ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক: ক্যাব

অযৌক্তিকভাবে ওষুধের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তার অধিকার উপেক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ক্যাবের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, এস এম নাজের হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. মঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু।

ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘গত দুতিন বছরে মানুষের আয় বাড়েনি। এ অবস্থায় ওষুধ কোম্পানিগুলোর অতি লোভের কারণে দাম বাড়ানো হচ্ছে। জীবনমান নিম্নমুখী; নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ওষুধ কেনার সামর্থ্যও হারাচ্ছেন অনেকে। অতি মুনাফা করার এই লোভ মুদ্রাস্ম্ফীতিকে আরও চাঙ্গা করেছে।’

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যেন যুক্তিসংগতভাবে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করে, সেই আশা করে তিনি বলেন, ‘এ সময় কোনো ওষুধ কোম্পানি কি লোকসানে চলছে? যদি লোকসানেই না চলে তাহলে এই সময়ে দাম বাড়ানো কি যুক্তিসংগত? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ প্রস্তাব সময়োপযোগী কিনা, যুক্তিসংগত কিনা- তা বিবেচনা করবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব জানায়, গত ২০ জুলাই প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, অ্যামোপিলিন, ডায়াজিপাম, ফেনোবারবিটাল, অ্যাসপিরিন, ফেনোপিমিথাইল, পেনিসিলিনসহ ৫৩টি ওষুধের দাম বাড়িয়েছে সরকার। গত ছয় মাসে এসব ওষুধের দাম ১৩ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধের দাম বেড়েছে ১৩ থেকে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *