টনসিলের ইনফেকশন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিছু ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ব্যাকটেরিয়া পরবর্তী সময়ে টনসিলের ইনফেকশন বাড়িয়ে তুলতে পারে। টনসিল আমাদের মুখের ভেতরে প্রবেশকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রথম সারির রোগ প্রতিরোধকারী অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। এ কারণেই টনসিল সহজেই নিজে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
বেশি পরিমাণে ঠাণ্ডা খাবার (আইসক্রিম, ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি ইত্যাদি) ও তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে টনসিলে ইনফেকশন হতে দেখা যায়। নাক জ্যাম, নাকের মাংস বৃদ্ধি, এডিনয়েড বেড়ে গেলে মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার কারণে সহজেই ঘন ঘন টনসিল ইনফেকশন হতে পারে। নিয়মিত মুখ, দাঁত ও গলা পরিষ্কার না রাখলে দাঁত ও মুখের যেকোনো ইনফেকশনের কারণে টনসিলে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে।
লক্ষণ
♦ গলা ব্যথা, তীব্র বা মাঝারি ধরনের।
♦ মাথা ব্যথা, জ্বর।
♦ খাবার খেতে কষ্ট ও মুখ হাঁ করতে অসুবিধা হয়।
♦ ব্যথা হতে পারে কানেও।
♦ মুখ দিয়ে লালা বের হয় ও কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে যেতে পারে। মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে।
♦ স্বরভঙ্গ, গলায় ঘাসহ টনসিল স্ফীতি, ঢোক গিলতে কষ্ট হয় এবং গলা ফুলে যায়।
করণীয়
♦ দীর্ঘ মেয়াদে যদি বারবার টনসিলাইটিস হয় বা এটির জন্য অন্য কোনো জটিলতার সৃষ্টি হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে টনসিল ফেলে দেওয়াই ভালো।
♦ অ্যাকিউট ইনফেকশন থাকলে টনসিলে অস্ত্রোপচার করা যাবে না। কারণ তখন ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং রক্তপাত বন্ধ না-ও হতে পারে।
♦ জ্বর বা ব্যথা থাকা অবস্থায় করা যাবে না।
♦ যদি কারো রক্তরোগ থাকে তাহলে টনসিলে অস্ত্রোপচার করা যাবে না। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না এনে অস্ত্রোপচার করা যাবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. আলমগীর মো. সোয়েব
কনসালট্যান্ট (ইএনটি)
নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল