরীর, ত্বক, পেশি, হাড়, কার্টিলেজ, স্নায়ু পেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই দুধ। দেহের সার্বিক গঠনেও সহায়তা করে কোলোস্ট্রাম।
৬. এই দুধ শিশুকে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্ট ফিডিং অ্যাকশন জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর কথা বলেছে।
৭. হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে মায়ের দুধ। যেসব শিশুকে টানা ছয় মাস মায়ের দুধ পান করানো হয়, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
লেখক:
ডা. বেদৌরা শারমিন,
গাইনি কনসালট্যান্ট
সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড।
প্রধানমন্ত্রীকে ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের স্মারকলিপি প্রদান!
ফিজিওথেরাপিস্টদের সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক লিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (বাপসু)।
এ উপলক্ষে বাপসুর সদস্যরা বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করে।
কিছু দূর যাওয়ার পর পুলিশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং বাপসুর ৩ সদস্যের প্রতিনিধিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।
প্রসঙ্গত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে সাত দফা দাবি জানায়।
যে দাবিগুলো নিয়ে তারা দীর্ঘদিন আন্দোলন করছে সেগুলো হলো-
১. দ্রুত বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি ভবন নির্মাণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ভবন নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
২. সরকারি প্রতিষ্ঠানের ইন্টার্ন ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য মাসিক ইন্টার্ন ভাতা প্রদান করতে হবে।
৩. অবিলম্বে সরকারি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্টদের পদ সৃজন ও নিয়োগ দিতে হবে।
৪. ফিজিওথেরাপিতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার ন্যূনতম জিপিএ (এসএসসি+এইচএসসি) ৯.০০ নির্ধারণ করতে হবে।
৫. সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৬. সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্বতন্ত্র ফিজিওথেরাপি বিভাগ ও জনবল নিয়োগ দিতে হবে।
৭. ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
ওজন কমাতে রাতে রুটি না ভাত খাবেন?
ওজন কমানোর পরিকল্পনা সফল করার জন্য বেশিরভাগ সময়েই কার্ব গ্রহণ কমিয়ে প্রোটিনের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়। তবে আমাদের দেশে তিনবেলার মূল খাবারেই শর্করা বোঝাই ভাত কিংবা রুটি থাকে। তাই এই পুষ্টি গ্রহণকে সীমাবদ্ধ করা একটি চ্যালেঞ্জের কাজ হতে পারে। আমাদের খাবার থেকে এগুলো পুরোপুরি বাদ দেয়া অসম্ভব। এক্ষেত্রে যা করা যায় তা হলো পরিমিতভাবে খাওয়া। তবে বেশিরভাগ মানুষই রাতের খাবারে কী খাওয়া উচিত তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান।
আমরা সবাই জানি যে রাতের খাবার হালকা হওয়া উচিত, সেই চেষ্টাও থাকে অনেকের। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে রাতের খাবারে কোনটি খাওয়া ভালো? রুটি না-কি ভাত? সে সম্পর্কে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভাত বনাম রুটি: মূলত ভাত এবং রুটির পুষ্টি গুণে খুব বেশি পার্থক্য নেই। উভয়ই শস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ দ্বারা পাওয়া যায় এবং একমাত্র প্রধান পার্থক্য হলো সোডিয়াম সামগ্রী। ভাতে নগদ পরিমাণে সোডিয়াম থাকে তবে ১২০ গ্রাম, যেখানে গমে ১৯০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে।
সাদা চালের ভাতে অত্যাবশ্যক পুষ্টিকর উপাদানগুলো ছেটে ফেলা হয় যা তুষ এবং জীবাণুতে উপস্থিত থাকে। সুতরাং এতে আরও ক্যালোরি এবং কম পুষ্টি রয়েছে। ৬০ গ্রাম চালে ৮০ ক্যালোরি, ১ গ্রাম প্রোটিন, ০.১ গ্রাম ফ্যাট এবং ১৮ গ্রাম কার্বস থাকে।
পুষ্টির মান: রুটি গম থেকে তৈরি তাই এতে চালের তুলনায় বেশি পুষ্টি থাকে। একটি ছোট ৬ ইঞ্চি পরিমাপের রুটিতে প্রায় ৭১ ক্যালোরি, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ০.৪ গ্রাম ফ্যাট এবং ১৫ গ্রাম কার্বস থাকে। ভাতের তুলনায় রুটিতে ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। চাল এবং গম উভয়েই একই পরিমাণ ফোলেট এবং আয়রন থাকে।
কোনটি ভালো: ডায়েটিশিয়ানদের মতে, ভাত এবং রুটি- দুটোরই নিজস্ব স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। একদিকে, চাল এবং ডাল একসাথে সমস্ত অ্যামাইনো অ্যাসিড ধারণ করে এবং প্রোটিনের একটি সম্পূর্ণ উৎস তৈরি করে, যা বেশিরভাগ উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য আইটেমগুলোতে অনুপস্থিত। অন্যদিকে যব, কিংবা গম দিয়ে তৈরি রুটি আপনাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং দস্তা জাতীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে।
স্বাস্থ্যের জন্য উভয়ই ভালো এবং এগুলো দিনের খাবারেও খাওয়া যেতে পারে। তবে খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়। রাতের খাবার ৮টার মধ্যে সেরে নেয়া উচিত। গভীর রাতে কার্ব সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা শরীর ফুলে যাওয়ার কারণ হতে পারে এবং শরীরের দ্বারা পুষ্টির শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রতিদিন কী পরিমাণ রুটি কিংবা ভাত খাওয়া উচিত: ভাতের তুলনায় রুটি বেশি সময় পেট ভরিয়ে রাখে। দুটি রুটি খেলেই পেট ভরে যায় অনেক সময়, কিন্তু ভাতের ক্ষেত্রে এমন হয় না। এর কারণ হলো, গমের তুলনায় ভাত কম ডায়েটরি ফাইবার, প্রোটিন এবং ফ্যাট ধারণ করে। বড় একথালা ভাতে ৪৪০ ক্যালোরি থাকে যা আপনার প্রতিদিনের ক্যালোরি গ্রহণে প্রোটিনের বড় অংশ হতে পারে। ওজন কমানোর জন্য আপনার উচিত আধা বাটি ভাত বা দুটি রুটি খাওয়া।
সূত্রঃ করতোয়া
করোনাকালে পোষা প্রাণীর সঙ্গে ঘুমানো ঠিক নয়
লাইফ স্টাইল ডেস্ক : আমরা অনেকেই ভালোবেসে কিছু পোষা প্রাণী রাখি। এগুলোকে শরীরের সঙ্গে খুব কাছে রাখতে পছন্দ করেন অনেকে। কেউ কেউ প্রিয় প্রাণীটার সঙ্গে একই বিছানাতে ঘুমানও। করোনার এই সময়ে এটা কি ঠিক? বিশেষজ্ঞরা বলেন, পোষা প্রাণীর সঙ্গে ঘুমানোটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এমনকি এ কারণে প্লেগ হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। আর করোনা ভাইরাসের জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে এদের শরীরেও লেগে থাকতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন প্রাণীর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের জীবাণু মানবশরীরে প্রবেশ করে, একশ’র বেশি জীবাণু ছড়ায় মূলত গৃহপালিত পশুর মাধ্যমে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পোষা প্রাণীদের সঙ্গে ঘুমালে মারাত্মক সব স্বাস্থ্য-সমস্যায় পড়তে পারেন লিভার, কিডনিকে নষ্ট করে দিতে পারে যার ফলে জীবনও হুমকি হয়ে উঠতে পারে। একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে নয় বছরের কিশোরের প্লেগ হয়েছে, এর মূল কারণ হলো ছেলেটি রোজ তার পোষা বিড়াল সঙ্গে নিয়ে একই বিছানায় ঘুমাতো। পোষা প্রাণীকে চুমু খাওয়ার ফলেও বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ব্রুনো চমেল বলেন, অনেক দেশেই দেখা যায় পোষা প্রাণীদের প্রতি যতœ নেওয়াটা সন্তানসম্ভবা নারী ও শিশুযতেœর বিকল্প হিসেবে কাজ করে। ঘরের মধ্যে আলাদা কোনো জায়গায় এদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এই পোষা প্রাণী বিছানায় নেওয়া ঠিক না। আপনার বিছানাতে প্রাণীটাকে না নেওয়ার ফলে সে যে গুরুত্বহীন হয়ে গেল, বিষয়টা কিন্তু মোটেই তেমন নয়। আর এই করোনার আতঙ্ক যখন চার দিকে তখন পোষা প্রাণী থাকলে অবশ্যই ঘরের বাইরে যেতে দেবেন না। এগুলোকে পরিষ্কার করার সময় হাতে গ্লোভস ও মুখে মাস্ক পরে নিন। এরপরও পোষা প্রাণীর কাজ শেষে সাবান পানি দিয়ে হাত ২০ সেকেন্ড ধরে ধুয়ে নিন।
সূত্রঃ করতোয়া
২ কোটি ৫৪ লাখ করোনা রোগী সুস্থ!
চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রতিদিন যেমন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে উঠার সংখ্যাও। প্রতিদিনই অনেকেই করোনা জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন। করোনায় এখন পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৪১ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে দুই কোটি ৫৪ লাখের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ২১৫ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ লাখ ১৮ হাজার ২০৯ জন। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ৮৩৭ জন।
করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫ হাজার ৮৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আরও ২ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণে এগিয়ে রয়েছে ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, কলম্বিয়া, পেরু, মেক্সিকো, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা।
আক্রান্ত ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছে নেই কোনো দেশ। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৭৩৮ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ লাখ ১০ হাজার ২৬৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৮ হাজার ৭০৮ জনের।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪৮ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৯৬২ জনের।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২০ হাজার ৭২২ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা কলোম্বিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ২৯ হাজার ৬৭৯ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৯৯৮ জনের।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ২৫১ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৬ জন।
সূত্রঃ মানবকন্ঠ
মডার্নার ভ্যাকসিনে বয়স্কদের শরীরেও অ্যান্টিবডি
যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্নার পরীক্ষামূলক করোনা ভ্যাকসিন ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রেও ভালো ফল দেখিয়েছে। গত মঙ্গলবার গবেষকরা বলেছেন, মডার্নার টিকার প্রাথমিক পরীক্ষায় বয়স্কদের ক্ষেত্রেও কম বয়সীদের মতোই ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার উপযোগী অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি। সূত্র : রয়টার্স। ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইভান অ্যান্ডারসন বলেছেন, বয়স্কদের ক্ষেত্রে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে থাকে বলে এ ফল ভরসাজনক। এ গবেষণাটি ছিল মূলত মডার্নার টিকার প্রথম ধাপের পরীক্ষার বিস্তৃত আরেকটি অংশ। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের মধ্যে টিকার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা যায়। বিস্তৃত পরীক্ষায় ২৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে ১০০ মাইক্রোগ্রামের দুই ডোজ মডার্নার টিকা ৪০ জনের ওপর পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে একটি গ্রুপ ছিল ৫৬ থেকে ৭০ বছর বয়সী, আরেকটি ৭১-এর বেশি বয়সীদের। গবেষণায় দেখা গেছে, ২৮ দিন পর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ পাওয়া ৭১-এর বেশি বয়সী গ্রুপের ক্ষেত্রে ৫৬ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মতোই প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়। মডার্না বর্তমানে বড় আকারের টিকা পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে বেশি ডোজের টিকা নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। চূড়ান্ত ধাপের এ পরীক্ষায় টিকার কার্যকারিতা প্রমাণ হলে তা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের আবেদন করবে প্রতিষ্ঠানটি। মডার্নার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, শরীর ব্যথা, ঠান্ডা লাগা ও ইনজেকশন দেওয়ার স্থানে ব্যথা হতে পারে। এসব উপসর্গ মৃদু থেকে মাঝারি হতে পারে। এখন পর্যন্ত দুটি ঘটনায় অধিক জটিলতার কথা বলেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। গবেষক অ্যান্ডারসন বলেন, একজনের ক্ষেত্রে ১০২.২ ডিগ্রি জ্বর আসতে আসতে দেখা যায়। তাকে কম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছিল। অন্য জনের ক্ষেত্রে শরীরে অত্যন্ত ক্লান্তিবোধ দেখা দিয়েছিল। তবে এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দ্রুত ঠিক হয়ে যায়।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
করোনায় বিপাকে পাঁচ রোগে আক্রান্তরা!
করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিপাকে পড়েছেন কিডনি, লিভার, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্তরা। নিয়মিত চিকিৎসা নিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক রোগী। করোনা থেকে মুক্তি মিললেও অনেকের ফুসফুসে জমছে পানি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঘটনাও ঘটছে। শ্বাসকষ্টের রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে করোনা টেস্ট সনদ চাওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হলে রক্ত জমাট বেঁধে হার্টে, মস্তিষ্কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। এতে স্ট্রোক কিংবা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটছে। করোনা আক্রান্ত হলে কিডনি ও লিভারের রোগীরাও বিপাকে থাকেন। কারণ করোনা সংক্রমিত হওয়ায় শরীরে বিভিন্ন এনজাইম তৈরি হয়। এতে লিভারে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, হেপাটাইটিসও হতে পারে। কিডনিতেও প্রদাহ হয় করোনার কারণে। আগে থেকে শারীরিক জটিলতা থাকলে সমস্যা কিছুটা বেশি হয়। এজন্য বিভিন্ন রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
নিয়মিত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছেন বেশির ভাগ রোগী। ’
করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন কিডনি রোগীরা। অনেক রোগীর নির্দিষ্ট সময় পরপর ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে হাসপাতালগুলো। ডায়ালাইসিস মেশিনে অনেক সময় জানা না থাকায় করোনা আক্রান্ত কোনো রোগীর ডায়ালাইসিস করা হলে সেখান থেকে আক্রান্ত হবেন রোগী ও তার ডায়ালাইসিসে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক, নার্স ও সহকারীরা।
এ ধরনের রোগী করোনা আক্রান্ত হলে ঝুঁকিও অনেক বেশি থাকে। কিডনি রোগী মাহফুজা বেগমের স্বামী সুমন রহমান বলেন, ‘আমার স্ত্রীর দুটি কিডনিই ক্ষতিগ্রস্ত। সপ্তাহে দুবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডায়ালাইসিস করতে হয়। আগে সরকারি হাসপাতালে কম খরচে ডায়ালাইসিস করানো যেত। কিন্তু এখন অধিকাংশ হাসপাতালে করোনা রোগী থাকায় খুব অসুবিধায় পড়েছি। অল্প কয়েকটি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করানো গেলেও প্রতি সপ্তাহে সিরিয়াল পেতে ঝামেলা পোহাতে হয়। খরচের পরিমাণও অনেক বেশি। ’ তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি আমরা চিন্তায় আছি করোনা নিয়ে। কোনোভাবে করোনা আক্রান্ত হলে এ ধরনের রোগীর পরিস্থিতি কেমন হবে সেটা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। চিকিৎসক আমাদের বাড়তি সতর্ক থাকতে বলেছেন। নিজেরা সতর্ক থাকছি কিন্তু হাসপাতাল তো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। ’ চট্টগ্রামে হালিশহরের বাসিন্দা আফরোজা বেগম (৫৫) চার দিন ধরে জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট বোধ করছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের মাঝেও দেখা দিয়েছিল করোনার উপসর্গ। বাড়ির তিনজন সদস্য করোনা টেস্ট করতে দিয়েছেন দুপুরে। হঠাৎ সন্ধ্যায় ঘরের মেঝেতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান আফরোজা বেগম। হাসপাতালে নিলে করোনা উপসর্গের রোগী হিসেবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চলে চিকিৎসা। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় অবস্থার অবনতি হতে থাকে আফরোজা বেগমের। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ দিন পরে মারা যান তিনি। তার মেয়ে সাদিয়া মেহজাবিন বলেন, ‘করোনার আঘাতে আমাদের পরিবার তছনছ হয়ে গেল। মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়েছেন, করোনার কারণে মায়ের শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছিল। মস্তিষ্কে ব্লক তৈরি হওয়ায় রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটে। ’ হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. আফজালুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘হৃদরোগীরা করোনা আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশি। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে সুস্থ মানুষের শরীরেও হৃদরোগের বিভিন্ন অনুষঙ্গ দেখা দিচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হলে শরীরে প্রদাহ হয়। এতে হার্টের পাম্পিং কমে যায়। হার্টের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় অনেক রোগীর ফুসফুসে পানি আসছে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘হার্টের কার্যকারিতা অনেকটা শ্যালোমেশিনের মতো। করোনা রোগীদের নিয়মিত ফলোআপে থাকতে হবে। নয়তো অগোচরে শরীরে বাসা বাঁধবে দুরারোগ্য ব্যাধি। করোনা আক্রান্ত হলে মনোবল হারানো যাবে না। শক্ত মনোবল শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম ধরে রাখে। ’ করোনা থেকে সুস্থ হলেও হজমে সমস্যা, ডায়রিয়ায় ভুগছেন অনেকে। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলাম। আমার স্ত্রী ২১ দিনে এবং আমি ২৫ দিনে করোনামুক্ত হই। করোনা নেগেটিভ আসার পর থেকে আমরা ভীষণ দুর্বল বোধ করছি। আমার প্রায় ঘন ঘন পেটে সমস্যা হচ্ছে। হজমে সমস্যা হচ্ছে প্রায়ই। রাত ৩টা-৪টা বাজলেও ঘুম আসে না। দেড় মাস ধরে অনিদ্রা নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। আমার স্ত্রীর শরীরে অ্যালার্জি উঠে ভরে গেছে। পুরো শরীরে লাল ফোসকা উঠেছে। টানা ওষুধ চললেও কাজ হচ্ছে না। ইনজেকশনও দিতে হয়েছে। চিকিৎসক এটাকে পোস্ট কভিড সিন্ড্রম বলছেন। ’ শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমার রোগীরা কারোনার সময়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। করোনার একটি বিশেষ উপসর্গ শ্বাসকষ্ট। এ জন্য তৈরি হচ্ছে সমস্যা। করোনা আক্রান্ত হলে এ ধরনের রোগীদের শ্বাসকষ্ট আরও তীব্র হয়ে ওঠে। করোনাকালীন স্মৃতি থেকে মারিয়া জাহান বলেন, আমার পাঁচ বছর ধরে অ্যাজমা এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে। ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। করোনার শুরু থেকেই সাবধানে ছিলাম। এ জন্য চাকরিও ছাড়তে হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে করোনা টেস্ট করে যেতে হতো। তবু শেষ রক্ষা হলো না। একবার অক্সিজেন শরীরের ভিতরে টেনে নিতে সব শক্তি শেষ হয়ে আসে। ওই কষ্টের কথা মনে পড়লে আমি শিউরে উঠি। ’
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন