নীতিমালার অভাবে বাড়ছে হৃদরোগ ঝুঁকি: প্রজ্ঞা

কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগ পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর একক কারণ হিসেবে শীর্ষে। যেসব কারণে হৃদরোগ ঝুঁকি বাড়ে ট্রান্সফ্যাট তার মধ্যে অন্যতম এবং আশঙ্কার কথা হলো ট্রান্সফ্যাটজনিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য দেশে এখন পর্যন্ত কোনো আইন বা নীতি না থাকাকেই দায়ী করছে তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট দিবস। এবার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘হৃদয় দিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধ’। এ উপলক্ষ্যে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিক্রিয়ায় ওই দাবি করেছে প্রজ্ঞা। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়, যার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট। বিশ্বে ট্রান্সফ্যাটের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে সারাবিশ্ব একত্রিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিলম্ব করার কোনো সুযোগ বা অজুহাত থাকতে পারে না। খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ এমন এক সাশ্রয়ী পদক্ষেপ যা একইসঙ্গে হৃদরোগজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যুঝূঁকি কমিয়ে অসংক্রামক রোগ সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা- এসডিজির ৩.৪ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। বাংলাদেশে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ অনুযায়ী সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চসীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন এবং কার্যকর করার দাবি প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান)। সহায়ক পদক্ষেপ হিসেবে মোড়কজাত খাবারের পুষ্টিতথ্য তালিকায় ট্রান্সফ্যাটের সীমা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা, উপকরণ তালিকায় পিএইচও’র মাত্রা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা, ফ্রন্ট অব প্যাকেজ লেবেলস বাধ্যতামূলক করা যা খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতি নির্দেশ করবে এবং ‘ট্রান্সফ্যাট-মুক্ত’ বা ‘স্বল্পমাত্রার ট্রান্সফ্যাট’ এ জাতীয় স্বাস্থ্যবার্তা ব্যবহারে বিধি-নিষেধ আরোপ করার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রজ্ঞা জানায়, ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা পিএইচও, যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। সম্প্রতি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষণায় ঢাকা শহরে পিএইচও নমুনার ৯২ শতাংশে ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত ২% মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও’র সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। উচ্চমাত্রায় ট্রান্সফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) গ্রহণ হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদরোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি বাড়ায়। ট্রান্সফ্যাটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো আইন বা নীতি হয়নি। তবে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আওতায় ইতোমধ্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণে একটি ধারণা পত্র তৈরি করা হয়েছে।

সূত্রঃ সময় টিভি

দুই কোম্পানির ভ্যাকসিন ট্রায়াল হবে দেশে’

দেশে চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির ভ্যাকসিনের ও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ট্রায়াল হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ভ্যাক্সিনের দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রতিটি দেশের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। যারা বাংলাদেশে উৎপাদন করতে চায় তাদের তখনই অনুমোদন দেওয়া হবে যখন আমাদের দেশের কোন কোম্পানি তা উৎপাদনে সক্ষম হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ডিসেম্বর-জানুয়ারির আগে কোন ভ্যাক্সিন বাজারে আসছে না। আলোচনা হচ্ছে হুর সাথে। শীতে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ বাড়বে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেখানেই দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া যাবে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সূত্রঃ সময় টিভি

দর্জির কাজ করেন, করেন চিকিৎসাও!

নাম নার্গিস আকতার। তিনি নিজের নামের আগে লিখেছেন ‘ডা.’। কিন্তু তার গলায় চিকিৎসকদের স্টেথোস্কোপ থাকে না। থাকে কাপড় পরিমাপের ফিতা। পাশাপাশি দুটি দোকান- একটি মেডিকেল হাউস অপরটি টেইলার্স। দুই দোকানের কর্তা একজনই। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুড়িশ্চরের তেঁতুলতলা এলাকায় নার্গিস আকতার নামে এক নারীর এমন চিত্র দেখা যায়। সোমবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে এর প্রমাণ পেয়েছেন। ফার্মেসির সাইনবোর্ডে লেখা আছে, ‘সকল প্রকার রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়’। অন্যদিকে নিজেকে ডাক্তার প্রমাণে ছাপিয়েছেন ভিজিটিং কার্ডও। পাশেই টেইলার্সের দোকান। এখানে পেশা দুটি হলেও মানুষ তিনি একজনই। যিনি দর্জি, তিনিই চিকিৎসক। পরে কথিত চিকিৎসকের দুই সন্তানের বিষয়টি বিবেচনা করে মুচলেকা নিয়ে তাকে স্থানীয় জনপ্রতিধির জিম্মায় দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, গোপন সূত্রে জানতে পারি, এক ডাক্তার দর্জির কাজও করেন। যিনি সকল প্রকার রোগের চিকিৎসক। কৌতূহলবশত ওই ডাক্তারকে দেখতে তার চেম্বারে গেলাম। কিন্তু একি, ডাক্তার সাহেবের চেম্বারে গিয়ে দেখি, তিনি গলায় ফিতা ঝুলিয়ে কাপড় কাটছেন! নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলেও তার ন্যুনতম নার্সিং কোর্সেরও অভিজ্ঞতা নেই। এমন অবস্থায়ই তিনি দিব্যি ফার্মেসি ব্যবসা এবং কথিত ডাক্তারি পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেবল তা নয়, তিনিই আবার পাশের টেইলার্সের কারিগর। তিনি আরও বলেন, অভিযানের পর এলাকার চেয়ারম্যান ও তিন মেম্বারকে ডাকা হয়। তবে শাস্তি দিতে গিয়ে গিয়ে দেখা যায়, ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। পাঁচ ও ছয় বছরের দুটা সন্তান আছে। তারা মায়ের সঙ্গেই থাকে। তাই জেল-জরিমানা করা হয়নি। তবে হয় লাইসেন্স নিয়ে ফার্মেসি ব্যবসা করবে, না হয় টেইলার্স পরিচালনা করবে। এখন থেকে যেন ভুয়া ডাক্তারি করতে না পারে। বিষয়টি দেখাশুনা করতে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সূত্রঃ বাংলাদেশপ্রতিদিন

কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রম-আধুনিক জীবনযাত্রার সাধারণ সমস্যা

প্রযুক্তিগত ব্যবহার আগেও ছিল, তবে লকডাউনের পর এর ব্যবহার বেড়েছে অনেকগুণ। কাজের জন্য হোক বা ঘরবন্দী পরিস্থিতি; প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকাও সম্ভব নয়। কম্পিউটার, স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে অনলাইন ক্ল্যাস, অফিস অ্যাট হোম তো আছেই, এ ছাড়াও নানা রকম বিনোদনে পার করতে হচ্ছে অলস সময়। যার ফলে কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোনের স্ক্রিনে পার করতে হচ্ছে অনেক সময়। ফলে বাড়ছে চোখের নানা সমস্যা যেমন- চোখ জ্বালাপোড়া করা, চোখ কটকট করা এবং মাথার যন্ত্রণা। বাড়ছে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোমও। এমন পরিস্থিতিতে চোখের আরামের জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারেন। ০. কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে ২০ ফুট দূরত্বে ২০ মিনিট অন্তর ২০ সেকেন্ডের জন্য কোনও জিনিসের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে এবং তারপর আবার স্ক্রিনে চোখ ফেরাতে হবে এতে চোখে আরাম পাবেন। ০. প্রতি দেড়-দু’ঘণ্টা অন্তর কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে মিনিট কমপক্ষে ১৫ বিরতি নেওয়া উচিত। ০. চোখের শুষ্কতা এড়াতে প্রতি মিনিটে ১২ বার চোখের পাতা ফেলতে হবে। ০. কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে চোখে জলের ঝাপটা দিতে হবে। তবে খুব বেশিবার তা না করলেও চলবে। ০. মাঝে মাঝেই চোখের পাতা খুব ধীরে ধীরে খোলা-বন্ধ করা, দশ বারো-বার মতো করলেই যথেষ্ট। ০. কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনের আলো (ব্রাইটনেস) যথাসম্ভব কম রাখতে হবে। ০. যদি কারোও ভিশনজনিত সমস্যা থাকে তাহলে চোখের ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তারপর পরামর্শমতো আই-ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এবং ডায়েটে ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

অসুস্থ স্বামীর জন্য রক্ত আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নার্স

গুরুতর অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান এক নার্স। সেখানে মেডিসিন বিভাগে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, জরুরি ভিত্তিতে তাকে রক্ত দেওয়া প্রয়োজন। হাসপাতালের দোতলায় ব্লাড ব্যাংকের সামনে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখে তাদের কাছেই সাহায্য চান ওই নারী। তখন মনোয়ার হোসেন সজীব নামে এক ব্যক্তি তাকে ‘ও-পজেটিভ’ গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এর পরদিন কৌশলে মিরপুরের মধ্য মণিপুর এলাকার এক বাসায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে সজীব। গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার পর বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে হুমকিও দেওয়া হয়। ভয়ে-লজ্জায় তা গোপন রেখেছিলেন তিনি। তবে গত বৃহস্পতিবার আবারও ধর্ষণের শিকার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে তিনি স্বামীকে বিষয়টি জানান। একপর্যায়ে এই দম্পতি র‌্যাবের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেন সজীব ও তাকে সহায়তাকারী মাশনু আরা বেগম শিল্পীকে শুক্রবার রাতে মিরপুরের মধ্য মণিপুরের শিফা ভিলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪৩ বছর বয়সী সজীব দুশ্চরিত্র স্বভাবের লোক। ঢাকায় তার নিজের বাড়ি আছে। সে প্রাইভেট টিউটর হিসেবে কাজ করে। শেয়ারবাজারেও তার বিনিয়োগ আছে। আর শিল্পী পেশাদার যৌনকর্মী। সজীবের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন ধর্ষণে সহায়তার বিনিময়ে সে ৫০০ টাকা পেয়েছে। র‌্যাব-২ সূত্র জানায়, সাতক্ষীরার একটি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কাজ করেন ধর্ষণের শিকার নারী। তার স্বামী বেশ কিছুদিন ধরে পাইলস ও অন্যান্য অসুখে ভুগছেন। তাকে নিয়মিত রক্ত দিতে হয়। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে নিয়ে ঢাকায় আসেন ওই নারী। এখানে তার পরিচিত বিশেষ কেউ নেই। তাই রক্ত সংগ্রহের জন্য তিনি উপস্থিত অন্যদের কাছে সহায়তা চান। একই হাসপাতালে সজীবের মায়েরও চিকিৎসা চলছে। সে ওই নারীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিতে তাকে রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার কথা বলে। এরপর শিল্পীকে ফোন করে এই অপকর্ম সংঘটনের পরিকল্পনা করে। পরদিন রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার নাম করে শিল্পীর বাসায় নিয়ে নার্সকে ধর্ষণ করে সজীব। ভুক্তভোগী চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। পরে সে এক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহও করে দেয়। এরপর বৃহস্পতিবার সজীব ওই নারীর স্বামীকে ফোন করে জানায়, আরও এক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। তার স্ত্রী যেন গিয়ে তা নিয়ে আসেন। তবে ভুক্তভোগী এবার যেতে আপত্তি করেন। এক পর্যায়ে তিনি স্বামীকে সেদিনের ঘটনা খুলে বলেন এবং রক্ত আনতে গেলে আবারও ধর্ষণের শিকার হতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তখন তারা পরামর্শ করে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ জানান। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযানে নামে র‌্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে সজীব ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় মামলা হয়েছে। সূত্রঃ সমকাল

শিশুর ডায়াবেটিস ও করণীয়!

আমাদের অনেকের ধারণা ৪০ বছরের পর সাধারণত ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। তবে এ ধারণা মোটেও সঠিক নয়। শিশুদেরও ডায়াবেটিস হতে পারে। বর্তমানে ছোট শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবেটিসে। শিশুর ডায়াবেটিস হয়েছে বিষয়টি বাবা-মা বুঝতে না পাড়ার কারণে শিশুর ক্ষতি হচ্ছে।

শিশুর ডায়াবেটিসের কারণঃ

গর্ভবতী মায়েদের অনিয়ম, অপুষ্টি, জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে, খাবারে মাংস-চিজ-মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকলে, শারীরিক পরিশ্রম কম করা, ব্যায়াম ও হাঁটাচলা না করা।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর ডায়াবেটিসঃ

রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়া, দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা, অতিরিক্ত দুর্বলতা, মাথাব্যথা, খেলাধুলায় আগ্রহ থাকে না ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

কী করবেনঃ

এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। লেখক: ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম, মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ কনসালট্যান্ট (সিটি স্কিন সেন্টার, শান্তিনগর, ঢাকা)।

করোনার টিকাকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনার আহ্বান

করোনা মহামারির কারণে বিদ্যমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো আরও প্রকট হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এ মহামারি আমাদের উপলব্ধি করতে বাধ্য করেছে যে এ সংকট উত্তরণে বহুপাক্ষিকতাবাদের বিকল্প নেই। আমরা কেউই সুরক্ষিত নই, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছি।’ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে শনিবার দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলায় ভাষণ দেন। আগে ধারণ করা এ ভাষণে তিনি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ টিকার সময়োপযোগী ও সমান প্রাপ্তি নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে বিশ্ব শিগগিরই কোভিড-১৯-এর টিকা পাবে। এই টিকাকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।’ কোভিড-১৯–এর কারণে জাতিসংঘের ইতিহাসে এই প্রথম নিউইয়র্কের সদর দপ্তরে সদস্যদেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের অনুপস্থিতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৭ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা, জলবায়ু সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে, আমাদের সকলের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। কাজেই সকল দেশ যাতে এই ভ্যাকসিন সময়মতো এবং একই সঙ্গে পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’ দেশের ওষুধশিল্পের অবকাঠামোগত সক্ষমতার বিষয়টির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কারিগরি জ্ঞান ও মেধাস্বত্ব প্রদান করা হলে এই ভ্যাকসিন বিপুল পরিমাণে উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে।’ সরকারপ্রধান হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এ নিয়ে ১৭তম বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্দশার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘এই মহামারির কারণে অনেক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। অনেককে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রণোদনা বাবদ ৩৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছি। তবে কোভিড-পরবর্তী সময়ে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ প্রধানমন্ত্রী অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়টি সহমর্মিতার সঙ্গে ও ন্যায়সংগতভাবে বিবেচনা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও অভিবাসী গ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান। দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখেরও বেশি নাগরিককে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। তিন বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ ব্যাপারে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’ দেশের আর্থিক খাতের আশু সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তাঁর সরকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বিশ্বে খাদ্যাভাবের আশঙ্কা থাকায় এ নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা করোনাকালে খাদ্য উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। সেই সঙ্গে পুষ্টি নিশ্চয়তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের শিল্পকারখানা সচল রাখা এবং কৃষি ও শিল্পপণ্য যথাযথভাবে বাজারজাতকরণের বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। যার ফলে বাংলাদেশের স্ব্যাস্থ্য ও অর্থনীতি এখনো তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো আছে।’ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বিদ্যমান সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত প্রকট হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯–এর এই সংকটকালেও আমাদের বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সিভিএফ ও ভি-টোয়েন্টি গ্রুপ অব মিনিস্টার্স অব ফিন্যান্সের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু সমস্যা উত্তরণে একটি টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়নে নেতৃত্ব প্রদান করবে। এ ছাড়া গ্লাসগো কপ-এ গঠনমূলক ও কার্যকর ফলাফল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।’ বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বছর আমরা “উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি” অ্যাজেন্ডা-এর ২০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করছি। এই অ্যাজেন্ডার অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে আমরা শান্তি ও নিরাপত্তায় নারীর ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করি।’ বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে ‘বেইজিং ঘোষণা’ এবং ‘প্ল্যাটফর্ম অব অ্যাকশন’ কার্যকরে বাংলাদেশ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ শিশুদের উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বর্তমান সভাপতি হিসেবে আমরা শিশুর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করে যাচ্ছি।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’—এর উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। সংঘাতপ্রবণ দেশগুলোয় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শান্তি বজায় রাখতে আমাদের শান্তিরক্ষীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।’ সরকারপ্রধান বলেন, ‘শান্তির প্রতি অবিচল থেকে আমরা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহণ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবী বিনির্মাণে বৈশ্বিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন অবিচল।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও সে সময় দেশে সংঘটিত গণহত্যার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে বাঙালি জাতি অবর্ণনীয় দুর্দশা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার মতো জঘন্য অপরাধের শিকার হয়েছে। সেই কষ্টকর অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সংগত দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছি।’ সূত্রঃ প্রথম আলো

করোনা হলে অনেকে ঘ্রাণশক্তি হারান কেন?

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোনো ব্যক্তি হয়তো হঠাৎ লক্ষ করেন যে তিনি খাবার খাচ্ছেন কিন্তু স্বাদ–গন্ধ পাচ্ছেন না। ঘ্রাণশক্তি হারানো বা অ্যানোসমিয়া (Anosmia) করোনার একটি লক্ষণ। তবে এটি সবার হয় না। কিন্তু কারও হলে বুঝতে হবে, ভাইরাস তার নাকের গন্ধ–অনুভূতির প্রক্রিয়া সাময়িক সময়ের জন্য হলেও অকার্যকর করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্মিথসোনিয়ানম্যাগ ডটকমে ২১ সেপ্টেম্বর একটি বড় নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কেন ও কীভাবে করোনা রোগীদের অনেকে অ্যানোসমিয়ায় আক্রান্ত হন। করোনা–অ্যানোসমিয়া নিয়ে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিশেষজ্ঞদেরও বেশ কিছু গবেষণা আছে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস (Science Advances) জার্নালে গত ২৪ জুলাই একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের নাকের ভেতর ঘ্রাণসংক্রান্ত নিউরনগুলো বা ওলফ্যাক্টরি নিউরন (olfactory neuron) গন্ধ–অনুভূতির সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায়। এর ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের গন্ধ অনুভব করি। কিন্তু করোনা অনেক সময় এই নিউরনগুলোর কার্যক্রম পরিচালনাব্যবস্থার ক্ষতি সাধন করে। এ অবস্থায় রোগী ঘ্রাণশক্তি হারাতে পারেন। এখানে বলা দরকার যে করোনাভাইরাস সরাসরি নিউরন ধ্বংস করে না। কিন্তু এর কাজ চালানোর জন্য সহায়ক সেলগুলোর ক্ষতি সাধন করে। তাই গবেষকেরা মনে করেন, করোনা রোগী কখনো ঘ্রাণশক্তি হারালেও সেটি স্থায়ী কোনো ব্যাপার নয়। কারণ, নিউরনগুলো তো ধ্বংস হয় না। তাই করোনার উপশম হলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত ওলফ্যাক্টরি নিউরাল সার্কিট আবার সক্রিয় অবস্থানে ফিরে আসে। তবে এ জন্য বেশ সময় লাগে। কারও হয়তো মাসখানেক বা কারও বছর দুয়েকও লেগে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে। তরুণ–যুবকেরা কেন বেশি হারে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার শুরুতে আমরা শুনেছি, শিশু ও কম বয়সী ব্যক্তিদের ঝুঁকি কম। বয়স্ক ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, ২০–৪০ বছর বয়সের তরুণ–যুবারাও বেশ আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে, এই বয়সের অনেকে আগের চেয়ে বেশি হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিজি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) এই তথ্য জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস পত্রিকা ২৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কেন এ রকম হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদনে সিডিসির একটি ব্যাখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। সিডিসি বলছে উঠতি বয়সের তরুণ–যুবাদের অনেকে রেস্টুরেন্ট, দোকান, শিশুযত্নকেন্দ্র বা এ ধরনের কর্মস্থলে বেশি কাজ করেন। তাঁদের অনেক বেশি লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে ও কাজ করতে হয়। আর অন্যদিকে এই বয়সের তরুণ–যুবারা সাধারণত মাস্ক পরতে চান না। তাঁরা নির্বিকারভাবে জনবহুল স্থানে বেশি ঘুরে বেড়ান। ফলে তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের হার বাড়ছে। আমাদের দেশেও এ ধরনের একটি প্রবণতা দেখতে পাই। এ বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। স্কুল খুলে দিলে কী অবস্থা হতে পারে? সম্প্রতি স্কুলগুলো খোলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। অনেক অভিভাবক চিন্তিত। কারণ, শিশু–কিশোরদের ধর্মই হলো দুরন্তপনা। স্কুল খুললে তারা বন্ধুদের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করবে। অনেকে মাস্ক ব্যবহার করবে না। অনেকের মাস্ক কেনার সামর্থ্যও হয়তো নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্ধুদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখা ও বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার নিয়মও তাদের মেনে চলার ধৈর্য হয়তো থাকবে না। তার মানে দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওদিকে শীত আসছে। করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকেরা বলছেন। অন্য কয়েকটি দেশে দেখা গেছে স্কুল খোলার পর করোনার প্রকোপ বেড়েছে। তাই আবার স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে। স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসব বিষয় আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। আবার এটাও ঠিক যে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে বিটিভি ও অন্যান্য টিভি চ্যানেলে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা সবার কাছে নিয়ে যাওয়ার যে উদ্যোগ রয়েছে, তা সব শিক্ষার্থীর জন্য সহজলভ্য করলে হয়তো পড়াশোনায় ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। সূত্রঃ প্রথম আলো

সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত স্বাস্থ্য খাত

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বব্যাপী মানুষ করোনাকে অবহেলা করছে। এর ফলে আমেরিকা, ইউরোপসহ অনেক দেশেই করোনায় সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেও শীতকালে করোনায় সেকেন্ড ওয়েভ শুরুর আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হলে কী কী করণীয় সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই দেশের স্বাস্থ্য খাত সক্ষমতা দেখিয়েছে। সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হলে স্বাস্থ্য খাত এভাবেই মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছে। বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিকায়ন ও উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা এবং শিক্ষা সম্প্রসারণমূলক কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন দেশের ৯টি কোম্পানির করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর অন্তত ৫টির সঙ্গে সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তাদের কাছ থেকে আমরা সঠিক ভ্যাকসিন, সঠিক সময়ে পেতে চাই। বিশ্বের কোনো দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলে আমরাও বসে থাকব না। এ বিষয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য সব কার্যক্রম সম্পন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে একেএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) মহিবর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবনিযুক্ত পরিচালক কর্নেল নাজমুল হক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ইউছুফ ফকির প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘মুজিববর্ষ ২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে উন্নত চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন নতুন চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে ২৩টি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সূত্রঃ যুগান্তর

ময়মনসিংহে এক হাজার টাকায় কিডনি রোগীদের ‘স্থায়ী টানেল্ড ক্যাথেটার’!

মাত্র এক হাজার টাকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ‘স্থায়ী টানেল্ড ক্যাথেটার’ স্থাপন করার অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মমেক হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগে প্রথমবারের মত এর কার্যক্রম শুরু হয়। যারা দীর্ঘদিন যাবত কিডনি সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এ খবরটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিডনি রোগ বিভাগের চিকিৎসক ওমর ফারুক মিয়া জানান, এ অপারেশনটি বেসরকারি যেকোনো হাসপাতালে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে করা হয়ে থাকে। যা এখন থেকে এ সেবালয়ে মাত্র এক হাজার টাকা দিয়ে করা সম্ভব হবে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রুনা আক্তার (৪০) ও শেরপুর সদর উপজেলার রুস্তম আলী এ সংক্রান্ত রোগে ভুগছিলেন। পরে আজ তাদের কিডনিতে স্থায়ী টানেল্ড ক্যাথেটার স্থাপনের মাধ্যমে এই অস্ত্রোপচারের যাত্রা শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে এখন থেকে এই স্থায়ী টানেল্ড ক্যাথেটার দিয়ে ডায়ালাইসিস দেয়া সম্ভব হবে। একই বিভাগের আরেক চিকিৎসক হাসানুল ইসলাম আকাশ জানান, ‘যারা কিডনির জটিল সমস্যায় ভুগছেন তারা এখন থেকে নামমাত্র মূল্যে এ সেবা যেন পান তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ’ -বিডি প্রতিদিন