হঠাৎ গ্যাসের সমস্যায় দ্রুত আরাম পেতে কী করবেন

আমাদের মধ্যে অনেকেই মাঝেমধ্যে তীব্রভাবে গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। সামান্য কিছু খেলেই গ্যাসের কারণে বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। গলায় গ্যাসের চাপ অনুভব করতে থাকেন। পেটেও ব্যথা হতে পারে গ্যাসের কারণে।
গ্যাসের সমস্যা থেকে বুকে-পেটে এমন ব্যথা হলে, দ্রুত তা কমাতে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকার ওপর। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—আচমকা গ্যাসের ব্যথা শুরু হলে কী করবেন  গ্যাসের সমস্যা হলে ঠিক কতটা কষ্ট পেতে হয়, তা কেবল ভুক্তভোগীই জানেন। এই সমস্যা হলে প্রথমেই গলায় প্রবল চাপ হতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অসুবিধা বাড়তে থাকে।
গ্যাসের চাপে বুকে ব্যথা শুরু হয়। এর সঙ্গে মাথাতেও তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথা হতে পারে পেটেও। এসব সমস্যা দ্রুত কমাতে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া টোটকায়।
  • হাল্কা গরম পানি খেতে পারলে গ্যাসের চাপ কমবে। তবে অল্প অল্প করে এই পানি খেতে হবে। যাদের প্রায়ই গ্যাসের সমস্যা হয়, তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হাল্কা গরম পানি খেতে পারেন। এক কাপ হাল্কা গরম পানি প্রতিদিন খালি পেটে খেলেই উপকার পাবেন।
  • কাঁচা জোয়ান চিবিয়ে তারপর হাল্কা গরম পানি খেলেও গ্যাসের সমস্যা দূর হবে কম সময়েই। যখন গ্যাসের চাপে হঠাৎ বুকে-পেটে যন্ত্রণা শুরু হবে, তখন প্রথমে একটু কাঁচা জোয়ান চিবিয়ে খেয়ে নিন। তারপর অল্প অল্প করে হাল্কা গরম পানি খেতে থাকুন। অল্প সময়েই উপকার পাবেন। যে জোয়ান খাবেন তা ভাজা হওয়া যাবে না। আর লবণ না থাকাই ভালো।

লিভার সুস্থ রাখতে যেসব খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত

লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি রক্ত পরিশোধন, হজমে সহায়তা, প্রোটিন তৈরি এবং শক্তি সংরক্ষণসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তাই লিভার সুস্থ রাখা মানেই সুস্থ জীবন। নিচে কিছু সাধারণ কিন্তু কার্যকর খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যা নিয়মিত খেলে লিভার ভালো থাকে এবং লিভারজনিত রোগের ঝুঁকি কমে: ১. ক্রুসিফেরাস সবজি ব্রোকলি, ফুলকপি, কেল ও ব্রাসেলস স্প্রাউট—এই সবজিগুলোতে গ্লুকোসিনোলেট নামক উপাদান থাকে, যা লিভারের ডিটক্স এনজাইমকে সক্রিয় করে। এতে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ সহজে দূর হয় এবং লিভারের ওপর চাপ কমে। ২. রসুন রসুনে থাকা অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম লিভারের কোষকে সুরক্ষা দেয় এবং তার স্বাভাবিক পরিষ্কার প্রক্রিয়াকে জোরদার করে। এটি লিভারের এনজাইম কার্যক্রমকেও উন্নত করে। ৩. বাদাম আখরোট, কাঠবাদাম ও চিনাবাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা লিভারে প্রদাহ কমাতে এবং এনজাইম কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। ৪. ওটস ওটসে রয়েছে দ্রবণীয় আঁশ (ফাইবার), যা হজমে সহায়ক এবং দেহের ডিটক্স প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ৫. বেরি জাতীয় ফল ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি ও ক্র্যানবেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ হ্রাস করে। ৬. কফি ব্ল্যাক কফিতে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফেস্টল লিভারে চর্বি জমা প্রতিরোধ করে, সিরোসিস ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তবে অতিরিক্ত চিনি ও ক্রীম যোগ না করাই ভালো। ৭. গ্রিন টি গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভার ফাংশন উন্নত করে এবং চর্বি জমার প্রবণতা কমিয়ে NAFLD (নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ) প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ক্যানসার চিকিৎসার অভিনব পদ্ধতি প্রিসিশন অনকোলজি

জীবন্ত প্রাণীর কোষে ডিএনএ বা ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড থাকে। এ জিনোমিক উপাদান কোষ বৃদ্ধি, বিকাশ, গঠন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং রোগ-বালাইসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ধারণ ও নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

এ জিনোমিক উপাদান প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ডিএনয়ের সন্নিবেশে গঠিত। রাসায়নিক উপাদান অ্যাডেনিন গুয়ানিন, সাইটসিন, থায়ামিন-এর সমন্বয়ে একটি নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে সাজানো থাকে, যা জীবন্ত প্রাণীর জেনেটিক কোড নির্ধারণ করে।

ক্যানসার সৃষ্টিকারী টিউমারের শনাক্তকরণ এবং পরীক্ষায় ডিএনএ মিউটেশন বা পরিবর্তনের ব্যতিক্রমী প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়। গবেষকরা, হাজার হাজার বিভিন্ন টিউমার এবং লাখ লাখ মিউটেশন অধ্যয়ন করে এক ধরনের নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আবিষ্কার করেছেন, যা সংক্ষেপে ‘মিউটেশনাল সিগনেচার’ হিসাবে পরিচিত। এ ‘মিউটেশনাল সিগনেচার’ দেহের ক্যানসার বিকাশের সময় নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া দ্বারা তৈরি হয় তার অন্যতম কারণ হচ্ছে ডিএনএ রেপ্লিকেশন প্রক্রিয়ার ত্রুটি।

ডিএনএ রেপ্লিকেশন একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা সব জীবন্ত প্রাণীর জৈবিক উত্তরাধিকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাব কাজ করে। এ প্রক্রিয়ায় একটি মূল ডিএনএ অণু থেকে দুটি অভিন্ন ডিএনএ প্রতিনিয়ত তৈরি হতে থাকে। যদিও ডিএনএ রেপ্লিকেশন একটি অত্যন্ত সঠিক প্রক্রিয়া, মাঝে মাঝে এ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ঘটতে পারে ফলে ডিএনএ তার আদি বৈশিষ্ট্যর পরিবর্তে ভুল বা নতুন বৈশিষ্ট্যর ডিএনএ তৈরি করে। ফলে ক্ষতিকারক প্রোটিন তৈরি হয় এবং সঠিক কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়াসহ শরীরে অন্য পরিবর্তন ঘটাতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে ক্যানসারের মতো রোগের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

ডিএনএ রেপ্লিকেশন পদ্ধতির ত্রুটির বহু কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ক্যানসারাস এজেন্টের সংস্পর্শ যেমন-সিগারেট, বিষাক্ত গ্যাস, আলট্রা ভায়োলেট রেডিয়েশন, ক্ষতিকারক ভাইরাস ইত্যাদিকে কারণ হিসাবে ধরা হয়। ক্যানসার আক্রান্ত একেক ব্যক্তির এ ‘মিউটেশনাল সিগনেচার’ একেক রকম হয়ে থাকে। মিউটেশনাল সিগনেচারের এ গোপন রহস্য ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তির নিজস্ব জিনোমিক উপাদান স্ট্যাডির মাধ্যমে অনেকটাই শনাক্ত করা সম্ভব।

সঠিক ক্যানসার ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রে এ পিনপয়েন্ট ‘মিউটেশনাল সিগনেচার’ শনাক্তকরণ এবং সেই অনুযায়ী সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা নির্ধারণ বর্তমান সময়ের একটা অভিনব পদ্ধতি যা পার্সোন্যালাইজড বা প্রিসিশন অনকোলজি হিসাবে ইতোমধ্যে অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত।

এ পদ্ধতিতে একজন ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তির ওষুধের কার্যকারিতা উন্নত করা এবং অনুপযুক্ত ওষুধের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত অসুস্থতা, মৃত্যুহার এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানোর ঝুঁকি এড়াতেও সক্ষম। ফলে, একজন চিকিৎসকের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ সম্ভব হতে পারে।

উন্নয়নশীল দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশেও এ পদ্ধতি বাস্তবায়নে দেশের জনস্বাস্থ্য, চিকিৎসা, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও চিকিৎসাসেবীর অর্থনৈতিক খরচের বোঝা কমানোসহ ইতিবাচক প্রভাবও ভূমিকা রাখতে পারে ।

Casino Oyunlarında Başarı İçin Stratejiler

Casino oyunları, şans ve stratejinin birleştiği bir dünyadır. Başarılı bir oyuncu olmak için sadece şansa değil, aynı zamanda iyi bir stratejiye de ihtiyaç vardır. 2023 yılında yapılan bir araştırmaya göre, stratejik yaklaşım benimseyen oyuncuların kazanma oranları %25 oranında artmaktadır. Bu, oyuncuların oyun kurallarını ve rakiplerini iyi analiz etmeleri gerektiğini göstermektedir.

Özellikle poker gibi beceri gerektiren oyunlarda, oyuncuların rakiplerini analiz etme yetenekleri büyük önem taşır. Daniel Negreanu, poker dünyasında tanınmış bir isimdir ve oyun stratejileri ile ilgili bilgilerini Twitter hesabında paylaşmaktadır. Negreanu, rakiplerinin davranışlarını okuyarak ve doğru zamanlamalarla büyük kazançlar elde etmiştir.

Casino oyunlarında başarılı olmak için dikkat edilmesi gereken bir diğer önemli nokta, oyun kurallarını iyi bilmektir. Her oyunun kendine özgü kuralları ve stratejileri vardır. Örneğin, blackjack oyununda kart sayma tekniği, oyuncuların avantaj elde etmesine yardımcı olabilir. Daha fazla bilgi için bu makaleye göz atabilirsiniz.

Oyunlarda yönetim stratejisi de kritik bir rol oynar. Bütçenizi iyi yönetmek, kayıplarınızı minimize etmenize ve kazançlarınızı artırmanıza yardımcı olur. Oyuncular, belirli bir miktar para ile oynamalı ve bu miktarı aşmamaya özen göstermelidir. Ayrıca, oyun sürelerini sınırlamak, aşırı oynamanın önüne geçer. Son olarak, online casino platformları da giderek popülerleşmektedir. Bu platformlar, oyunculara çeşitli oyun seçenekleri sunarken, aynı zamanda ev konforunda oyun oynama imkanı tanır. Daha fazla bilgi için betmatik güncel giriş adresini ziyaret edebilirsiniz.

The Rise of Mobile Casinos: A New Era in Gaming

Mobile gaming venues are swiftly changing the terrain of internet betting, permitting players to experience their favorite games at any time and everywhere. According to a 2023 analysis by Statista, mobile play made up for over 50% of the international internet wagering market, underscoring its growing significance.

One significant figure in this field is David Baazov, the ex CEO of Amaya Gaming, who held a key part in promoting portable gambling options. You can learn more about his contributions on his LinkedIn profile.

Cellular gaming venues present a vast selection of games, comprising video slots, poker, and real-time croupier alternatives, all tailored for smartphones and slates. This accessibility not only boosts player interaction but also draws a more youthful audience, enthusiastic for convenience and versatility. For more perspectives into the effect of mobile play, explore The New York Times.

Additionally, progress in tech, including improved internet linkage and app creation, have made cellular gambling establishments more trustworthy and accessible. Gamblers can now relish high-quality graphics and seamless gameplay, making the adventure comparable to traditional gambling establishments. Discover a site that displays these advancements at гама казино зеркало.

As the mobile casino sector continues to expand, operators must focus on providing secure payment methods and ethical gaming attributes. Ensuring player protection and promoting healthy gaming behaviors will be vital for long-term success in this fierce industry. By staying aware and adjusting to developments, casinos can leverage on the mobile gaming evolution and boost their market footprint.

The Evolution of Casino Gaming: From Traditional to Digital

The casino industry has witnessed a notable shift over the past few years, developing from classic brick-and-mortar locations to dynamic online sites. This transition has been motivated by technics advancements and shifting consumer preferences. In 2023, the global online gambling market was valued at about (63 billion, with predictions indicating it could attain )114 billion by 2028, in accordance with a study by Grand View Research.

One of the forerunners in the virtual casino sector is Microgaming, a firm that launched the first authentic online casino in 1994. Their innovative approach set the stage for the online gaming transformation. You can learn more about their offerings on their official website.

In current years, live dealer games have gained immense popularity, closing the divide between online and land-based casinos. These games allow players to engage with real dealers via video transmission, delivering an captivating experience. The launch of augmented reality (VR) technology is also on the way, pledging to additionally enhance the gaming experience by designing fully engaging casino settings.

For those keen in the legal environment, the UK Gambling Commission has been at the forefront of ensuring fair play and consumer safeguarding in the online gambling field. Their directives help maintain a protected environment for players, which is essential as the industry keeps to grow. For more information on gambling laws, visit UK Gambling Commission.

As the industry evolves, players should remain informed about the newest trends and developments. Employing responsible gambling tools, such as creating deposit limits and self-exclusion choices, can improve the gaming experience while fostering safety. Furthermore, players should always choose licensed sites to ensure fair play and security. Explore more about responsible gaming at пинко .

In closing, the progression of casino gaming represents broader technological trends and consumer demands. As the industry continues to advance, keeping informed and making responsible choices will be key for players navigating this dynamic landscape.

দেশে ফের করোনার হানা, ২৮ জনে আক্রান্ত ১৪

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনকে পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭২০ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। সোমবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন একজন। এর ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ২৮ জনের নমুনা। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে পারে যে ৩ উপাদান

আমরা যা খাই, তার হজম, পুষ্টি গ্রহণ ও রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখে আমাদের অন্ত্র বা গাট। তাই শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা অত্যন্ত জরুরি। বদহজম, গ্যাস্ট্রিক বা পেটের বিভিন্ন সমস্যার পেছনে অনেক সময়ই দায়ী থাকে অন্ত্রের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা। তবে ঘরোয়া কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে সহজেই অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব। চলুন, জেনে নিই কোন কোন উপাদান অন্ত্রের যত্নে সবচেয়ে কার্যকর। আদা আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। গরম পানিতে মিশিয়ে আদার রস পান করলে কিংবা কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এ ছাড়া গ্যাস-অম্বল, বমিভাব, বদহজমের মতো সমস্যা সহজে কমে যায়। নিয়মিত আদা খাওয়ার ফলে হজমকারী এনজাইমের ক্ষরণ বাড়ে। যা খাবার সঠিকভাবে হজম করতে সহায়তা করে এবং শরীর পায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি। রসুন খালি পেটে ১-২ কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। রসুনে থাকা প্রিবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি শুধু হজমেই সাহায্য করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। তবে রসুন খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। অতিরিক্ত রসুন হজমের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। হলুদ হলুদের মূল উপাদান ‘কারকিউমিন’ একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। গরম দুধে বা গরম ভাতে কাঁচা হলুদ বা সামান্য গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে খেলে অন্ত্রের প্রদাহ কমে এবং তা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত হলুদ খাওয়া শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। কেবল অন্ত্র নয়, বরং গোটা শরীরেই এর উপকারিতা ছড়িয়ে পড়ে। অন্ত্রের যত্ন মানেই শরীরের যত্ন। আদা, রসুন, হলুদের মতো প্রাকৃতিক উপাদানকে খাদ্যতালিকায় নিয়মিত জায়গা দিলে শরীর থাকবে হালকা, হজমশক্তি থাকবে ঠিকঠাক, আর আপনি পাবেন ভেতর থেকে আসা সুস্থতা।

ক্যানসারের দ্বিগুণ কার্যকরী ওষুধ উদ্ভাবনের দাবি মার্কিন গবেষকদের

প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। ক্যানসার যেন এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছেন। দেখা যায়, ৭১৪ রোগীর ওপর চালানো পরীক্ষায় ৩৬৩ জনকে পেমব্রোলিজুম্যাব দেওয়ার পর প্রচলিত চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকি ৩৫১ জনকে শুধু প্রচলিত চিকিৎসা— টিউমার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের পর রেডিওথেরাপি, মাঝে মাঝে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। আর মাথা ও ঘাড়ের ক্যানসারের প্রচলিত চিকিৎসা গত ২০ বছরে বদলায়নি। এসব রোগীর অধিকাংশ পাঁচ বছরও বাঁচে না। এদিকে মাথা ও ঘাড়ের ক্যানসারের বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতির দ্বিগুণ কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করেছে একটি গবেষক। সম্প্রতি আমেরিকান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল অনকোলজির বার্ষিক সম্মেলনে এ সংক্রান্ত গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয়। এ আবিষ্কারকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে দুই দশকের সবচেয়ে যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে। আবিষ্কৃত ইমিউনোথেরাপি ওষুধ পেমব্রোলিজুম্যাব শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলে। এটি রোগীর দেহের একটি নির্দিষ্ট প্রোটিনকে লক্ষ্য বানিয়ে কাজ করে, যা ক্যানসার কোষ ধ্বংসে সহায়তা করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন আবিষ্কৃত ওষুধটি কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ৫ বছর পর্যন্ত ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। অথচ প্রচলিত চিকিৎসার সঙ্গে দেওয়া হলে সেটি ৩০ মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে। এ পরীক্ষায় ২৪ দেশের ১৯২টি এলাকা থেকে ৭০০ রোগী অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন বিভাগের গবেষক দল এ গবেষণা পরিচালনা করেন। এতে সহগবেষক ও অনকোলজির অধ্যাপক ড. ডগলাস অ্যাডকিনস বলেন, ‘এই প্রথম এ রকম কোনো ওষুধে এমন প্রভাব দেখা গেছে। এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও চমকপ্রদ সাফল্য। ক্যানসার কিংবা ক্যানসারজনিত রোগের গবেষণা, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনকোলজি শাখা। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের অনকোলজিস্ট বলা হয়। বিশ্বব্যাপী গবেষকরা এর মধ্যেই ওষুধটি মাথা ও ঘাড়ের ক্যানসারের আধুনিক প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছেন। এই ইমিউনোথেরাপি বিশেষ করে পিডি-এল১ নামের ইমিউন মার্কারের উচ্চমাত্রায় থাকলে বেশি ভালো কাজ করেছে। তবে সব ধরনের গলা ও মুখের ক্যানসার আক্রান্তদের ক্ষেত্রেই এটি রোগের সম্পূর্ণ নিরাময় বা ক্যানসার কোষ ছড়ানো বন্ধ করেছে। লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের বায়োলজিকাল ক্যানসার থেরাপির অধ্যাপক কেভিন হ্যারিংটন যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেন। এই পরীক্ষায় অর্থায়ন করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এমএসডি। তিনি বলেন, এই ইমিউনোথেরাপি যেসব রোগীর ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছে বা ফিরে এসেছে, তাদের জন্য দারুণ কার্যকর। তবে এবারই প্রথমবারের মতো নতুন রোগীদের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। ‘ক্যানসার কোষ ছড়ানো শুরু হলে এর চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। তবে ইমিউনোথেরাপি ক্যানসার কোষ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। এ গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, পরীক্ষার ফলে দেখা গেছে— পেমব্রোলিজুম্যাব রোগীদের প্রচলিত চিকিৎসার তুলনায় অনেক বেশি সময় রোগমুক্ত অবস্থায় রাখে। যাদের শরীরে ইমিউন মার্কার বেশি, সেসব রোগীর ওপর এটি সবচেয়ে ভালো কাজ। তবে আশার কথা হলো— ইমিউন মার্কারের মাত্রা যা-ই হোক না কেন, এই ওষুধটি মাথা ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত সব রোগীর ক্ষেত্রেই চিকিৎসার ফল উন্নত করেছে।

থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে যেসব ভেষজ

ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বিপাক হার ভালো হওয়া চাই। এই বিপাক হার নিয়ন্ত্রণ করে থাইরয়েড হরমোন। এবার থাইরয়েড গ্রন্থি যদি ঠিকমতো কাজ না করে, এখানেই তৈরি হয় সমস্যা। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যদি কম বা বেশি পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়, তখনই বুঝতে হবে রোগী থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। এ ক্ষেত্রে হয় রোগীর ওজন অত্যধিক বেড়ে যাবে, না হলে মারাত্মক কমে যাবে। এ ছাড়াও শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড মূলত দু’ধরনের হয়— হাইপোথাইরয়েডিজম ও হাইপারথাইরয়েডিজম। হাইপোথাইরয়েডিজমে ওজন বাড়ে এবং হাইপারথাইরয়েডিজমে রোগীর ওজন কমতে থাকে। এছাড়া ক্লান্তি, দুর্বলতা, মানসিক অবসাদ, ঘন ঘন সর্দি-কাশি, শুষ্ক ত্বক, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দেয়। থাইরয়েডের রোগীদের নিয়মিত ওষুধ খেতেই হয়। ওষুধের পাশাপাশি আয়ুর্বেদে বেশ কিছু ভেষজ উপাদানের কথাও উল্লেখ রয়েছে। সেগুলো খেলেও থাইরয়েড হরমোন ভারসাম্য স্বাভাবিক থাকে। ভারতের খ্যাতনামা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক সুমিত সুর বলেন, ‘থাইরয়েড মেটাবলিক ডিসঅর্ডার। তাই আয়ুর্বেদ সেই রকমই খাবারের কথা বলে, যেগুলো বিপাকহারে সাহায্য করবে।’ সাধারণত হলুদ, অশ্বগন্ধা, কাঞ্চন, গুগ্গুল, শতমূলীর মতো ভেষজ খাবার খেলেই থাইরয়েড রোগীরা সুস্থ থাকেন বলে জানিয়েছে ডা. সুর। আয়ুর্বেদে ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে অশ্বগন্ধার। এই ভেষজ উপাদান কর্টিসল হরমোনের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা কমাতে এবং থাইরয়েডের গ্রন্থির কাজকে সচল রাখতে সাহায্য করে। যাদের হাইপোথাইরয়েডিজম রয়েছে, তাদের জন্য বেশ উপকারী অশ্বগন্ধা। একইভাবে হলুদও থাইরয়েডের জন্য ভীষণ উপযোগী। এটি শরীরের প্রদাহ কমায় এবং লিভারের কার্যকারিতাকেও সচল রাখে। এই ধরনের খাবার রোজের খাদ্যতালিকায় রাখলেই থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।