ইনসোমনিয়া বা ঘুমের ব্যাঘাত

পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক . মেহজাবীন হক, চেয়ারম্যান, কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মানসিক প্রশান্তি না থাকা বা শারীরিক নানা কারণে কারও ঘুম কমে হতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনযাত্রার ধরনের ওপর। শুধু খাওয়া-পরার অনিয়ম নয়, বরং কোনো উৎকণ্ঠার বিষয় বা অসমাপ্ত কোনো কাজও আমাদের মধ্যে থেকে যায়। সেগুলো অনবরত আমাদের মস্তিষ্ককে খোঁচাতে থাকে। এমন হলে আমাদের ঘুম কম হতে পারে।

কিন্তু ইনসোমনিয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় ধরে ঘুম হয় না। এ অবস্থায় সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস ও মেডিটেশন করতে পারেন। এ ছাড়াও নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী নামাজ, রোজা প্রভৃতি পালন করতে পারেন।

অস্বস্তিকর সংবাদ শোনা বা দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোতে মনোযোগ দিতে হবে। যাদের ঘুম আসে না, তাদের এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ঘুম চলে আসে। ঘুমকে দাওয়াত দিয়ে ডেকে আনতে হবে। মস্তিষ্ককে ঘুমের জন্য তৈরি করতে হবে। সবসময় নিজেকে মনে করিয়ে দিতে হবে যে ‘আজকে ভালো ঘুম হবে’। এটা আমরা বলি ‘ইতিবাচক আত্ম-কথন’। এটা থেকে মস্তিষ্ক এক ধরনের তথ্য নেবে। অপরদিকে যদি বলি, ‘আমার ঘুম হয় না’, তাহলে মস্তিষ্ক সে-ই মেসেজই পাবে।  এ বিষয়টা চর্চার মধ্যে আনতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *