সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালককে ঘেরাও করেন চিকিৎসকেরা
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি অংশ পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করেন। নিরাপদ থাকার জায়গার দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে পরিচালককে ঘেরাওয়ের এই ঘটনা ঘটে।
প্রায় এক ঘন্টা ঘেরাও করে রাখার পর কোভিড–১৯ চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকেরা তাদের সমস্যা সমাধানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দেন।
কোভিড–১৯ চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা গত কয়েকমাস ধরে হোটেলে থেকে হাসপাতালে যাওয়া–আসা করতেন। কোয়ারেন্টিন বিধি মেনে তাদের কাজ করতে হত। সরকার সম্প্রতি তাদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। কিন্তু অনেকেই সুবিধামত থাকার জায়গা পাচ্ছেন না।
নিরাপদ থাকার জায়গার দাবিতে শনিবার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়ার কক্ষসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চিকিৎসকেরা। উত্তম কুমার বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের পরিপত্র অনুযায়ী চিকিৎসকদের হোটেলে থেকে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ নেই। আমরা চিকিৎসকদের হোটেল ছেড়ে দিতে বলেছি। এজন্য চিকিৎসকেরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উত্তম কুমার বড়ুয়া ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা হোটেলে থাকার সুবিধা পাবেন না। তার পরিবর্তে ঢাকায় দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসকরা দৈনিক দুই হাজার টাকা, নার্সরা ১ হাজার ২০০ টাকা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ৮০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। সরকার কয়েকটি থাকার জায়গা নির্দিষ্ট করেছে। কিন্তু চিকিৎসকেরা সেই জায়গায় থাকতে চান না।
উত্তম কুমার বলেন, ‘বিষয়টি আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অবহিত করেছি। অন্যদিকে চিকিৎসকদের রোববারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আনতে বলেছি।’
চিকিৎসকদের এই বিক্ষোভ ও ঘেরাওয়ের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে দাবি করেন উত্তম কুমার বড়ুয়া।
সূত্রঃ প্রথম আলো
চিকিৎসা-ভ্রমণে বিদেশ যায় হাজার হাজার কোটি টাকা
► নেই বিশ্বমানের চেইন হাসপাতাল ► সরকারি হাসপাতালে চরম অব্যবস্থাপনা ► প্রয়োজন বেসরকারি বিনিয়োগ ► দেশীয় পর্যটনের ব্র্যান্ডিংয়ের অভাব
উন্নত চিকিৎসাসহ ভ্রমণে প্রতি বছর দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। দেশে নেই বিশ্বমানের চেইন হাসপাতাল। অনেকে বাধ্য হয়েই বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। ভ্রমণ করছেন বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশে নামে গুটি কয়েক অভিজাত হাসপাতাল থাকলেও সেগুলো নিয়ে রোগীদের অভিযোগের শেষ নেই। সরকারি হাসপাতালগুলোতেও রয়েছে চরম অব্যবস্থাপনা। এ ছাড়া বাংলাদেশের পর্যটনকেও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যথাযথভাবে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ খাতে বাজেট অপ্রতুল। লোকবলের অভাব। এ ছাড়া সমন্বয়হীনতা কাজ করছে পর্যটনে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে
জানা গেছে, গত ২০১৯ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩৭ লাখ বাংলাদেশি ভ্রমণে গেলেও বিপরীতে মাত্র ৭-৮ লাখ বিদেশি পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন। একই বছরে চিকিৎসাসহ বিদেশ ভ্রমণে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে। এর মধ্যে ভারতে এক বছরে প্রায় ২২ লাখ বাংলাদেশি ভ্রমণ করেছেন। বাংলাদেশিদের ভ্রমণে পছন্দের তালিকায় ভারতের পাশাপাশি শীর্ষস্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও চীন। এ ছাড়া দেশের ভিতরে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি ভ্রমণ করছেন। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ জন অবহিতকরণ’ সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, চিকিৎসা খাতে প্রতি বছর বিদেশে চলে যাচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। আমাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা যদি ভালো হতো, উন্নত হতো, তাহলে এত টাকা বিদেশে চলে যেত না। এই টাকা ধরে রাখতে হলে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) মোহাম্মাদ সাইফুল হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিদেশ ভ্রমণে আমাদের অনেক টাকা দেশের বাইরে চলে যায়। এর মধ্যে একটি অংশ যান চিকিৎসার জন্য, বাকিরা যান ঘুরতে। করোনাভাইরাসের কারণে আগামীতে হয়তো দেশের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ বেড়ে যাবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক চাকা আরও সচল হবে।’
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের সৌন্দর্য বা আকর্ষণের কোনো ঘাটতি নেই। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। সবচেয়ে বড় সমস্যা পর্যাপ্ত বাজেট না থাকা ও লোকবলের অভাব। এ খাতে সমন্বয়হীনতাও আছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে ৪.৪ শতাংশ পর্যটন খাত অবদান রাখছে এবং কর্মসংস্থানে ২.২ শতাংশ ভূমিকা রাখছে। পর্যটনে যত বাজেট রয়েছে তার মধ্যে বেসামরিক বিমান ও পরিবহনেই ৮০ ভাগ বাজেট চলে যায়। মাত্র ২০ ভাগ শুধু পর্যটনে ব্যয় করা হয়। উক্ত খাতের বাজেটের ৫০ ভাগই পর্যটনে ব্যবহার করতে হবে। বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। পর্যটনের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় দরকার। বিমানের সঙ্গে পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জুড়ে দেওয়া ঠিক নয়। এ প্রসঙ্গে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশেরই একটি স্লোগান থাকে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আমাদের স্লোগান হচ্ছে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’। আমাদের ব্র্যান্ডিংটাকে আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। আমাদের যে সৌন্দর্য, আকর্ষণ বা বৈচিত্র্যময় দেশ-সেটাকে আমরা বৈদেশিক বাজারে তুলে ধরতে পারছি না। এ জন্য আমাদের সমন্বিত উদ্যোগের অভাব আছে। আমাদের পর্যটন খাত ১৪ থেকে ১৫টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এক্ষেত্রে কাজে ব্যাপক দীর্ঘসূত্রতা হয়। অনেক কাজ বিলম্বিত হয়। যদি একটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ খাত সম্পৃক্ত থাকত তাহলে কাজে আরও গতি আসত। আমাদের প্রচার-প্রসারের যথেষ্ট অভাব আছে। থাইল্যান্ডকে যদি আমরা উদাহরণ হিসেবে দেখি, তারা শুধু পর্যটন পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে এ খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
নেই নামিদামি চেইন হাসপাতাল : রোগে আক্রান্ত হলে উচ্চবিত্তরা যান সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। আর মধ্যবিত্ত সাধ্যের মধ্যে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করান। প্রতিবছর বিদেশ গিয়ে স্বনামধন্য চেইন হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবার অব্যবস্থাপনা ও আস্থাহীনতায় বিদেশমুখিতা ঊর্ধ্বমুখী। এই হাসপাতালগুলোর শাখা দেশে খোলার ব্যাপারে নেই কোনো উদ্যোগ। দেশে মাত্র দুটি চেইন হাসপাতাল ‘এভারকেয়ার’ এবং ‘এএফসি হেলথ ফরটিস হার্ট ইনস্টিটিউট’। রাজধানীতে এভারকেয়ারের একটি শাখা রয়েছে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লাতে রয়েছে এএফসি হেলথ ফরটিস হার্ট ইনস্টিটিউটের শাখা। ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি থাকলেও মানসম্পন্ন সেবা দিতে চেইন হাসপাতাল গড়ার আগ্রহ দেখা যায় না। বেসরকারি বিনিয়োগ না থাকায় সেবার মান বাড়ানো নিয়ে নেই কোনো সুস্থ প্রতিযোগিতা। চলতি বছর বিশ্বের সেরা ১০০ হাসপাতাল নিয়ে করা একটি র?্যাংকিংয়ে ঠাঁই হয়নি বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালের। তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে ভারতের মাত্র একটি হাসপাতালের জায়গা হয়েছে। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস প্রথমবারের মতো বিশ্বের সেরা ১০০ হাসপাতালের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার সংবাদবিষয়ক বিখ্যাত সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন নিউজউইক বিশ্বের সেরা ১০০ হাসপাতাল নিয়ে এ র?্যাংকিংটি প্রকাশ করে।
সরকারি হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা : সরকারি হাসপাতালে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আগেও ছিল এখনো আছে। সরকার বদল হচ্ছে, সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু রোগীর ভোগান্তি কমছে না। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, নিয়মশৃঙ্খলা, রোগীর সঙ্গে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের খারাপ আচরণ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ঘটছে মারপিটের ঘটনা। কখনো রোগীর স্বজনরা মেরে আহত করছেন চিকিৎসককে, আবার কখনো ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মিলে পিটুনি দিচ্ছেন রোগীর স্বজনদের। প্রায়ই ঘটছে এ ধরনের ঘটনা। হাসপাতালে গিয়ে সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। রোগীর অনুপাতে দেশে হাসপাতালে শয্যা ও চিকিৎসক সংখ্যায় বিশাল ফারাক। হাসপাতালের মেঝেতে থাকছেন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা। ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পাশের একটি ভবনের বারান্দায় দেখা যায়, গাদাগাদি করে থাকছেন ২০ জন মানুষ। এর মধ্যে রোগী আছেন সাতজন। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও এভাবে থাকছেন তারা। রাজধানীতে থাকার জায়গা নেই। হোটেলে ভাড়া দিয়ে থাকার সামর্থ্য নেই তাদের। কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্য নিয়মিত আসতে হয় তাদের। হাসপাতালে দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে সিরিয়াল পাওয়ার জন্য আগে থেকেই এসে অপেক্ষা করছেন তারা। মাদারীপুর থেকে আসা রোগীর স্বজন মোক্তাদির হোসেন বলেন, আমার চাচি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। এক বছর ধরে কেমোথেরাপি চলছে। আমাদের ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। এই ক্যান্সার ইনস্টিটিউটই শেষ ভরসা। আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংয়ের (ইওয়াই) প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া রোগীদের ৬২ শতাংশই অসংক্রামক নানা ব্যাধির (এনসিডি) চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। রোগীদের বিদেশমুখী স্রোত শুরু হলেও দেশের সেবার মান উন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নেই। করোনাভাইরাস মহামারীতে ফুটে উঠেছে দেশের স্বাস্থ্যসেবার ভঙ্গুর চিত্র। এ ব্যাপারে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেইফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিস (এফডিএসআর) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশের উচ্চবিত্ত শ্রেণির কিছু মানুষ বিদেশে যাবেই। তবে উচ্চমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের বিদেশগামিতা কমাতে হলে দেশে বেসরকারি খাতে হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হতে হবে। একটু উদ্যোগী হলে বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে দেশেই মানুষ উন্নতমানের আধুনিক চিকিৎসা পাবে, যা রোগীদের বিদেশগামিতা কমাতে সহায়তা করবে।
করোনা মোকাবিলায় এডিবির ৩৪ হাজার কোটি টাকার অনুদান
বেগবান করতে এগিয়ে এসেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। করোনা সংকট দ্রুত কাটিয়ে উঠতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর উন্নয়নে এডিবি ৭ শতাংশ অনুদান ফান্ড বাড়িয়ে ৪০০ কোটি ডলারে উন্নীত করেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। গতকাল বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০২১-২০২৪ এই চার বছরের জন্য ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান ঘোষণা পুনঃতফসিল করতে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে ২০১৭-২০২০ অর্থবছরে যা ছিল ৩৫০ কোটি ডলার। ফলে করোনা সংকট মোকাবিলায় ৫০ কোটি ডলার বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোট অনুদান ফান্ডের মধ্যে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বা ৫৮% এরও বেশি অর্থায়ন করবে ৩০টি দাতা দেশ। নতুন করে দাতা দেশ হিসেবে আজারবাইজান এবং ফিলিপাইন যুক্ত হয়েছে। বাকি ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪২ শতাংশ অর্থায়ন আসবে এডিবির সাধারণ মূলধন সংস্থান থেকে। এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেছেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এডিএফ) বা অনুদান ফান্ড বৃদ্ধির জন্য দাতাদের সমর্থনকে আমি গভীরভাবে প্রশংসা করি।
এমনকি যারা এই অনুদান ফান্ড বৃদ্ধি করেছে সেসব দেশও করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকটের চাপে রয়েছে।
করোনা সংকটে এই অনুদান ফান্ড এই অঞ্চলের সবচেয়ে দরিদ্র ও সবচেয়ে দুর্বল দেশগুলোতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়ন পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণভাবে অবদান রাখবে।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
অপারেশন করতে এসে ২০ শতাংশের বেশি রোগী সংক্রমণের শিকার
অপারেশন করতে এসে নানা ধরনের সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। ফলে অস্ত্রোপচার কক্ষে থাকা জীবাণু সংক্রমণের কারণে রোগীকে হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি অবস্থান করতে হয় এবং রোগী বাড়তি অর্থ খরচে বাধ্য হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগগুলোর চিকিৎসক এম নুর ই এলাহীর সাথে আরো ৯ জনচিকিৎসক ৪৯৬ জন রোগীর মধ্যে একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখান যে, এর মধ্যে ২০ শতাংশ রোগী অস্ত্রোপচারজনিত সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এদের ৪৩ শতাংশ ই-কোলাই, ৩৩ শতাংশ স্টেফাইলোকোক্কাস অরিয়াস, ১১ শতাংশ সিউডোমোনাস এরোজিনোসার মতো জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে হার্নিয়া অপারেশন করতে এসে নরসিংদীর শাহানা আক্তারকে (৬৫) ৩৫ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। তাকে চিকিৎসকরা জানিয়ে ছিলেন, খুব বেশি হলে এক সপ্তাহ থাকতে হবে। কিন্তু শাহানা আক্তারকে টানা ৩৫ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। তাকে চিকিৎসকরা তিনবার অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান নতুন করে কাটাকাটি করতে। ব্লাড কালচার করতে হয় বেশ কয়েকবার। যে টাকা নিয়ে তিনি হাসপাতালে এসেছিলেন তা থেকে ১০ গুণ বেশি টাকা খরচ হয়
শাহানা আক্তারের। কী হয়েছে, কেন সুস্থ হলেন না এ ব্যাপারে শাহানা আক্তারকে অথবা তার অভিভাবককে জানতে চাইলেও কিছুই জানানো হয়নি।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সার্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের সাবেক ডিন ও সার্জিক্যাল অনকোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রোপচার করতে এসে নানা কারণে রোগীরা নতুন করে জীবাণু সংক্রমণের শিকার হয়ে থাকেন। কিছু জীবাণু অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকেই রোগীরা পেয়ে থাকেন। অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম অবশ্য ভিন্নভাবে বিষয়টি দেখেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে প্রাপ্ত সংক্রমণের পরিমাণ খুব বেশি নয়। বেশি জীবাণু সংক্রমণ হয়ে থাকে অন্য কারণে। এগুলোর অন্যতম হলো রোগী দেখে চিকিৎসকরা তাদের হাত যথাযথভাবে পরিষ্কার করেন না।
অসচেতনতার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারটিতে নজরও দেন না। তিনি বলেন, এটি করতে গেলে কিছু অবকাঠামোর প্রয়োজন হয় তা নেই হাসপাতালগুলোতে, এর সাথে বাড়তি খরচেরও প্রশ্ন আছে। এ ছাড়া অস্ত্রোপচারের রোগী হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ভর্তি থাকলেও রোগীর দেহে হাসপাতাল থেকে কিছু জীবাণু প্রবেশ করে। এসব জীবাণুর অনেকগুলো ওষুধ প্রতিরোধী (ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট) ধরনের হয়ে থাকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকারি কিংবা বেসরকারি বেশির ভাগ হাসপাতালেই মানসম্মত জীবাণু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা (স্ট্যান্ডার্ড ইনফেকশন কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট) নেই। খরচ বাড়ার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারটিতে দৃষ্টি দেন না।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সার্জিক্যাল সাইট ইনফেকশন বিশ^ব্যাপী একটা স্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়ে গেছে। বিশে^র বিভিন্ন দেশে এ প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে এবং দিন দিন এটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ন্যাচারাল অ্যান্ড সোস্যাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত ‘প্রিভেলেন্স সার্জারি সাইট ইনফেকশন ইন টার্শিয়ারি হাসপিটাল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণায় হুমায়ুন কবির শিকদার বলেন, বিশে^ প্রতি বছর ২৩ কোটি ৪০ লাখ অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে। এর মধ্যে ২.৫ থেকে ৪১.৯ শতাংশ অস্ত্রোপচারের রোগী জীবাণু সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। তিনি তার গবেষণায় দেখিয়েছেন, নাইজেরিয়াতে এসএসআই ৪১.৫ শতাংশ, সৌদি আরবে ২.৫৫ শতাংশ, ভারতে জেনারেল অ্যান্ড অর্থোপেডিক সার্জারির সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন ২০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, অস্ত্রোপচারের তালিকায় উঠতে একজন রোগীকে বাংলাদেশে গড়ে ৩০ দিন হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়। অধ্যাপক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রোগীদের হাসপাতালে অবস্থান কমিয়ে আনতে পারলে এবং অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন যথাযথ অনুসরণ করতে পারলে সংক্রমণের পরিমাণ কমে যাবে।
সুত্রঃ নয়াদিগন্ত
ভিটামিন ডি’র ঘাটতি করোনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউশিকাগো) মেডিসিনের গবেষকরা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যে একটি সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন।
ইউশিকাগো মেডিসিনের গবেষকরা ৪৮৯ রোগী নিয়ে এ গবেষণা চালিয়েছেন, যাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার আগে এক বছরের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর স্তর পরিমাপ করা হয়েছিল, খবর সিনহুয়া।
গবেষণায় দেখা যায়, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে (প্রতি মিলিলিটার রক্তে ২০ ন্যানোগ্রামের চেয়ে কম) এমন ব্যক্তিরা ভিটামিনের পর্যাপ্ত মাত্রা থাকা রোগীদের তুলনায় কোভিড-১৯-এ প্রায় দ্বিগুণ বেশি পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
ইউশিকাগো মেডিসিনের চিফ অব হসপিটাল মেডিসিন ও গবেষণার প্রধান ডেভিড মেল্টজার বলেন, ‘ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ এবং ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট আগেও শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার প্রমাণ দেখিয়েছিল।’
‘আমাদের পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ অনুযায়ী এটি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে সত্য হতে পারে,’ বলেন তিনি।
সূত্র: ইউএনবি
ডা. দীন মোহাম্মদ কোয়ারেন্টিনে
রাজধানীর জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
হাসপাতালের যুগ্ম-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল হক শুক্রবার গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. বদরুল বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর আবারও তার নমুনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তিনি আরও জানান, তার প্রথমবার পজিটিভ এসেছে, দ্বিতীয়বার নেগেটিভ। এ কারণে নিয়ম মাফিক তিনি বাসায় কোয়ারেন্টিনে আছেন। তিনি সুস্থ আছেন।
অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি ১৯৭৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেন।
১৯৯৬ সালে তিনি ওই কলেজে স্নায়ুরোগ বিভাগের অধ্যাপক পদে যোগ দেন।
২০০৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
সূত্রঃ যুগান্তর
একসঙ্গে চার কন্যাসন্তানের জন্ম
প্রসবব্যথা নিয়ে শারিমন বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সন্ধ্যায় সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি চারটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। তবে আজ শুক্রবার সকালে এক সন্তান মারা গেছে। বর্তমানে মা ও তিন সন্তান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, গৃহবধূ শারিমন বেগমের স্বামী সাইফুল মিয়া বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। দুজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরে। তবে তাঁরা এখন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে বাস করছেন। বিয়ে করেছেন পাঁচ বছর আগে। সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকে শারমিন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ইসরাত জাহানের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রসবব্যথা নিয়ে শারিমন বেগম ভৈরব পৌর শহরের মেঘনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সন্ধ্যায় গাইনি সার্জন ইসরাত জাহান তাঁর অস্ত্রোপচার করেন।
আজ দুপুরে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মা ও সন্তানদের বিশেষ পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। সেখানে কথা হয় নবজাতকদের বাবা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক সন্তানের মুখ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আল্লাহ একসঙ্গে চারজন দিয়েছেন। একজনকে আবার নিয়েও গেছেন। তিন কন্যাসন্তান যেন সুস্থভাবে বেঁচে থাকে, এখন আল্লাহর কাছে এই চাওয়া।’
এ বিষয়ে গাইনি বিশেষজ্ঞ ইসরাত জাহান বলেন, নিয়মিত চেকআপে তিন সন্তানের ছবি স্পষ্ট ছিল। ধারণাও ছিল তিন সন্তানের জন্ম হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি ছিল। শেষে পর্যন্ত চার সন্তানের জন্ম হলো। তবে জন্মের পর এক সন্তান মারা গেছে। অস্ত্রোপচারে কোনো সমস্যা হয়নি। ৩০ মিনিটের মধ্যে অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
নামের এক গৃহবধূ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সন্ধ্যায় সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি চারটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। তবে আজ শুক্রবার সকালে এক সন্তান মারা গেছে। বর্তমানে মা ও তিন সন্তান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, গৃহবধূ শারিমন বেগমের স্বামী সাইফুল মিয়া বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। দুজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরে। তবে তাঁরা এখন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে বাস করছেন। বিয়ে করেছেন পাঁচ বছর আগে। সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকে শারমিন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ইসরাত জাহানের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রসবব্যথা নিয়ে শারিমন বেগম ভৈরব পৌর শহরের মেঘনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সন্ধ্যায় গাইনি সার্জন ইসরাত জাহান তাঁর অস্ত্রোপচার করেন।
আজ দুপুরে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মা ও সন্তানদের বিশেষ পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। সেখানে কথা হয় নবজাতকদের বাবা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক সন্তানের মুখ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আল্লাহ একসঙ্গে চারজন দিয়েছেন। একজনকে আবার নিয়েও গেছেন। তিন কন্যাসন্তান যেন সুস্থভাবে বেঁচে থাকে, এখন আল্লাহর কাছে এই চাওয়া।’
এ বিষয়ে গাইনি বিশেষজ্ঞ ইসরাত জাহান বলেন, নিয়মিত চেকআপে তিন সন্তানের ছবি স্পষ্ট ছিল। ধারণাও ছিল তিন সন্তানের জন্ম হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি ছিল। শেষে পর্যন্ত চার সন্তানের জন্ম হলো। তবে জন্মের পর এক সন্তান মারা গেছে। অস্ত্রোপচারে কোনো সমস্যা হয়নি। ৩০ মিনিটের মধ্যে অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
দেশে বর্জ্যপানিতে করোনার উপস্থিতি!
দেশে বর্জ্যপানিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বর্জ্যপানি পরীক্ষা করে করোনার উপস্থিতি পেয়েছেন।
দেশে প্রথম এ ধরনের গবেষণা হলো বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও করোনা নিয়ে গঠিত সরকারি জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কোনো এলাকায় কোভিড-১৯ পজিটিভ আছে কি না, তা নির্ণয় করতে এ ধরনের পরিবেশগত পরীক্ষা খুব দরকার। এভাবে বর্জ্যে যদি করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়, তবে ভবিষ্যৎ ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়।
বর্জ্যপানিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নির্ণয়ে গবেষক দল ১০ জুলাই থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১৬ বার পানির নমুনা পরীক্ষা করেছে। নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের কোভিড-১৯ আইসোলেন সেন্টারের নর্দমা, পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা ও শৌচাগারের সঞ্চালন লাইন থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ এ গবেষণার নেতৃত্ব দেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৬ বার পানির নমুনা সংগ্রহ করেছি। প্রতিবারই সংগৃহীত নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছি।’
এ ক্ষেত্রে মানুষের শরীরের করোনা পরীক্ষার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন গবেষকেরা। ফিরোজ আহমেদ বলেন, সংগৃহীত পানি একটি সেন্ট্রিফিউজার মেশিনের (যন্ত্রচালিত ছাঁকনি) সাহায্যে ছেঁকে নেওয়া হয়। তখন ময়লা নিচে চলে যায়। ওপরের পানি আলাদা করা হয়। ওই প্রক্রিয়ায় পানি আবার ছাঁকলে ভাইরাসগুলো সব নিচে চলে যায়। আরটিপিসিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে ওই তলানি থেকে করোনা শনাক্ত করেছেন গবেষকেরা।
‘১৬ বার পানির নমুনা সংগ্রহ করেছি। প্রতিবারই সংগৃহীত নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছি।’
ফিরোজ আহমেদ , নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৯ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, উপসর্গহীন বহু মানুষ রাজধানীসহ সারা দেশে আছে।
কোনো একটি এলাকায় উপসর্গহীন মানুষের উপস্থিতি নির্ণয় করতে বর্জ্যপানির পরীক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন। এই জনস্বাস্থ্যবিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো এলাকায় স্বাভাবিক পরীক্ষায় করোনা নির্ণয় সম্ভব না হলে বর্জ্যপানির পরীক্ষা কোনো এলাকার করোনার উপস্থিতির প্রমাণ দিতে পারে। নোয়াখালীকে আমরা বৃহৎ সংক্রমিত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করি। সেটি এই পরীক্ষার মাধ্যমে আবার প্রমাণিত হলো।’
বর্জ্যপানিতে করোনার উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা হয়েছে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সে। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্লগে গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক এলাকার বর্জ্যপানিতে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ওয়াফা এল সদর এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্জ্যপানির পরীক্ষা খুব সহজ, কিন্তু মানসম্পন্ন। এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ আদৌ কোনো জনগোষ্ঠীর মধ্যে আছে কি না, এর আগাম বার্তা পাওয়া যাবে। পরীক্ষার ফলাফল থেকে ব্যবস্থা নেওয়াও সহজ হবে।
নোয়াখালীয় শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের আশপাশের বর্জ্যপানি নিয়ে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকারিয়া। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এযাবৎ বর্জ্যপানিতে করোনার উপস্থিতি নিয়ে যেসব সমীক্ষা হয়েছে, তার সবই হয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকার পয়োনিষ্কাশনের জায়গা থেকে পানি সংগ্রহ করে। নোয়াখালীর গবেষণা হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-১৯ রোগীদের আইসোলেশন সেন্টারের কাছে। সেদিক থেকে গবেষণাটি সুনির্দিষ্ট।
সূত্রঃ প্রথম আলো
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
হাতের এবং পায়ের আঙুল এ জোড়ায় প্রচন্ড গরম এবংব্যাথা,হাটতে কস্ট হয় –দেখে মনে হয় ফুলে গেছে
বা লাল হয়ে যায়—–
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বেশ যন্ত্রণার অসুখ। এ রোগে অনেকেরই জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হয়
*রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয় না,
রোগের উপসর্গ দেখা দেয়ামাত্র চিকিৎসা শুরু করলে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং রোগের মারাত্মক ঝুঁকি যেমন পঙ্গুত্ব থেকেনিজেকে রক্ষা করা য়ায়
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্টিও আর্থ্রাইটিসের মধ্যে পার্থক্য
—————————————————————————
*রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস একটি অটোইমিউন রোগ এবং অল্প বয়সে হতে পারে
*অন্য দিকে অস্টিও আর্থ্রাইটিস একটি বয়স সম্পর্কিত রোগ, যা কার্টিলেজের ক্ষয় বা ছিঁড়ে যাওয়ার জন্য হয়
*রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সাধারণত ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে ঘটে থাকে, তবে এটা শিশুদেরও আক্রান্ত করে।
* অস্টিও আর্থ্রাইটিস সাধারণত ৩০ বছর বা ৪০ বছরের বেশি বয়সী লোকদের আক্রান্ত করে
*রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে প্রায় সমানভাবে শরীরের দু’পাশের অর্থাৎ ডান ও বাম দিকের অস্থিসন্ধিগুলো আক্রান্ত হয়।
* অন্য দিকে অস্টিও আর্থ্রাইটিসে শরীরের পৃথক পৃথক অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হয় অথবা প্রথম দিকে শরীরের শুধু এক পাশের অস্থিসন্ধিগুলো আক্রান্ত হয়।
*রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত অস্থিসন্ধিগুলো লাল ও গরম হয় এবং ফুলে যায়।
* অস্টিও আর্থ্রাইটিসে অস্থিসন্ধিগুলো সাধারণত লাল ও গরম হয় না।
*রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস অনেক অস্থিসন্ধিকে আক্রান্ত করে, সাধারণত হাত ও পায়ের ছোট জোড়াগুলো বেশি আক্রান্ত হয়। এটা কনুই, কাঁধ, কবজি, হিপ, হাঁটু ও গোড়ালির গাঁটকেও আক্রান্ত করে।
* অন্য দিকে অস্টিও আর্থ্রাইটিস সাধারণত শরীরের ওজন বহনকারী অস্থিসন্ধিগুলোকে এবং যেসব অস্থিসন্ধি বেশি ব্যবহৃত হয় (যেমন হাঁটু ও হিপ) সেসব অস্থিসন্ধিকে বেশি আক্রান্ত করে।
*রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে সকালবেলা দীর্ঘ সময় আক্রান্ত জোড়াগুলো শক্ত থাকে।
* অস্টিও আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত জোড়াগুলো সকালবেলা অল্প সময় শক্ত থাকে।
*রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে মারাত্মক অবসন্নতা দেখা দেয়।
*অন্য দিকে অস্টিও আর্থ্রাইটিসে তেমন অবসন্নতা দেখা দেয় না।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে কি কি সমস্যা হতে পারে
———————————————————————ঃ-
অবসাদ
রক্ত কমে যাওয়া।
বেদনাদায়ক গাঁট।
মুখ শুকিয়ে যাওয়া
শক্ত মাংসপিন্ড কনুইতে, হাতে, হাঁটুতে এবং অন্যান্য গাঁটে।
গাঁটে লালভাব এবং ফোলা।
ওজন কমে যাওয়া
°হাত পা এর আঙুল গুলো বাকা হয়ে যেতে পারে
যেসব খাবার খাওয়া যাবে না
—————————————–ঃ-
লাল মাংস,গিলা, কলিজা,মগজ,মাছের ডিম, পালংশাক—- ওপুইশাক,হাঁসের মাংস এবং ডিম,বিচী জাতীয় খাবার,ডাল, সামুদ্রিক মাছ, টমেটো, বেগুন,
**আনারস বাতের জন্য ভালো, চেংরী,বেরী ফল
**তিসির তেল কালোজিরে তেলে মিশিয়ে ব্যাথা জায়গায় লাগাতে পারেন।
কি কি করবেন এ সমস্যা হলে
—————————————–ঃ-
আপনার সমস্যাগুলো নিশ্চিত করতে
—একজন Orthopaedic dr কে দেখাবেন।
—একজন Physiotherapist কে দেখাবেন।
—-নিয়ম করে চললে বাতের সমস্যা কন্ট্রোল এ রাখা যায় তাই নিয়ম মানতে হবে।
রেবেকা সুলতানা রুমা(পুষ্টিবিদ)
নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রডাক্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান
এস আই বি এল হাসপাতাল, ঢাকা

মুখের আলসার
পাকস্থলী বা অন্ত্রের ক্যান্সারের কথা আমরা শুনেছি। কিন্তু মুখের আলসার এর কথা শুনেছেন কি? মুখের ভেতরে, গালের নরম অংশে, জিহবার পাশে এক ধরনের ঘা দেখা যায়, যার নাম এ্যাপথাস আলসার। ছোট একটি গোলাকার অংশ সাদাটে হয়ে ওঠে। আর সাদা অংশটার ভেতরে পুঁজ জমে। পুঁজের চার পাশে হালকা একটা সিমানা থাকে। গোলাকার বা ছোট ডিম্বাকৃতির অংশে যা হয়।
এফথাস আলসার এর প্রকারভেদঃ
স্বাভাবিক এফথাস এছাড়াও এফথাস আলসারের কয়েকটি রকমের আছে ।
এফথাসের আকার যদি প্রায়ই ১ সে.মি. এর বেশি হয় এবং ভালো হতে সময় বেশি লাগে তখন একে মেজর এফথাস আলসার বলা হয়। মেজর এফথাস আলসার হলে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, কারণ এটি দেখতে কিছুটা ক্যান্সারের প্রথম দিকের ঘায়ের মতো এবং খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়। আতঙ্কিত না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আরেকটি ধরন আছে যেখানে ঘন ঘন হতে থাকে। প্রত্যেক মাসে একবার বা দু’বার। এটাকে বলা হয় রিকারেন্ট এপথাস আলসার। আর তৃতীয় আরেকটি হল হারপেটিকফর্ম এপথাস। যেখানে ছোট ছোট আকারের অনেক এপথাস একসঙ্গে হয়।
লক্ষণঃ
১. মুখে আলসার হলে ব্যথা, জ্বলুনি, জ্বর এবং লসিকা গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।
২. অনেক সময় মুখের একাধিক জায়গায় এই ঘা হয়। তখন খাবার গিলতে কথা বলতে বা মুখে হা করতে কষ্ট হয়।
কারণঃ
মুখের আলসার হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। কিছু কারণ চিহ্নিত করা যায় যারা মুখের আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে, যেমন- মুখে আঘাত পেলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে, শরীরে হরমোন পরিবর্তন হলে, অনেক বেশি চাপের মধ্যে থাকলে , অত্যাধিক ধূমপান , বংশগত কারণ , নির্দিষ্ট কোন ওষুধের জন্য , অ্যামোনিয়া হলে , মুখে ব্যবহারের ভুল পণ্য ব্যবহার করলে, ফুড এলার্জি এবং ভাইরাসের ইনফেকশন এসব।
প্রতিকারঃ
বেশিরভাগ মানুষের মুখের ঘা ৭ -১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। এজন্য বিশেষ কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন।
১. মুখের ঘা প্রতিকারে অ্যালোভেরা সবচেয়ে বেশি কার্যকর। প্রাকৃতিক উপায়ে এতে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে মুখের ঘা এর মধ্যে দিনে কয়েকবার লাগান এবং এর জুস দিয়ে দিনে তিন থেকে চার বার মুখ পরিষ্কার করুন।
২.আধা কাপ উষ্ণ গরম পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
৩. একটি কাটন বলে মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া লাগিয়ে মুখের ঘায়ে লাগাতে পারেন দিনে তিন থেকে চারবার।
৪. যদি আপনার মুখের খুলে যায় তাহলে আলতোভাবে ঘষুন এবং যদি টানটান করে তাহলে লবণ-পানি দিয়ে গরগর করুন।
৫. মুখের ঘা শুকাতে ফিটকিরি পাউডার ভালো কাজ করে। একটি সরাসরি মুখের মধ্যে এক মিনিট রেখে দিন একটি ছোট টুকরা সরাসরি মুখে লাগান এক মিনিট রেখেদিন তিক্ত হলেও কষ্ট করে ধরে রাখুন ফেলবেন না । ৬০ সেকেন্ড পরে বের করে ফেলুন তবে মুখ ধুয়ে ফেলবেন না, কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যথা না যায়, তাহলে প্রক্রিয়াটি আবার অনুসরণ করুন।
প্রতিরোধে করণীয়ঃ
১. মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। পান , সুপারি , জর্দা , গুল, তামাক পাতা , মাদক , অ্যালকোহল , অতিরিক্ত চা-কফি বর্জনীয়।
২. আয়রন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট খেতে হবে ।
৩.পেটের যে কোনো অসুখ হলে তার চিকিৎসা জরুরি।
৪. পানিশূন্যতা , অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও দাঁতের ক্যারিজ জাতীয় অসুখ থাকলে তা দ্রুত সমাধান জরুরি।
৫. মাউথ ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। অথবা হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলি করা দরকার।
৬. কষ্ট বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
– ডাক্তার শারমিন জাহান
ওরাল এন্ড ডেন্টাল সার্জন
ফরাজী ডেন্টাল হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টার।