গরমকালে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন ফল খেতে পারেন

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই নিয়মিত জিমে যান, কড়া ডায়েট মেনে চলেন। তবুও বহু সময় চেষ্টার পরও ওজন কমে না। এর মূল কারণ হতে পারে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতা এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকা। বিশেষ করে গরমকালে কিছু ফল আছে যেগুলো খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়, আবার কিছু ফল ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। চলুন, জেনে নিই কোন ফলগুলো এড়িয়ে চলবেন। কলা গরমকালে কলা খাওয়ার পরিমাণ কম রাখা ভালো। কলায় উচ্চমাত্রায় কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়াতে পারে। আম গরমকালের প্রিয় ফল হলেও, বেশি আম খাওয়ার ফলে ক্যালরি বাড়ে। এটি ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে। খেজুর খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও এতে চিনি ও ক্যালরির পরিমাণ বেশি। গরমকালে বেশি খেজুর খাওয়া ঠিক নয়। সপ্তাহে ৩-৪টি খেজুর যথেষ্ট। কোন ফলগুলো খাওয়া উচিত: তরমুজ গরমকালে শরীর হাইড্রেট রাখতে তরমুজ দারুণ কার্যকর। এতে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে পাকা পেঁপে হজমে সহায়ক এবং ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে। এটি নিয়মিত খেলে শরীর পরিষ্কার থাকে এবং মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। কিউই কিউইতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, পেটের সমস্যা দূর করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।

বর্ষায় নখের যত্ন নেওয়া কেন জরুরি

বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে পায়ে। কারণ পা সবচেয়ে বেশি পানির সংস্পর্শে আসে। তাই বর্ষার শুরু থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। সামান্য ভুল ও অবহেলায় পায়ে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে মারাত্মকভাবে। মূলত বর্ষার মৌসুমে নখের কোনায় কাদা জমে যায়। আর তা ঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে নখে ইনফেকশন হতে পারে। পায়ে পানি লেগে থাকলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। নখে ময়লা জমলে ইনফেকশন মারাত্মক আকার নিতে পারে। এতে নখও পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সাবধান থাকা জরুরি। জেনে নিন বর্ষাকালে বা প্রায় সারা বছর কিভাবে পা পরিষ্কার রাখবেন।
  • বর্ষাকালে এমন জুতা পরুন, যা ভিজলেও দ্রুত শুকিয়ে যাবে। তাহলে আর ভেজা জুতা পরতে হবে না। পায়ে দুর্গন্ধ কিংবা ইনফেকশন হওয়ার ভয় থাকবে না। এমন দিনে মোজা ব্যবহার না করাই ভালো।
  • পায়ের গোড়ালি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে পিউমিক স্টোন বা ঝামা পাথর ব্যবহার করতে পারেন। এই পাথর দিয়ে ভালোভাবে গোড়ালি ঘষে নিলে নোংরা-ময়লার পাশাপাশি ডেড স্কিন সেলও ঝরে যাবে।ফলে গোড়ালির অংশের ত্বক মোলায়েম থাকবে।
  • শুধু নখের কোণ নয়, গোড়ালিতেও যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে গোড়ালিতে যদি ফাটা থাকে তাহলে সেই ফাটলের মাঝেও নোংরা, ময়লা জমে যায়। তাই পা পরিষ্কারের সময় গোড়ালিও পরিষ্কার করতে হবে।
  • পা শুধু পরিষ্কার করলেই হবে না। পা শুকনো রাখাও জরুরি। নয়তো পায়ের পাতার ত্বক ও নখের প্রভূত ক্ষতি হবে। তাই পা পরিষ্কারের পর ভালোভাবে নরম গামছা দিয়ে পায়ের পানি মুছে নেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
  • পানির প্রভাবে নখ কমজোরি হয়ে যায়, ক্ষয়ে যায়। এ সময় নখ রোজ যত্ন নিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। নয়তো ইনফেকশন মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
  • পা পরিষ্কার করার সময় নখে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ নখের কোণে সবচেয়ে সহজে ময়লা জমে। নরম টুথব্রাশ (ব্যবহার করা) দিয়ে আলতো হাতে ঘষে ঘষে নখের কোণে জমা ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।
  • ভেজা জুতা ও মোজা এড়িয়ে চলুন। অনেকক্ষণ ভেজা জুতা, মোজা পরে থাকলে পায়ে যেমন দুর্গন্ধ হবে, তেমনি ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
  • পা সবচেয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার হবে হাল্কা গরম পানি আর লিকুইড সোপ কিংবা সামান্য শ্যাম্পু ব্যবহার করলে। নিয়মিত এভাবে পা পরিষ্কার করলে ইনফেকশন এড়ানো সম্ভব।
  • বর্ষাকালে পা পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। বাড়ির বাইরে বের হলেই পা পরিষ্কার করা প্রয়োজন। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে সাবান দিয়ে পা পরিষ্কার করুন। শুধু বর্ষাকালে নয়, বছরের সব মৌসুমেই পা পরিষ্কার রাখতে হবে।

একজন মানুষের দিনে কতবার প্রস্রাব করা স্বাভাবিক?

ডায়াবেটিসকে বলা হয় নীরব ঘাতক। বাইরে থেকে দেখতে আপনাকে ঠিকঠাক মনে হলেও ভেতরে ভেতরে নিঃশেষ করে দিতে পারে ডায়াবেটিস নামক এই ব্যাধি। একবার ডায়াবেটিস দেখা দিলে ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করবে একটার পর একটা অঙ্গ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বে মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ ছিল ডায়াবেটিস। এর কারণ ছিল রক্তে শর্করার মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি। ২০১৯ সালে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসের কারণে মারা যান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস-সহ বিভিন্ন ধরণের দীর্ঘস্থায়ী ডায়াবেটিস রয়েছে। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে ইমিউন সিস্টেম প্যানক্রিয়াসের ইনসুলিন-উৎপাদনকারী বিটা কোষকে আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করে দেয়। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে শরীর হয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করে না, বা এটি ইনসুলিনকে প্রতিরোধ করে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণের মধ্যে একটি হল ঘন ঘন প্রস্রাব। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে তৈরি হয় অতিরিক্ত গ্লুকোজ। যে কারণে কিডনি বাধ্য হয়ে সেই অতিরিক্ত গ্লুকোজ ফিল্টার এবং শোষণ করে। কিন্তু একটা সময়ের পর এটি আর সম্ভব হয় না। তখন গ্লুকোজ নির্গত হয় প্রস্রাবের সঙ্গে। টিস্যু থেকে বেরিয়ে যায় অতিরিক্ত তরল। শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। যে কারণে রোগীরা বেশি পানি পান করলে ঘন ঘন প্রস্রাব করেন। নিউজ এইটিন এ প্রকাশিত এক খবরে এমনটাই বলা হয়েছে। দিনে কতবার প্রস্রাব করলে স্বাভাবিক ধরা হবে? একদিন অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির অন্তত ২ লিটার পানি পান করা উচিত। সে অনুযায়ী সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক কারও জন্য দিনে ৬ থেকে ৮ বার প্রস্রাব করা স্বাভাবিক। প্রতিদিন ৪-১০ বার প্রস্রাব করাও স্বাস্থ্যকর ধরে নেওয়া যায়। কারণ এতে দৈনন্দিন কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটে না। কিন্তু এর বেশি হলে তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কতবার প্রস্রাব করা স্বাভাবিক? কেউ যদি দিনে ৭-১০ বারের বেশি প্রস্রাব করলে তা হতে পারে টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ। আমেরিকার ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস অনুসারে, ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে একদিনে ৩ লিটার থেকে গুরুতর ক্ষেত্রে ২০ লিটার পর্যন্ত প্রস্রাব হতে পারে। এমনটা ঘটলে সেই ব্যক্তির সারাক্ষণই পানি তৃষ্ণা পাবে। যতবারই পানি পান করুক না কেন তার মুখ শুকনোই লাগবে। ঘন ঘন প্রস্রাব হলে যে তার একমাত্র কারণ ডায়াবেটিস, এমন নয়। উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি কিংবা মূত্রাশয়ের সমস্যা থাকলেও বেশি প্রস্রাব হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন ঘন প্রস্রাবের পরও যদি কেউ সুস্থ থাকেন ও স্বাভাবিক বোধ করেন তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।

গরমে বাড়ে হার্টের সমস্যা, কিভাবে রক্ষা পেতে হবে?

গরম বেড়ে যাওয়ায় দিনে বাইরে বের হওয়া অনেকের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এই সময় হার্ট অ্যাটাক ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বিশেষত যারা হার্টের রোগী বা বড় ধরনের অসুস্থতার মুখে আছেন, তাদের এই গরমের সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শরীর কখনোই পানিশূন্য বা ডিহাইড্রেট হওয়া উচিত নয়। তাই বেশি সময় রোদে থাকা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে শরীরের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তাপপ্রবাহের ফলে হার্টের ওপর চাপ পড়ে। যারা হার্টের রোগী, তাদের প্রচুর পানি পান করা জরুরি এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। গরমে বেশি ঘামের কারণে শরীর অক্সিজেন গ্রহণে অসুবিধা পায় এবং হার্টকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। ফলে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে যেতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়। ডিহাইড্রেশন রোধ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বেশি ঘামের কারণে শরীর থেকে পানি ও গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম কমে যায়। যা শরীরকে দুর্বল করে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই হার্ট ও কিডনির রোগীরা গরমে প্রচুর পানি খাওয়ার বিষয়টি অবশ্যই মেনে চলবেন। প্রস্রাবের সমস্যা থাকলে বা সংশ্লিষ্ট ওষুধ গ্রহণ করলে আরও বেশি সতর্ক থাকা দরকার। এই সময় বাইরে রোদে দীর্ঘ সময় থাকবেন না, বিকাল পর্যন্ত সম্ভব হলে ঘরের মধ্যে থাকুন এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিজেকে রাখুন। তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়ানো ভালো, কারণ তা হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং হার্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। গরমে শরীর ভালো না লাগলে বা অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। গরম ও তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষিত থাকতে হালকা খাবার খেতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে। এই সতর্কতা অবলম্বন করলেই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

গ্রীষ্মে রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে যে ফল

গরমকালে বাজারে পাওয়া যায় মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল আতা। শুধু স্বাদেই নয়, এই ফলে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর উপাদান, বিশেষ করে নারীদের জন্য এটি হতে পারে অত্যন্ত উপকারী। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থগুলোতেও আতা ফলের ওষধি গুণের উল্লেখ পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। যা নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। চলুন, জেনে নিই আতা ফল কী কী সমস্যায় উপকারে আসে। রক্তাল্পতা কমায় আয়রনসমৃদ্ধ আতাফল রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর। ভারসাম্যহীনতা ও গাঁটে ব্যথা দূর করে আতাফলে থাকা ভিটামিন বি-৬ স্নায়ু ও পেশির স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।যা ভারসাম্য রক্ষা এবং গাঁটের ব্যথা কমাতে কার্যকর। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ভিটামিন বি-৬ হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি রক্তে হোমোসিস্টেইনের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আতাফলে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হাড় মজবুত করে এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন মজবুত করে, বিশেষ করে নারীদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব হাড়জনিত সমস্যা দেখা দেয়, তা প্রতিরোধে সাহায্য করে। রক্তাল্পতা কমায় আয়রনসমৃদ্ধ আতাফল রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর। মাসিকের সময়ে উপশম পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাব হলে আতাফলের উপকারিতা পাওয়া যায়। অনেকেই গাছের মূলের গুঁড়ো ব্যবহার করে থাকেন এই সময়। ত্বকের যত্নে আতাফলে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ব্রণ, দাগ ও সংক্রমণ দূর করে।এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকে ব্রণ ছড়াতে দেয় না। উকুন দূর করতে আতাফলের বীজ গুঁড়ো করে মাথায় লাগালে উকুন দূর হয়। এটি বহুদিন ধরেই একটি ঘরোয়া উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গর্ভবতী নারীদের জন্যও উপকারী আতা ফল গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। এটি শরীরে শক্তি জোগায়, হজমে সহায়তা করে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এক্লাম্পসিয়া: সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে বক্তারা

মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এক্লাম্পসিয়া। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। এ রোগ প্রতিরোধে সব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখতে হবে।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে শনিবার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব প্রি-এক্লাম্পসিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। হাসপাতালের অবস ও গাইনি বিভাগের ফিটোমেটারনাল মেডিসিন ইউনিটের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে সেমিনার, সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল: “প্রি-এক্লাম্পসিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, জানুন।”

বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারজানা সোহাইলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাকি মোহাম্মদ জাকিউল আলম। এ সময় তিনি বলেন, সঠিক গর্ভপূর্ব ও গর্ভকালীন চেকআপের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মাকে চিহ্নিত করে এক্লাম্পসিয়া প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা যায়।

অবস্টেট্রিকাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিকাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান প্রি-এক্লাম্পসিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, গর্ভকালে অন্তত ৪ বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে মায়েদের, যাতে ঝুঁকি নির্ণয় করা যায়।

সভায় জেস্টোসিস সোসাইটির (যারা গর্ভকালীন হাইপারটেনশন নিয়ে কাজ করেন) সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম খিঁচুনি প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ ম্যাগসালফ সব হাসপাতালে অবশ্যই রাখার দাবি জানান।

ওজিএসবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সালমা রউফ বলেন, মাতৃমৃত্যু কমাতে হলে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রি-এক্লাম্পসিয়া গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া, যা চিকিৎসার অবহেলায় মা ও শিশুর জীবন ঝুঁকিতে পড়ে—এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এটি মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ।

গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কী করবেন, কী এড়িয়ে চলবেন?

তৈলাক্ত ত্বক বা অয়েলি স্কিনের সমস্যা সারা বছরই থাকে, তবে গরমকালে তা অনেক বেশি বাড়ে। ঘাম আর তেলের মিশ্রণে নাক, কপাল ও গাল সবসময় তেলতেলে হয়ে থাকে, যা ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। ব্রণ, র‍্যাশ, অ্যালার্জি, মেকআপ গলে পড়ার মতো নানা সমস্যাও দেখা দেয়। তাই গ্রীষ্মকালে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে প্রয়োজন কিছু বাড়তি সতর্কতা।
চলুন, জেনে নিই।বারবার মুখ ধোয়া নয় গরমে ঘেমে গিয়ে অনেকেই বারে বারে মুখে পানি দেন বা ধুয়ে ফেলেন। এতে ত্বকের স্বাভাবিক তেল বা ‘ন্যাচারাল অয়েল’ কমে যায়, ফলে ত্বক আরো বেশি তেল উৎপাদন করতে শুরু করে। দিনে দুইবার মাইল্ড ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললেই যথেষ্ট।খুব অস্বস্তি লাগলে ফেস মিস্ট ব্যবহার করুন বা নরম সুতি কাপড়ে মুখ মুছে নিন। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন অনেকে ভাবেন তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার দরকার নেই, কিন্তু এটি ভুল ধারণা। ত্বক যদি শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে তা আরো বেশি তেল তৈরি করতে শুরু করে। তাই ফেস ওয়াশ ব্যবহারের পর হালকা বা অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।চাইলে হালকা টেক্সচারের সিরামও ব্যবহার করতে পারেন। ব্লটিং পেপার রাখুন হাতের কাছে নাক বা কপালে অতিরিক্ত তেল জমে গেলে ব্লটিং পেপার দিয়ে তা শুষে নিন। এটি ত্বককে তাৎক্ষণিকভাবে সতেজ করে তোলে এবং অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। গরমে নিয়মিত ব্লটিং পেপার ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে অনেকটাই পরিপাটি। হালকা মেকআপ বেছে নিন তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে খুব বেশি মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো।তেলমুক্ত বা ম্যাট ফিনিশযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করুন। ভারী ফাউন্ডেশন বা চকচকে মেকআপ এড়িয়ে চলুন। চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব হালকা মেকআপে থাকতে। গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে নিয়মিত এই টিপসগুলি অনুসরণ করলে ত্বক থাকবে পরিষ্কার, ব্রণমুক্ত ও স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল। একটু বাড়তি যত্নেই ত্বক পাবে পরিপূর্ণ সুরক্ষা।

The Impact of Artificial Intelligence on Casino Operations

Artificial intelligence (AI) is changing the casino industry by boosting operational effectiveness and enhancing customer experiences. In twenty twenty-three, several casinos commenced introducing AI-driven systems to analyze player behavior and likes, permitting for personalized marketing approaches. According to a report by Deloitte, AI technology in casinos is projected to boost revenue by 15% over the upcoming five annum.

One remarkable company driving this advancement is Scientific Games, which debuted an AI-powered statistical platform in 2022. This platform aids casinos refine game choices and modify promotions to individual players. You can find out more about their programs on their official website.

In addition to advertising, AI is also being utilized for safety objectives. Casinos are employing AI platforms to supervise gaming spaces and identify deceptive activities in real-time. This innovation not only improves security but also guarantees a fair gaming atmosphere for all participants. For additional insights into AI’s function in the gaming field, check out The New York Times.

Moreover, AI chatbots are becoming increasingly popular in customer assistance, offering instant assistance to players and answering inquiries ⁄7. This not only improves customer happiness but also cuts operational overheads for casinos. Explore a platform that highlights these innovations at аркада казино скачать.

As AI innovation continues to progress, casinos must stay watchful about principled considerations and data security. Making sure that player data is handled securely and transparently will be crucial for preserving trust in the sector.

দেশে ১৮ জনের করোনা পরীক্ষায় ৬ জন শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন করোনা পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৪ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৯ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হননি কেউ। এর ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৯ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ১৮ জনের নমুনা। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

রক্তচাপ কতটা বেড়ে গেলে হার্টঅ্যাটাক হতে পারে

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতেই পারে। এটি নিয়ন্ত্রণ না করা হলে, মারাত্মক হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। আমাদের জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাস হার্টঅ্যাটাকের জন্য দায়ী। https://online.sultann.bet এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো খুব একটা বোঝা যায় না, তবে সময়ের সাথে সাথে এটি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রক্তচাপ যদি সীমার বাইরে বেড়ে যায় তাহলে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে যে রক্তচাপের কোন স্তরে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ কী প্রথমত, উচ্চ রক্তচাপ কখন হয় এবং এটি আসলে কী তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। সহজ কথায়, এটি এমন একটি স্বাস্থ্যগত অবস্থা যেখানে রক্ত পাম্প করার জন্য হৃদপিণ্ডকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হয়। এর ফলে, শিরাগুলির উপর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, যার কারণে তাদের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। গুরুতর ক্ষেত্রে, শিরা ফেটে যেতে পারে, যা মারাত্মক হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের পরিসীমা কত যদি শরীরের রক্তচাপের পরিসীমা ১২০/৮০ মিমি এইচজি হয় তবে তাকে স্বাভাবিক রক্তচাপ বলা হয়। কিন্তু যখন এই পরিসীমা সিস্টোলিক ১৩০/১৩৯ এবং ডায়াস্টোলিক ৮০ থেকে ৯০ মিমি এইচজি-র মধ্যে পড়ে, তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপের অবস্থা বলা হয়। রক্তচাপের কোন স্তরটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও হার্টঅ্যাটাকের জন্য অনেকাংশে দায়ী। পরিসরের কথা বলতে গেলে, যদি রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিমিএইচজি-র উপরে পৌঁছায়, তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত যাতে অবস্থা গুরুতর না হয়। দৃশ্যমান লক্ষণগুলি কী কী রক্তচাপের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এটি কোনও গুরুতর লক্ষণ দেখায় না। এজন্যই একে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি তীব্র মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, চোখ লাল হওয়া, বুকে ব্যথা, নাক দিয়ে রক্তপাত এবং বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারেন। অতএব, যদি আপনার রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে নিয়মিত আপনার রিডিং পরীক্ষা করে দেখুন এবং গুরুতর অবস্থার ক্ষেত্রে, অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।