রক্তচাপ কতটা বেড়ে গেলে হার্টঅ্যাটাক হতে পারে

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতেই পারে। এটি নিয়ন্ত্রণ না করা হলে, মারাত্মক হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। আমাদের জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাস হার্টঅ্যাটাকের জন্য দায়ী। https://online.sultann.bet এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো খুব একটা বোঝা যায় না, তবে সময়ের সাথে সাথে এটি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রক্তচাপ যদি সীমার বাইরে বেড়ে যায় তাহলে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে যে রক্তচাপের কোন স্তরে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ কী প্রথমত, উচ্চ রক্তচাপ কখন হয় এবং এটি আসলে কী তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। সহজ কথায়, এটি এমন একটি স্বাস্থ্যগত অবস্থা যেখানে রক্ত পাম্প করার জন্য হৃদপিণ্ডকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হয়। এর ফলে, শিরাগুলির উপর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, যার কারণে তাদের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। গুরুতর ক্ষেত্রে, শিরা ফেটে যেতে পারে, যা মারাত্মক হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের পরিসীমা কত যদি শরীরের রক্তচাপের পরিসীমা ১২০/৮০ মিমি এইচজি হয় তবে তাকে স্বাভাবিক রক্তচাপ বলা হয়। কিন্তু যখন এই পরিসীমা সিস্টোলিক ১৩০/১৩৯ এবং ডায়াস্টোলিক ৮০ থেকে ৯০ মিমি এইচজি-র মধ্যে পড়ে, তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপের অবস্থা বলা হয়। রক্তচাপের কোন স্তরটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও হার্টঅ্যাটাকের জন্য অনেকাংশে দায়ী। পরিসরের কথা বলতে গেলে, যদি রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিমিএইচজি-র উপরে পৌঁছায়, তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত যাতে অবস্থা গুরুতর না হয়। দৃশ্যমান লক্ষণগুলি কী কী রক্তচাপের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এটি কোনও গুরুতর লক্ষণ দেখায় না। এজন্যই একে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি তীব্র মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, চোখ লাল হওয়া, বুকে ব্যথা, নাক দিয়ে রক্তপাত এবং বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারেন। অতএব, যদি আপনার রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে নিয়মিত আপনার রিডিং পরীক্ষা করে দেখুন এবং গুরুতর অবস্থার ক্ষেত্রে, অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

দুপুর ও রাতের খাবারের পর ফল খেলে কী হয়

খাবার খাওয়ার পর আমাদের মধ্যে অনেকেরই ফল খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। সেটা হোক দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার। শরীরকে সুস্থ রাখতে ফলের ভূমিকা নতুন করে বলা নিষ্প্রয়োজন। কিন্তু খাবার খাওয়ার পর ফল খাওয়া কতটা নিরাপদ, তা অনেকেই জানেন না।
তাই আজ জানবেন খাবার খাওয়ার পর ফল খাওয়া ভালো নাকি খারাপ, খেলেও কোন কোন খাবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক— https://atlasbetr.com দুপুরের খাবারের পর দুপুরে খাবারের পর অনেকেই ফল খেয়ে থাকেন। একটি পরিপূর্ণ খাবারের মাধ্যমে শরীরে কার্বোহাইড্রেট প্রবেশ করে।
এরপর ফল খেলে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। আর কলা খেলে গ্লাইসেমিক লোড বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে রক্ত শর্করার পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে।
রাতের খাবারের পর রাতের খাবারের পর বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফল খাওয়া উচিত নয়। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এর কারণে অনেক সময় ঘুমের অসুবিধা হতে পারে। হজমের সমস্যাও হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। পারলে ফল না খাওয়াই ভালো।
খাবারের সঙ্গে ফল পুষ্টিবিদদের একাংশের মতে, রাতের খাবারের সঙ্গে ফল খেলে শরীরে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। কারণ, উচ্চ ফাইবার যুক্ত ফল ধীরে ধীরে হজম হয়। খাবারের সঙ্গে খেলে খাবার হজম করতেও তা সমস্যা তৈরি করতে পারে। কখন খাবেন সকালের নাশতায় ফল খাওয়া উপকারী। কারণ দিনের শুরুতেই তা শরীরকে তার প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। পুষ্টিবিদ ও ফিটনেস প্রশিক্ষকদের একাংশ মনে করেন, দুপুরে খাবার খাওয়ার পরেই ফল খেলে অধিক ফাইবারের জন্য খাবার হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রথমে ৩০ মিনিট বিরতি নেওয়া উচিত। তারপর ফল খাওয়া যেতে পারে। এর ফলে বদহজমের সমস্যা হবে না। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে দুপুরের খাবার খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর ফল খাওয়া উচিত। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ ও মানসিক চাপ কমাতে যেসব খাবার খেতে পারেন

এই যুগে অফিস, সংসার কিংবা সমাজ— সব জায়গার চাপই যেন আমাদের নিত্যসঙ্গী। আর এই মানসিক চাপ থেকেই জন্ম নিচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো নীরব ঘাতক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, উচ্চরক্তচাপ অনেক সময় বোঝা যায় না, যতক্ষণ না শরীর বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ে। চাপ সামলাতে না পারলে শরীরে নিঃসৃত হয় স্ট্রেস হরমোন, যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘমেয়াদে তা হার্ট, কিডনি ও মস্তিষ্কের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে। তাই মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে একটি বিশেষ খাদ্যাভ্যাস, ‘ড্যাশ ডায়েট’। ড্যাশ ডায়েট কী? ড্যাশ শব্দের পুরো অর্থ— Dietary Approaches to Stop Hypertension, অর্থাৎ খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়। এই ডায়েটে যা থাকবে- ১।পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল (কলা, তরমুজ, পেয়ারা, কমলালেবু, খেজুর)। ২। শাকসবজি (বিট, পালং, আলু, ব্রকলি)। ৩।ফাইবারযুক্ত দানা শস্য (ওটস, বার্লি, কিনোয়া)। ৪। কম ফ্যাটযুক্ত দুধ বা দই। ৫। চর্বিহীন প্রোটিন (মুরগি, মাছ, ডাল) ৬। স্বাস্থ্যকর চর্বি (বাদাম, বীজ)। যা এড়িয়ে চলবেন- ১। সোডিয়াম বা লবণ বেশি থাকা খাবার (চিপস, সসেজ, প্রক্রিয়াজাত খাবার)। ২। স্যাচুরেটেড ফ্যাট (রেড মিট, মাখন, আইসক্রিম)। ৩। অতিরিক্ত চিনি (চকলেট, সফট ড্রিংক, মিষ্টি)। ড্যাশ ডায়েট শুধু শরীর নয়, মনও রাখে সুস্থ। নিয়মিত এই খাদ্যাভ্যাস মানলেই চাপের মুখেও মাথা ঠাণ্ডা রাখা সহজ হয়।

বিএমইউতে ক্যানসার চিকিৎসার কার্যক্রম ফের চালু

ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র লিনাক মেশিন (লিনিয়ার এক্সিলেটর) দিয়ে রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)। রবিবার (১৮ মে) বিএমইউর এফ ব্লকে অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে (লিনিয়ার এক্সিলেটর পুনরায় চালুকরণ) একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অনকোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ। অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সারোয়ার আলম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাদিয়া শারমীন, অতিরিক্ত পরিচালক (অডিট) খন্দকার শফিকুল হাসানসহ (রতন) ওই বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম, জনস্বার্থে চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার তাগিদ দেন। তিনি তার বক্তব্যে রোগীদের প্রতি বৈষম্যপূর্ণ আচরণ বন্ধ ও উচ্চবিত্তের মানসিকতা ত্যাগ করার জন্য সেবাদানকারী সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয়ের বিষয়ে রোগীকে অবহিতকরণ, রোগীর মতামত প্রদান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, চিকিৎসার সম্ভাব্য অগ্রগতির বিষয়ে রোগী বা তার স্বজনকে অবহিতকরণ ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ক্যানসার বিভাগ থেকে গবেষণা কার্যক্রমে অধিকতর মনোযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের নির্দেশনা দেন উপাচার্য। অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ক্যানসারের চিকিৎসায় অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রোগীরা অনেক আশা নিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। চিকিৎসার জন্য বিদ্যমান সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে রোগীদের আশা পূরণে সচেষ্ট হতে হবে। রোগীদের সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার জন্য রেডিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই পুনরায় লিনিয়ার এক্সিলেটর মেশিন চালু করা হলো। বিএমইউর উদ্দেশ্য আয় করা নয়, বিএমইউর উদ্দেশ্য হলো গবেষণা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা, রোগীরা যাতে সহজে ও স্বল্প ব্যয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়ে আরোগ্য লাভ করে সন্তুষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারে তা নিশ্চিত করা। সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। দেশেই যাতে রোগীরা সেবা নিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন, সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন কারও অনিয়মের দায় নেবে না। রোগীদের প্রতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সদয় হতে হবে। রোগীদের যেন অযথা আর্থিকভাবে চাপে ফেলা না হয়। রোগীরা যেন প্রতারিত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে বাড়তে পারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি

বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস এখন নীরব ঘাতকের রূপ ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ওষুধের সঙ্গে প্রয়োজন জীবনযাপনে পরিবর্তন, নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর ডায়েট। শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে অনেক কারণ। তার মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিনের অভাব। আধুনিক গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবে শরীরে ইনসুলিনের কাজে প্রভাব পড়ে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ভিটামিন-ডি। এই ভিটামিন কেবল হাড়ের স্বাস্থ্যই ঠিক রাখে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাকও নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন এবং এর প্রভাব বাড়াতেও সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করে না এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন ডি-র সমৃদ্ধ উৎস হলো সূর্যালোক। তা ছাড়া বেশ কিছু খাবার থেকেও এই ভিটামিন পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি যে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারে, তা অনেকেই জানেন না। বিশেষ করে যারা ইতিমধ্যে প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জন্যও ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কিভাবে বুঝবেন ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই এই ভিটামিনের অভাব হলে হাঁটু, কোমরসহ জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে, বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও বড় ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। তাই ঘন ঘন ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগলে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া হাত-পায়ে সুচ ফোটার মত ব্যথা, মাঝেমধ্যে ঝিনঝিন ধরাও ভিটামিন-ডি ঘাটতির কারণে হতে পারে। ভিটামিন ডি-র অভাবে চুল ও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত চুল পড়া, ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবিলম্বে ভিটামিন-ডি র পরীক্ষা করান।

স্পার্ম কাউন্ট কমায় যেসব খাবার

অনেকে হয়তো আশ্চর্য হতে পারেন, খাবার কিভাবে স্পার্ম কাউন্ট কমায়। খাবারের সঙ্গে স্পার্ম কাউন্টের আবার কী সম্পর্ক?! হ্যাঁ, খাবারের সঙ্গে স্পার্ম কাউন্টের সম্পর্ক অবশ্যই রয়েছে। এমনকি ভুল খাবার খেলে যে স্পার্মের পরিমাণ, গুণগতমান কমতে থাকে, তারও তথ্য রয়েছে চিকিৎসকদের হাতে। তাই যৌনস্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে সঠিক সময়ে, সঠিক খাবার অত্যন্ত জরুরি। Portbet তাই স্পার্ম কাউন্ট ঠিক রাখতে কী কী খাবেন, কী কী খাবেন না, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কী উপদেশ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মতে, স্পার্ম কাউন্ট ঠিক রাখতে বা বৃদ্ধি করতে প্রথমে যেটা জরুরি, তা হলো সঠিক লাইফস্টাইল। অর্থাৎ দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম, চাপমুক্ত থাকা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা। যিনি যত বেশি অ্যাক্টিভ, তার স্পার্ম কাউন্ট তত বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালকোহল হলো স্পার্মের ভিলেন। বেশিমাত্রায় মদ্যপান করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্পার্ম। তবে শুধু অ্যালকোহলই নয়, অত্যধিক পরিমাণে ধূমপান করলেও স্পার্ম কাউন্ট কমতে থাকে। চিকিৎসক বলছেন, যারা নিয়মিত ফাস্টফুড যেমন, চাউমিন, চিপসজাতীয় খাবার খান, তাদের স্পার্ম কাউন্টও দ্রুত কমতে শুরু করে। কিভাবে ঠিক রাখবেন স্পার্ম কাউন্ট
  • সকাল সকাল উঠে হালকা ব্যায়াম করুন। জিমে যেতে পারলে তো খুবই ভালো। নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখুন।
  • খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখুন।
  • দিনে অন্তত, একটি ফল খান। তরমুজ, আপেল, পেয়ারা খেতে পারেন।
  • মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। মোবাইল ব্যবহার কমিয়ে বই পড়ুন, সিনেমা দেখুন।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীর? জেনে নিন

আধুনিক জীবনে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ যেন প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মজীবনে চাপ, পারিবারিক দায়িত্ব কিংবা ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা—এইসব মিলিয়ে অনেকেই দীর্ঘমেয়াদী দুশ্চিন্তায় ভোগেন। তবে সাময়িক মানসিক চাপ আমাদের মাঝে মাঝেই হতে পারে, কিন্তু যদি তা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়, তাহলে তা শরীরের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ বা উদ্বেগ শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। চলুন, জেনে নিই কিভাবে। হৃদযন্ত্র ও রক্তচাপের উপর প্রভাব দুশ্চিন্তার কারণে শরীরে কর্টিসোল ও অ্যাড্রেনালিন নামক স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললে হৃদরোগ, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। কর্টিসোল রক্তের শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, ফলে শরীর সহজেই সংক্রমণে আক্রান্ত হয় এবং সেরে উঠতেও বেশি সময় লাগে। পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি উদ্বেগের প্রভাব পড়ে হজমের উপরও। দেখা দিতে পারে পেটে ব্যথা, অ্যাসিডিটি, বদহজম, বুকজ্বালা বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো উপসর্গ। দীর্ঘমেয়াদে গ্যাস্ট্রিক আলসার কিংবা অন্ত্রের প্রদাহের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। স্নায়ুতন্ত্র ও ঘুমের ব্যাঘাত চিরস্থায়ী মানসিক চাপ স্নায়ুতন্ত্রকে অতিরিক্তভাবে সক্রিয় করে তোলে। এতে ঘন ঘন মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, মনোযোগে ঘাটতি ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, অনিদ্রা তৈরি হয়, যা বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশনের সম্ভাবনা বাড়ায়। পেশী, ত্বক ও অন্যান্য দিকেও প্রভাব চাপের কারণে পেশিগুলো টান টান হয়ে থাকে, যার ফলে ঘাড়, কাঁধ ও পিঠে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা হতে পারে। পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যা। সব মিলিয়ে বলা যায়, দুশ্চিন্তা কেবল মনকে নয়, ধীরে ধীরে শরীরকেও ভেঙে দেয়। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সঠিক ঘুম, পুষ্টিকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি।

অপর্যাপ্ত পানিপানসহ যেসব অভ্যাস ডেকে আনে মারাত্মক বিপদ

আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো কিডনি। রক্ত পরিশোধন করে এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে কাজ করে কিডনি। তাই এই অঙ্গটির যত্ন না নিলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া একবার এই অঙ্গের সমস্যা দেখা দিলে তার পরিণাম হতে পারে মারাত্মক। escort bayan bursa escort bursa escort escort konya sex hikayeleri marmaris eskort নিত্যদিনের কিছু ছোট ছোট অভ্যাস ভবিষ্যতে কিডনির গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। যদিও আপাতদৃষ্টিতে অভ্যাসগুলোকে তেমন ক্ষতিকর মনে হয় না। এখানে এমন চারটি অভ্যাসের কথা বলা হলো। কী সেসব অভ্যাস, জেনে নিন— অপর্যাপ্ত পানি পান করা কিডনির প্রধান কাজ হলো শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ পানির মাধ্যমে ছেঁকে বের করে দেওয়া। আপনি যদি সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করেন তাহলে কিডনির এই কাজে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে কম পানি পানের অভ্যাস কিডনিতে পাথর তৈরি করতে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা কমাতে পারে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের গরম আবহাওয়ায় শরীরে পানির চাহিদা আরো বেড়ে যায়। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। এটি কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। উচ্চ রক্তচাপ কিডনির রক্তনালীগুলোর ক্ষতি করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। প্যাকেটজাত খাবার, ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে লুকানো লবণ থাকে, যা আমরা অজান্তেই খেয়ে ফেলি। ব্যথানাশক ওষুধ সামান্য ব্যথা বা অস্বস্তিতে আমরা অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ (যেমন নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস বা পেইনকিলার) খেয়ে থাকি। এগুলো কিন্তু কিডনির জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে। এই ওষুধগুলো দীর্ঘ সময় ধরে বা উচ্চ মাত্রায় ব্যবহারের ফলে কিডনির কোষের ক্ষতি হয় এবং কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। প্রস্রাব আটকে রাখা আমাদের মধ্যে অনেকেরই প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস রয়েছে। কাজের চাপে বা অন্য কোনো কারণে দীর্ঘক্ষণ তারা প্রস্রাব আটকে রাখেন। এই অভ্যাসটি কিডনির ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করে। নিয়মিত প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রথলিতে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি হতে পারে এবং তা কিডনিতে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এর ফলে পরবর্তীতে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

ভারতে ডায়াবেটিসের নতুন রূপ ‘মোডি’, আক্রান্ত হতে পারে শিশুরাও

টাইপ ৫ ডায়াবেটিস নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। নতুন ধরনের ডায়াবেটিস কেন হচ্ছে এবং এর প্রতিকার কী, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিলেন গবেষকেরা। এবার আরও এক ধরনের ডায়াবেটিসের খোঁজ পাওয়া গেল ভারতে। নতুন এ ধরনের নাম ‘ম্যাচুরিটি-অনসেট ডায়াবেটিস অফ দ্য ইয়ং (মোডি)। শিশু ও কমবয়সিরাই বেশি আক্রান্ত। নবজাতকের শরীরেও দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিসের এই নতুন রূপ। গবেষকেরা বলছেন, অত্যন্ত বিরল এই রোগ বংশগত। জিনের বিন্যাসের ওলটপালটেই দেখা দিতে পারে ‘মোডি’ ডায়াবেটিস, এমনটাই জানাচ্ছেন ভারতের চেন্নাইয়ের ‘মাদ্রাজ ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ (এমডিআরএফ)-এর গবেষকেরা। গবেষকেরা দাবি করেছেন, ভারতে মোডি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেক শিশু ও কমবয়সিদের খোঁজ পাওয়া গেছে। কী থেকে এই ডায়াবেটিস হচ্ছে, কেনই বা হচ্ছে, এর প্রতিকারের উপায় নিয়ে নতুন করে গবেষণা শুরু হয়েছে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রকাশিত ‘ডায়াবেটিস’ নামক মেডিক্যাল জার্নালে এই গবেষণা বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ভারত ও আমেরিকার গবেষকেরা দাবি করেছেন, ‘এবিসিসি৮’ নামক একটি জিনের বিন্যাসে গন্ডগোল হলেই এই ডায়াবেটিস হতে পারে। ‘এবিসিসি৮’ জিনটি অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোন ক্ষরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যদি কোনোভাবে জিনটিতে রাসায়নিক বদল (মিউটেশন) ঘটতে থাকে, তাহলে সেটির কাজ করার প্রক্রিয়া বদলে যাবে। বদল হবে তার বিন্যাসেও। তখন শরীরের ভিতরের কোষগুলোই বিদ্রোহ করে ‘অটোইমিউন’ রোগের কারণ হয়ে উঠবে। মোডি ডায়াবেটিস তেমনই একটি রোগ। একে ‘মোনোজেনিক ডায়াবেটিস’ বলেন অনেকে। খুব কম জনের এই রোগ হয়। আর তা বংশগত ভাবে ছড়াতে থাকে। এমডিআরএফ-এর গবেষক রাধা ভেঙ্কটেশন জানিয়েছেন, রোগটি শৈশবেই প্রকাশ পায়। যেহেতু জিনের বদলের কারণে এই ডায়াবেটিস হয়, তাই সেটির উপসর্গ টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চেয়ে আলাদা। সে কারণে রোগটি ধরা পড়ে না সহজে। এমনও দেখা গেছে, বাবা-মায়ের থেকে বদলে যাওয়া জিন সন্তানের মধ্যে এসে এই বিরল রোগের কারণ হয়ে উঠেছে। শিশুর শরীরে যখন রোগটি দেখা দেয়, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকাই কমতে থাকে। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘কনজেনিটাল হাইপারইনসুলিনিজ়ম’ (সিএইচআই)। শিশুটি যত বড় হতে থাকবে ততই তার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকবে। ৩০ বছর হওয়ার আগেই পরিস্থিতি উল্টে যাবে। তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যাবে। মোডি ডায়াবেটিসের আরও অনেক প্রকার রয়েছে, যেমন ‘মোডি ১’, ‘মোডি ৩’, ‘মোডি ১২’ ইত্যাদি। সবগুলো ভাগ নিয়ে গবেষণা চলছে। এখনোই এই ডায়াবেটিসকে কাবু করার মতো ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। গবেষকরা জানিয়েছেন, বিরল এই ডায়াবেটিসের চিকিৎসাপদ্ধতি ও ওষুধ নিয়ে গবেষণা চলছে।

মস্তিষ্কের জন্য বিপজ্জনক খাবার যেগুলো, খাওয়ার আগে জেনে নিন

আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো মস্তিষ্ক। এটি আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গকে কাজ করার নির্দেশ দেয়। মস্তিষ্কের অনুশীলনে মনোযোগ না দিলে ধীরে ধীরে বুদ্ধিমত্তা ও যুক্তি শক্তি কমে যাবে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কের সর্বোত্তমভাবে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট পুষ্টির প্রয়োজন। তাই মস্তিষ্কের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যানবাহন চালানোর জন্য যেমন জ্বালানির প্রয়োজন, তেমনই আমাদের মস্তিষ্কেরও তীক্ষ্ণ ও সুস্থ রাখার জন্য খাবারের আকারে জ্বালানির প্রয়োজন। উল্টোদিকে কিছু জিনিস আমাদের মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক বলে মনে করা হয়। এই খাবারগুলো ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি, মেজাজ ও একাগ্রতার ক্ষতি করে। কী সেসব খাবার, চলুন জেনে নিই— চিনিযুক্ত পানীয় মিষ্টি কোলা বা পানীয় এবং চিনি দেওয়া চা মস্তিষ্কে অত্যধিক গ্লুকোজ ভরে দেয়। এগুলো স্মৃতিশক্তির ক্ষতি করতে পারে, শেখার ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিমেনশিয়াও বাড়াতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার প্যাকেটজাত খাবার, হিমায়িত খাবার ও ফাস্ট ফুডে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এগুলো মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। যার কারণে আমাদের মনোযোগ দিতে সমস্যা হয় এবং মেজাজও ওঠানামা করে। ট্রান্স ফ্যাট পেস্ট্রি, ভাজা খাবারে প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা আপনার ধমনীগুলোকে বন্ধ করে মস্তিষ্কে রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ করে দিতে পারে। এ ছাড়া এটি স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। কৃত্রিম মিষ্টি ডায়েট সোডা ও চিনিমুক্ত মিষ্টিতে ব্যবহৃত কৃত্রিম মিষ্টি মস্তিষ্কের রসায়নকে ভুল পথে চালিত করে। এটি ক্ষুধা বাড়াতে পারে, স্মৃতিশক্তি দুর্বল করতে পারে এবং চাপ ও বিষণ্নতা বাড়াতে পারে। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট ময়দার রুটি, পেস্ট্রি ও পাস্তা খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই বৃদ্ধি মস্তিষ্কের কুয়াশা, অলসতা, এমনকি দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল  যদিও অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল পান করলে কোনো ক্ষতি হয় না, তবে অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে মস্তিষ্কের টিস্যু হ্রাস পায়, স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। অ্যালকোহল মস্তিষ্কের কোষের যোগাযোগেও হস্তক্ষেপ করে, যার ফলে চিন্তাভাবনা হ্রাস করে। ভাজাপোড়া খাবার  ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবার, উচ্চ আঁচে ভাজা হলে এগুলো থেকে বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হয়। এই বিষাক্ত পদার্থগুলো প্রদাহ বাড়াতে পারে, মস্তিষ্কের কোষগুলোর ক্ষতি করতে পারে।